০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

রিজার্ভ কমে আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে

বিশেষ প্রতিবেদন
  • আপডেট সময় ০৮:১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩
  • / ১০৪ বার পড়া হয়েছে

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে ১.০৯ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৯.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।

আকুর ৯ সদস্য দেশ হলো বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। আঞ্চলিক আমদানির জন্য প্রতি ২ মাস পর পর নিজস্ব পেমেন্ট গেটওয়েতে বিল পরিশোধ করে তারা।

গত ৫ জুলাই দেশে সঞ্চিত ফরেক্স ছিল ৩১ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের বাজেট সহায়তা পায় বাংলাদেশ। এতে গত ২৬ জুন ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন।

এর আগে মে মাসে আকুর ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে দেশের রিজার্ভ নেমে যায় ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

২০২১ সালের আগস্টে দেশে গচ্ছিত অর্থ ছিল সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার। পরে করোনা-উত্তর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে আমদানি বেড়ে যায়।

পাশাপাশি রেমিট্যান্স কমতে থাকে। ফলে ধীরে ধীরে রিজার্ভ কমে যায়। ইতোমধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

রিজার্ভ কমে আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে

আপডেট সময় ০৮:১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে ১.০৯ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৯.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।

আকুর ৯ সদস্য দেশ হলো বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। আঞ্চলিক আমদানির জন্য প্রতি ২ মাস পর পর নিজস্ব পেমেন্ট গেটওয়েতে বিল পরিশোধ করে তারা।

গত ৫ জুলাই দেশে সঞ্চিত ফরেক্স ছিল ৩১ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের বাজেট সহায়তা পায় বাংলাদেশ। এতে গত ২৬ জুন ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন।

এর আগে মে মাসে আকুর ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে দেশের রিজার্ভ নেমে যায় ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

২০২১ সালের আগস্টে দেশে গচ্ছিত অর্থ ছিল সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার। পরে করোনা-উত্তর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে আমদানি বেড়ে যায়।

পাশাপাশি রেমিট্যান্স কমতে থাকে। ফলে ধীরে ধীরে রিজার্ভ কমে যায়। ইতোমধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে।