খুলনায় ধরাছোঁয়ার বাইরেঃ রাঘব-বোয়াল থেকে চুনোপুঁটি
- আপডেট সময় ০৮:৩৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৩৯ বার পড়া হয়েছে
গণঅভ্যুত্থানের পর মাস পেরিয়ে গেছে কিন্তু গ্রেপ্তার হননি খুলনা জেলা বা মহানগরীর প্রভাবশালী কোনো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী । রাঘব-বোয়াল তো দূরে থাক চুনোপুঁটিও ধরেনি পুলিশ। গত এক মাসে একজন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের নেতাও গ্রেপ্তার হয়নি।
প্রথম সারির নেতাদের নামে একাধিক মামলা হলেও তাদের কাউকেও খুঁজে এনে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
হাসিনা সরকারের সময়ে রাজনৈতিক হত্যা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রায় ২ ডজনের বেশি মামলা হয়েছে খুলনায়। এমপি-মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীরা এখনও পলাতক। আত্মগোপনে রয়েছেন তারা।
হামলা-মামলার ভয়ে আত্মীয়-স্বজনের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। গোপনে দেশ ছেড়েছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার দেশত্যাগের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দলের সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও গা-ঢাকা দিয়েছেন। সারা দেশে অনেক হেভিওয়েট নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হলেও খুলনায় গ্রেপ্তার নেই। নেই কোনো অস্ত্র উদ্ধারও।
এসব কারণে সব মহলে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
প্রভাবশালী নেতাদের নামে যত মামলা
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, আ.লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, মহানগর সাধারণ সম্পাদক এম ডিএ বাবুল রানাসহ আওয়ামী লীগের ৭৫ নেতার নামে মামলা করেছে বিএনপি।
৭নং ওয়ার্ড বিএনপি অফিস ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ গত ২১ আগস্ট মহানগরীর খালিশপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন নগরীর ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ইলিয়াস শেখ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪ চাচাতো ভাই খুলনা-২ সংসদ সদস্য শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, শেখ সোহেল, শেখ রুবেল ও শেখ বাবু, সাবেক খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের বিরুদ্ধে ২টি মামলা হয়েছে।
খুলনার খালিশপুর থানায় ৯নং ও ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে পৃথক মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে। ৯নং ওয়ার্ডের শেখ দবীর ও ১৫ নং ওয়ার্ডের কাজী মো. ইকরাম মিন্টু বাদী হয়ে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) গভীর রাতে মামলা দুটো দায়ের করেন। দুটি মামলার বেশিরভাগ আসামি একই ব্যক্তি।
খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীসহ ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিএনপি কর্মী সোহেল পারভেজ কাকন বাদী হয়ে গত ২৭ আগস্ট দিঘলিয়া থানায় এ মামলার দায়ের করেছেন।
খুলনায় বিএনপি কর্মী শেখ সাজ্জাদুজামান জিকোকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে প্রায় ৭৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সমিতির সাবেক সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এস এম তারিক মাহমুদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সমিতির বর্তমান সদস্যসচিব শেখ নুরুল হাসান রুবা বাদী হয়ে গত ২৮ আগস্ট খুলনা সদর থানায় মামলাটি করেন।
খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী বাদী হয়ে গত ২৯ আগস্ট ফুলতলা থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্যান্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলালউদ্দিন, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, শেখ সোহেল, শেখ রুবেল, শেখ বেলালউদ্দিন, খুলনা সিটির সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম, কামাল হোসেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. ডি. বাবুল রানা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী।
দিঘলিয়া থানায় খুলনা- ৪ আসনের সাবেক এমপি আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে প্রধান আসামি করে ৮৪ জনের নামল্লেখসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট দিঘলিয়া থানায় দায়ের করা মামলার বাদী হয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. খাইরুল ইসলাম। ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় দিঘলিয়ার পুটিমারী বটতলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এ ঘটনা ঘটে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের সমন্বয়কারী শেখ রাফসান জানিকে জীবননাশের হুমকি ও গুলি করে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি নাসিমের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫জনকে আসামি করে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আহত রাফসান জানির বাবা অ্যাডভোকেট শেখ রফিকুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক শেখ সোহেলের বিরুদ্ধে ৬০ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম মুহাম্মদ আনিসুজ্জামানকেও আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস আর ট্রেডার্সের মালিক শেখ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে খুলনা মহানগর হাকিম মো. তরিকুল ইসলামের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ চাচাতো ভাই শেখ হেলাল, শেখ জুয়েল,শেখ সোহেল, শেখ রুবেল, শেখ বাবু ও সাবেক সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাবেক এমপি বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, এস এম কামাল হোসেন, আব্দুস সালাম মুর্শিদীসহ আওয়ামী লীগের ২১৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফুলতলা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আনোয়ার হোসেন বাবু বাদী হয়ে দিঘলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তার।
