০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ইউক্রেন যুদ্ধ রোহিঙ্গা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করেছে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৯:০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
  • / ৯৯ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রোহিঙ্গা সংকট থেকে বিশ্বের মনোযোগ সরে গেছে, যা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। পুরো ফোকাস (দৃষ্টি) এখন যুদ্ধ এবং ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীদের দিকে।

বুধবার (৮ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। কাতারের দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি-৫) ফাঁকে তিনি এই সাক্ষাৎকারটি দেন। বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা যখন নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয়। তখন আমরা তাদের জন্য দুঃখ অনুভব করেছি।

এরপর আমরা সীমান্ত খুলে দিয়ে তাদের আমাদের দেশে আসতে দিয়েছি। এ ছাড়াও মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা তাদের সকলের জন্য আশ্রয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এর পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তারা ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু এটা সত্যিই খুব কঠিন। আমরা তাদের জন্য আলাদা জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করেছি। ভাসান চর থাকার জন্য একটি ভালো জায়গা।

আমরা সেখানে শিশুদের জন্য ভালো থাকার ব্যবস্থা এবং চমৎকার সুবিধার ব্যবস্থা করেছি। কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রার পরিস্থিতি এবং অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আসলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তারা (রোহিঙ্গারা) একে অপরের সঙ্গে লড়াইরত। এ ছাড়া মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচারসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউক্রেন যুদ্ধ রোহিঙ্গা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করেছে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৯:০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রোহিঙ্গা সংকট থেকে বিশ্বের মনোযোগ সরে গেছে, যা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। পুরো ফোকাস (দৃষ্টি) এখন যুদ্ধ এবং ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীদের দিকে।

বুধবার (৮ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। কাতারের দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি-৫) ফাঁকে তিনি এই সাক্ষাৎকারটি দেন। বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা যখন নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয়। তখন আমরা তাদের জন্য দুঃখ অনুভব করেছি।

এরপর আমরা সীমান্ত খুলে দিয়ে তাদের আমাদের দেশে আসতে দিয়েছি। এ ছাড়াও মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা তাদের সকলের জন্য আশ্রয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এর পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তারা ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু এটা সত্যিই খুব কঠিন। আমরা তাদের জন্য আলাদা জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করেছি। ভাসান চর থাকার জন্য একটি ভালো জায়গা।

আমরা সেখানে শিশুদের জন্য ভালো থাকার ব্যবস্থা এবং চমৎকার সুবিধার ব্যবস্থা করেছি। কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রার পরিস্থিতি এবং অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আসলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তারা (রোহিঙ্গারা) একে অপরের সঙ্গে লড়াইরত। এ ছাড়া মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচারসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত।