০৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

ঈদ সালামির কথা বলে শিশুকে ধর্ষণ-হত্যা!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:২৯:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
  • / ৯৭ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীতে ঈদ সালামি দেওয়ার নাম করে এক শিশুকে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত শিশুর নাম আনিকা খাতুন (৮)। সে নগরীর শাহমখদুম থানা রোড নওদাপাড়া এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে।

এর আগে সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পলাশ নামে (২৫) এক হোটেল কর্মচারীকে নাটোর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেখানো স্থান থেকেই শিশু আনিকার মরদেহ উদ্ধার হয়।

জানা গেছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম মো. পলাশ হোসেন (২৫)। নগরীর বড়বনগ্রাম ভাড়ালিপাড়া মহল্লায় তার বাড়ি। বাবার নাম মো. শাহিন আলী। এলাকার একটি খাবারের হোটেলের কর্মচারী পলাশ হোসেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের শাহমখদুম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি)  নুর আলম সিদ্দিকী এসব তথ্য জানিয়ে আরও বলেন, গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে ঈদ সালামি দেওয়ার নাম করে শিশু আনিকাকে ফুসলিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় পলাশ। এরপর ধর্ষণের পর তাকে গলাটিপে হত্যা করে। হত্যার পর আনিকার কানের একটি দুল খুলে নেওয়া হয়। পরে সুযোগ বুঝে আনিকার লাশ পুকুরে ফেলে সে বাসযোগে নাটোর পালিয়ে যায়।

এদিকে আনিকার খোঁজ না পেয়ে তার স্বজনেরা শনিবার সন্ধ্যা থেকে সম্ভাব্য স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এলাকার একটি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে স্বজনেরা দেখতে পান, পলাশ হোসেন শিশু আনিকাকে হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ পলাশকে ধরতে প্রথমে তার বাড়িতে অভিযান চালায় কিন্তু তাকে বাড়িতে পায়নি। পরিবারের লোকেরাও পলাশের গন্তব্য জানাতে পারেনি পুলিশকে।

পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পলাশের অবস্থান শনাক্ত করে। তাকে ধরতে রোববার সকাল থেকেই পুলিশের পাঁচটি টিম মাঠে নামে।

এদিকে রোববার বিকালে শিশু আনিকার বাবা আজিম উদ্দিন পলাশের বিরুদ্ধে আরএমপির শাহমখদুম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়েই পলাশের খোঁজে পুলিশের পাঁচটি টিম অভিযান শুরু করেন। সোমবার ভোরের দিকে নাটোর থেকে পলাশকে গ্রেফতারের পর তার দেখানো মতে আনিকার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।

উপ-কমিশনার নুর আলম সিদ্দিকী আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পলাশ ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেছে। সে ওই শিশুর কানের দুল খুলে নিয়ে এক দোকানে বিক্রি করেছিল। সেটিও পুলিশ উদ্ধার করেছে। নিহত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় শাহমখদুম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি পলাশকে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈদ সালামির কথা বলে শিশুকে ধর্ষণ-হত্যা!

আপডেট সময় ০৯:২৯:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩

রাজশাহীতে ঈদ সালামি দেওয়ার নাম করে এক শিশুকে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত শিশুর নাম আনিকা খাতুন (৮)। সে নগরীর শাহমখদুম থানা রোড নওদাপাড়া এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে।

এর আগে সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পলাশ নামে (২৫) এক হোটেল কর্মচারীকে নাটোর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেখানো স্থান থেকেই শিশু আনিকার মরদেহ উদ্ধার হয়।

জানা গেছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম মো. পলাশ হোসেন (২৫)। নগরীর বড়বনগ্রাম ভাড়ালিপাড়া মহল্লায় তার বাড়ি। বাবার নাম মো. শাহিন আলী। এলাকার একটি খাবারের হোটেলের কর্মচারী পলাশ হোসেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের শাহমখদুম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি)  নুর আলম সিদ্দিকী এসব তথ্য জানিয়ে আরও বলেন, গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে ঈদ সালামি দেওয়ার নাম করে শিশু আনিকাকে ফুসলিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় পলাশ। এরপর ধর্ষণের পর তাকে গলাটিপে হত্যা করে। হত্যার পর আনিকার কানের একটি দুল খুলে নেওয়া হয়। পরে সুযোগ বুঝে আনিকার লাশ পুকুরে ফেলে সে বাসযোগে নাটোর পালিয়ে যায়।

এদিকে আনিকার খোঁজ না পেয়ে তার স্বজনেরা শনিবার সন্ধ্যা থেকে সম্ভাব্য স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এলাকার একটি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে স্বজনেরা দেখতে পান, পলাশ হোসেন শিশু আনিকাকে হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ পলাশকে ধরতে প্রথমে তার বাড়িতে অভিযান চালায় কিন্তু তাকে বাড়িতে পায়নি। পরিবারের লোকেরাও পলাশের গন্তব্য জানাতে পারেনি পুলিশকে।

পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পলাশের অবস্থান শনাক্ত করে। তাকে ধরতে রোববার সকাল থেকেই পুলিশের পাঁচটি টিম মাঠে নামে।

এদিকে রোববার বিকালে শিশু আনিকার বাবা আজিম উদ্দিন পলাশের বিরুদ্ধে আরএমপির শাহমখদুম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়েই পলাশের খোঁজে পুলিশের পাঁচটি টিম অভিযান শুরু করেন। সোমবার ভোরের দিকে নাটোর থেকে পলাশকে গ্রেফতারের পর তার দেখানো মতে আনিকার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।

উপ-কমিশনার নুর আলম সিদ্দিকী আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পলাশ ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেছে। সে ওই শিশুর কানের দুল খুলে নিয়ে এক দোকানে বিক্রি করেছিল। সেটিও পুলিশ উদ্ধার করেছে। নিহত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় শাহমখদুম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি পলাশকে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।