০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

সরকারের সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল

মিজানুর রহমান খান
  • আপডেট সময় ১০:৪০:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩
  • / ৯৬ বার পড়া হয়েছে

বর্তমান সরকারের সঙ্গে সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার জনগণকে বোকা বানিয়ে প্রতারিত করে আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু জনগণ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে বিশ্বাস করে আগেও আমরা সংলাপ করে প্রতারিত হয়েছি। তাই নতুন করে আর প্রতারিত হতে চাই না। তবে আওয়ামী লীগের এবার বিরোধীদল ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার আশা পূরণ হবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আবারও বিরোধী দল ছাড়া আওয়ামী লীগ নির্বাচনের পথে হাঁটছে। তবে তাদের সেই আশা এবার পূরণ হবে না। এবার আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচনে গেলে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, এদের সঙ্গে সমঝোতা করে কোনো লাভ হবে না। কারণ, আবারও তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করবে। ফখরুল বলেন, ঋণ করতে করতে বর্তমান সরকার দেশের সকল মানুষকে ঋণগ্রস্ত করে ফেলেছে। সাপ্লাইয়ার্সে ক্রেডিটের নামে ঋণ নিয়ে তারা আজকে দেশকে ফতুর করে ফেলেছে। এরপরও তারা বড় বড় গলায় কথা বলে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন অবশ্যই নির্দলীয় সরকারের অধীনে হতে হবে। বারবার করে বলছি, এই সরকারের কোনো অধিকার নেই তাদের অধীনে নির্বাচন করার।
ফখরুল বলেন, আমি সারাদেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানাব, গণতন্ত্র ও দেশকে বাঁচাতে বর্তমান সরকারকে সরাতে কালবিলম্ব না করে এখনই সবাইকে রাস্তায় নেমে পড়তে হবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটি সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গন সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। তবে আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে দেশের জনগণ ভোটের অধিকার পেলে তাদের রাজনৈতিক পরাজয় হবে। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নিষ্পত্তির চাপ দিচ্ছে।
দেশে গণতন্ত্র নেই মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার পরই গণতন্ত্র হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতিসহ আরও নানা কারণে বাংলাদেশের সামগ্রিক ভাবমূর্তি এখন তলানিতে। আর দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল নয়, গোল মডেল বানিয়েছে বর্তমান সরকার। এর মাধ্যমে দেশকে ফতুর করে দিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের মানুষকে শোষণ করা। আমরা শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। তাই বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। আওয়ামী লীগ গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সড়কে নৈরাজ্য চলছে, অনেকে প্রাণ হারাচ্ছে। সিটি করপোরেশনগুলোও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বডি ক্যামিস্ট্রিতে গণতন্ত্র নেই, আছে শুধু সন্ত্রাস আর চুরি। তাই মানুষ আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। শীঘ্রই রাস্তায় নেমে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারের সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ১০:৪০:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩

বর্তমান সরকারের সঙ্গে সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার জনগণকে বোকা বানিয়ে প্রতারিত করে আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু জনগণ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে বিশ্বাস করে আগেও আমরা সংলাপ করে প্রতারিত হয়েছি। তাই নতুন করে আর প্রতারিত হতে চাই না। তবে আওয়ামী লীগের এবার বিরোধীদল ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার আশা পূরণ হবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আবারও বিরোধী দল ছাড়া আওয়ামী লীগ নির্বাচনের পথে হাঁটছে। তবে তাদের সেই আশা এবার পূরণ হবে না। এবার আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচনে গেলে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, এদের সঙ্গে সমঝোতা করে কোনো লাভ হবে না। কারণ, আবারও তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করবে। ফখরুল বলেন, ঋণ করতে করতে বর্তমান সরকার দেশের সকল মানুষকে ঋণগ্রস্ত করে ফেলেছে। সাপ্লাইয়ার্সে ক্রেডিটের নামে ঋণ নিয়ে তারা আজকে দেশকে ফতুর করে ফেলেছে। এরপরও তারা বড় বড় গলায় কথা বলে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন অবশ্যই নির্দলীয় সরকারের অধীনে হতে হবে। বারবার করে বলছি, এই সরকারের কোনো অধিকার নেই তাদের অধীনে নির্বাচন করার।
ফখরুল বলেন, আমি সারাদেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানাব, গণতন্ত্র ও দেশকে বাঁচাতে বর্তমান সরকারকে সরাতে কালবিলম্ব না করে এখনই সবাইকে রাস্তায় নেমে পড়তে হবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটি সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গন সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। তবে আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে দেশের জনগণ ভোটের অধিকার পেলে তাদের রাজনৈতিক পরাজয় হবে। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নিষ্পত্তির চাপ দিচ্ছে।
দেশে গণতন্ত্র নেই মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার পরই গণতন্ত্র হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতিসহ আরও নানা কারণে বাংলাদেশের সামগ্রিক ভাবমূর্তি এখন তলানিতে। আর দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল নয়, গোল মডেল বানিয়েছে বর্তমান সরকার। এর মাধ্যমে দেশকে ফতুর করে দিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের মানুষকে শোষণ করা। আমরা শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। তাই বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। আওয়ামী লীগ গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সড়কে নৈরাজ্য চলছে, অনেকে প্রাণ হারাচ্ছে। সিটি করপোরেশনগুলোও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বডি ক্যামিস্ট্রিতে গণতন্ত্র নেই, আছে শুধু সন্ত্রাস আর চুরি। তাই মানুষ আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। শীঘ্রই রাস্তায় নেমে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।