১০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

প্রসূতির মৃত্যু: ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ হাইকোর্টের

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৭:৩৪:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩
  • / ২০৩ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর গ্রিন রোডে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় ডা. মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। তাকে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৫ জুলাই) বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তার আগে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন ডা. মিলি। গত ২৬ জুন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করেন তিনি।

এর আগে গত ৯ জুন রাতে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে ভর্তি করা হয় মাহবুবা রহমান আঁখিকে। সে সময় ডা. সংযুক্তা সাহা হাসপাতালে উপস্থিত না থাকলেও কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি আছেন এবং ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) কাজ করছেন।

পরে অন্য চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। পরদিন মারা যায় শিশুটি। গত ১৮ জুন রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আঁখিও।

এরপর ১৪ জুন ধানমণ্ডি থানায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র একটি মামলা দায়ের করেন আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী। মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, ডা. সংযুক্তার সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়। মামলার পর ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রসূতির মৃত্যু: ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ হাইকোর্টের

আপডেট সময় ০৭:৩৪:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

রাজধানীর গ্রিন রোডে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় ডা. মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। তাকে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৫ জুলাই) বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তার আগে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন ডা. মিলি। গত ২৬ জুন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করেন তিনি।

এর আগে গত ৯ জুন রাতে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে ভর্তি করা হয় মাহবুবা রহমান আঁখিকে। সে সময় ডা. সংযুক্তা সাহা হাসপাতালে উপস্থিত না থাকলেও কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি আছেন এবং ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) কাজ করছেন।

পরে অন্য চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। পরদিন মারা যায় শিশুটি। গত ১৮ জুন রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আঁখিও।

এরপর ১৪ জুন ধানমণ্ডি থানায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র একটি মামলা দায়ের করেন আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী। মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, ডা. সংযুক্তার সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়। মামলার পর ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।