১১:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

ঈদুল আজহা : বিশ্বজুড়ে ত্যাগ ও আনন্দ ভাগের ঐতিহ্য

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৬:৫৮:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩
  • / ৬৫ বার পড়া হয়েছে

ত্যাগের উৎসব হিসাবে পরিচিত ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে প্রতি বছর আল্লাহর আদেশ অনুসারে মুসলিমরা ছাগল, গরু, ভেড়া এবং অন্যান্য গবাদি পশু কুরবানি করে এবং পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং দরিদ্রদের মধ্যে তা বিলিয়ে দিয়ে দিনটি উদযাপন করে থাকেন।

অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলিম প্রতি বছর সউদী আরবের মক্কায় হজ পালন করতে আসেন। হজের শেষে তারা সামর্থ্য অনুুযায়ী পশু কুরবানি দেন। ঈদুল আযহার নির্দিষ্ট ঐতিহ্য থাকা সত্ত্বেও বিশে^র বিভিন্ন স্থানে মুসলিমরা ধর্মীয় উৎসবটির সাথে আঞ্চলিক সাংস্কৃতিকে একত্রিত করে তাদের নিজস্ব কায়দায় তা পালন করে থাকেন। মধ্যপ্রাচ্যে ঈদ উদযাপনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বিশেষ খাবারের আয়োজন। ইয়েমেন থেকে সিরিয়া পর্যন্ত এই অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি প্রস্তুত করা হয়। অনেক সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী কিছু খাবার শুধুমাত্র এই উৎসবের জন্যই প্রস্তুত করা হয়। মানামার দোকানগুলিতে এই উপলক্ষ্যে ঝুলন্ত জিলাপি থেকে শুরু করে পাগড়ি ও পোশাক সবই বিক্রি হয়। পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে ধূপ থেকে শুরু করে মশাল জ্বালানো পর্যন্ত, কুরবানির ঈদ উদযাপন একটি সংবেদনশীল অভিজ্ঞতা।

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানসহ ভারত উপমহাদেশে ঈদের আগের রাতে তরুণী থেকে শুরু করে বয়স্ক মহিলা পর্যন্ত মেহেদির আল্পনায় হাত সাজানো একটি সাধারণ দৃশ্য। আফ্রিকায় আইভরি কোস্ট থেকে কেনিয়া পর্যন্ত এবং অন্যান্য অনেক মুসলিম দেশে পশু কুরবানি করে বিলি করে দেয়া হয়। ঈদের দিন নাইজেরিয়ার কানো-এর আমিরকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি এনজিওতে সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য বিশেষ খাবার তৈরি করা হয়।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, লাতিন আমেরিকাতে প্রায় ৬০লাখ মুসলিম রয়েছেন। এই অঞ্চলে ঈদ উদযাপন উপাদেয় খাবারদাবার, ঈদের জামাত, এবং পরিবারের সাথে আবর্তিত হয়। পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪০লাখ মুসলিম রয়েছেন। ২০২২ থেকে কানাডিয়ান সরকারের তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে মুসলিমদের সংখ্যা ১৭ লাখেরও বেশি।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে ঈদের সকালে মসজিদে মুসলিম শরণার্থী এবং অভিবাসী সহ বহুসাংস্কৃতিক জামাত হয়। ২০২১ সালের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, অস্ট্রেলিয়ায় ৮লাখেরও বেশি মানুষ মুসলিম বসবাস করেন। ঈদ উপলক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের ইসলামি জামাকাপড় এবং সাজসজ্জা বিক্রির দোকানগুলি অতিথি এবং নও মুসলিমদের স্বাগত জানায়। সূত্র: আল জাজিরা।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈদুল আজহা : বিশ্বজুড়ে ত্যাগ ও আনন্দ ভাগের ঐতিহ্য

আপডেট সময় ০৬:৫৮:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩

ত্যাগের উৎসব হিসাবে পরিচিত ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে প্রতি বছর আল্লাহর আদেশ অনুসারে মুসলিমরা ছাগল, গরু, ভেড়া এবং অন্যান্য গবাদি পশু কুরবানি করে এবং পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং দরিদ্রদের মধ্যে তা বিলিয়ে দিয়ে দিনটি উদযাপন করে থাকেন।

অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলিম প্রতি বছর সউদী আরবের মক্কায় হজ পালন করতে আসেন। হজের শেষে তারা সামর্থ্য অনুুযায়ী পশু কুরবানি দেন। ঈদুল আযহার নির্দিষ্ট ঐতিহ্য থাকা সত্ত্বেও বিশে^র বিভিন্ন স্থানে মুসলিমরা ধর্মীয় উৎসবটির সাথে আঞ্চলিক সাংস্কৃতিকে একত্রিত করে তাদের নিজস্ব কায়দায় তা পালন করে থাকেন। মধ্যপ্রাচ্যে ঈদ উদযাপনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বিশেষ খাবারের আয়োজন। ইয়েমেন থেকে সিরিয়া পর্যন্ত এই অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি প্রস্তুত করা হয়। অনেক সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী কিছু খাবার শুধুমাত্র এই উৎসবের জন্যই প্রস্তুত করা হয়। মানামার দোকানগুলিতে এই উপলক্ষ্যে ঝুলন্ত জিলাপি থেকে শুরু করে পাগড়ি ও পোশাক সবই বিক্রি হয়। পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে ধূপ থেকে শুরু করে মশাল জ্বালানো পর্যন্ত, কুরবানির ঈদ উদযাপন একটি সংবেদনশীল অভিজ্ঞতা।

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানসহ ভারত উপমহাদেশে ঈদের আগের রাতে তরুণী থেকে শুরু করে বয়স্ক মহিলা পর্যন্ত মেহেদির আল্পনায় হাত সাজানো একটি সাধারণ দৃশ্য। আফ্রিকায় আইভরি কোস্ট থেকে কেনিয়া পর্যন্ত এবং অন্যান্য অনেক মুসলিম দেশে পশু কুরবানি করে বিলি করে দেয়া হয়। ঈদের দিন নাইজেরিয়ার কানো-এর আমিরকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি এনজিওতে সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য বিশেষ খাবার তৈরি করা হয়।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, লাতিন আমেরিকাতে প্রায় ৬০লাখ মুসলিম রয়েছেন। এই অঞ্চলে ঈদ উদযাপন উপাদেয় খাবারদাবার, ঈদের জামাত, এবং পরিবারের সাথে আবর্তিত হয়। পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪০লাখ মুসলিম রয়েছেন। ২০২২ থেকে কানাডিয়ান সরকারের তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে মুসলিমদের সংখ্যা ১৭ লাখেরও বেশি।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে ঈদের সকালে মসজিদে মুসলিম শরণার্থী এবং অভিবাসী সহ বহুসাংস্কৃতিক জামাত হয়। ২০২১ সালের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, অস্ট্রেলিয়ায় ৮লাখেরও বেশি মানুষ মুসলিম বসবাস করেন। ঈদ উপলক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের ইসলামি জামাকাপড় এবং সাজসজ্জা বিক্রির দোকানগুলি অতিথি এবং নও মুসলিমদের স্বাগত জানায়। সূত্র: আল জাজিরা।