০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ছয় মাসে স্পেনগামী ৯৫১ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু

প্রবাস ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:০০:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩
  • / ১৭৭ বার পড়া হয়েছে

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সমুদ্রপথে ইউরোপের দেশ স্পেনে যাওয়ার চেষ্টাকালে ৪৯ শিশুসহ কমপক্ষে ৯৫১ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে।

স্প্যানিশ অভিবাসন নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ক্যামিনান্দো ফ্রন্টেরাস (ওয়াকিং বর্ডারস) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল-জাজিরা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত অভিবাসন প্রত্যাশীর আলজেরিয়া, ক্যামেরুন, কোমোরোস, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, ইথিওপিয়া, গিনি, আইভরি কোস্ট, মালি, মরক্কো, গাম্বিয়া, সেনেগাল, শ্রীলঙ্কা, সুদান, সিরিয়া এবং গাম্বিয়া নাগরিক ছিলেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রতিদিন গড়ে পাঁচজন মানুষ চারটি ভিন্ন পথ ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ রুট, আলবোরান সাগর রুট, আলজেরিয়ান রুট ও স্ট্রেইট অফ জিব্রাল্টার রুটে প্রাণ হারিয়েছেন।

ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের মাধ্যমে স্পেনে প্রবেশের চেষ্টাকালে রেকর্ড ২৮টি নৌকাডুবির ঘটনায় ৭৭৮ জন লোক প্রাণ হারিয়েছেন। আলবোরান রুটে ২১টি নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত হয়েছে ১০২ জন । জিব্রাল্টার প্রণালীতে ১১টি নৌকাডুবির ঘটনায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি ও জুন মাসে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ফেব্রুয়ারি ২৩৭ জন এবং জুনে ৩৩২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

ক্যামিনান্দো ফ্রন্টেরাস সমন্বয়ের অভাব এবং সময়মতো অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য স্পেন এবং মরক্কোকে দায়ী করেছেন।

গ্রুপটি বলেছে, যে দুটি দেশ সমুদ্রে আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেয়ে রাজনীতি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।

ক্যামিনান্দো ফ্রন্টেরাসের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হেলেনা ম্যালেনো গারজন বলেছেন, সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যুর রাজনীতি চলছে।

স্পেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ১২ হাজার ১৯২ জন অভিবাসন প্রত্যাশী দেশটিতে নৌকায় এসেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চার শতাংশ কম।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ছয় মাসে স্পেনগামী ৯৫১ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু

আপডেট সময় ০৮:০০:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সমুদ্রপথে ইউরোপের দেশ স্পেনে যাওয়ার চেষ্টাকালে ৪৯ শিশুসহ কমপক্ষে ৯৫১ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে।

স্প্যানিশ অভিবাসন নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ক্যামিনান্দো ফ্রন্টেরাস (ওয়াকিং বর্ডারস) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল-জাজিরা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত অভিবাসন প্রত্যাশীর আলজেরিয়া, ক্যামেরুন, কোমোরোস, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, ইথিওপিয়া, গিনি, আইভরি কোস্ট, মালি, মরক্কো, গাম্বিয়া, সেনেগাল, শ্রীলঙ্কা, সুদান, সিরিয়া এবং গাম্বিয়া নাগরিক ছিলেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রতিদিন গড়ে পাঁচজন মানুষ চারটি ভিন্ন পথ ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ রুট, আলবোরান সাগর রুট, আলজেরিয়ান রুট ও স্ট্রেইট অফ জিব্রাল্টার রুটে প্রাণ হারিয়েছেন।

ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের মাধ্যমে স্পেনে প্রবেশের চেষ্টাকালে রেকর্ড ২৮টি নৌকাডুবির ঘটনায় ৭৭৮ জন লোক প্রাণ হারিয়েছেন। আলবোরান রুটে ২১টি নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত হয়েছে ১০২ জন । জিব্রাল্টার প্রণালীতে ১১টি নৌকাডুবির ঘটনায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি ও জুন মাসে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ফেব্রুয়ারি ২৩৭ জন এবং জুনে ৩৩২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

ক্যামিনান্দো ফ্রন্টেরাস সমন্বয়ের অভাব এবং সময়মতো অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য স্পেন এবং মরক্কোকে দায়ী করেছেন।

গ্রুপটি বলেছে, যে দুটি দেশ সমুদ্রে আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেয়ে রাজনীতি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।

ক্যামিনান্দো ফ্রন্টেরাসের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হেলেনা ম্যালেনো গারজন বলেছেন, সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যুর রাজনীতি চলছে।

স্পেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ১২ হাজার ১৯২ জন অভিবাসন প্রত্যাশী দেশটিতে নৌকায় এসেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চার শতাংশ কম।