রাঘব-বোয়ালরা পলাতক
শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশ ছাড়ার পর আত্মগোপনে চলে গেছেন খুলনা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারা। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, তার স্ত্রী বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনের সাবেক এমপি হাবিবুন নাহার, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. ডি. বাবুল রানা খুলনা-১ আসনের সাবেক এমপি ননী গোপাল মণ্ডল, খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা-৪ আসনের সাবেক এমপি শিল্পপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, খুলনা-৫ আসনের সাবেক এমপি ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, খুলনা-৬ আসনের সাবেক এমপি মো. রশীদুজ্জামান মোড়ল, আক্তারুজ্জামান বাবু, শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক এমপি শেখ হেলাল, তার ছেলে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ তন্ময়, যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সোহেল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের সাবেক সহসভাপতি শেখ রুবেল, শেখ বেলাল উদ্দিন, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনার রশিদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম।
নিষ্ক্রিয় পুলিশ বাহিনী, সক্রিয় সন্ত্রাসীরা
এদিকে দায়িত্ব পালনে পুলিশ সদস্যদের অনেকটা গাছাড়া ভাব থাকায় খুলনায় আত্মগোপনে থাকা সন্ত্রাসীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।
খুলনার আলোচিত সন্ত্রাসী আশিক বাহিনীর সদস্যদের শিপইয়ার্ড সড়কের রূপসা স্ট্যান্ড রোডে রামদা, হকিস্টিক, চায়নিজ কুড়াল, পিস্তল নিয়ে মহড়া দিতে দিতে দেখা গেছে। এছাড়া নগরীর শেখপাড়া এলাকায় চায়নিজ কুড়াল, পাইপগান, রামদা, বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে এক দল যুবককে। তাদের নেতা শেখপাড়া বাজার এলাকার আমীর চাঁনের ছেলে শামীম খুলনার আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর অন্যতম সহযোগী। আত্মগোপনে থাকা আলোচিত সন্ত্রাসী নূর আজিম ও তাদের সহযোগীরা এখন এলাকায়।
মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজনের সহযোগী পরিচয় দিয়ে ছোট বয়রা শ্মশানঘাট এলাকার এজাজ বিভিন্ন জায়গায় হুমকি ধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিরালা ও নাজির ঘাট এলাকায় বেশ কয়েকটি অপরাধচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যাদের মধ্যে কিশোর গ্যাংয়েরও সদস্য রয়েছে কয়েকজন।
গ্রেপ্তার না হওয়া বাড়ছে ক্ষোভ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে চোখ হারানো খুলনার আব্দুল্লাহ শাফিল বাংলানিউজকে বলেন, আন্দোলনরত নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করেছে যেসব আধিপত্যবাদী ও দলান্ধ পুলিশ সদস্য, যারা আমার চোখ নষ্ট করে দিয়েছে। তাদের কেউ এখনো কেউ গ্রেপ্তার হননি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা এখন লাপাত্তা।
শাফিলের মতে, ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে সংঘটিত গণ–অভ্যুত্থানের ফসল ঘরে তুলতে হলে সবার আগে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ তাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে তারা ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে।
এক দফা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী এসএম মারুফ আহমেদ বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার, অনৈতিক কার্যক্রম, নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম খুন করেছে খুনি হাসিনা সরকারের খুলনার নেতাকর্মীরা। এদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কয়েক ডজন। সারা দেশে অনেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে। অথচ খুলনায় রাঘব বোয়াল থেকে চুনোপুঁটি কাউকেই ধরতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিজেকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগের অনেকে এখন দল ছাড়ছেন। যা দেখে আমরা বিস্মিত। অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথ অভিযানে এসব খুনি, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ীদের যাতে গ্রেপ্তার করা হয় তার জোর দাবি জানাচ্ছি।
খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, খুলনায় সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, র্যাব ও আনসারের সমন্বয়ে যৌথ অপারেশন টিমের চোখে পড়ার মতো অভিযান দেখা যাচ্ছে না। অবৈধ কোনো অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এছাড়া বৈধ অস্ত্র যারা জমা দেননি তাও উদ্ধার হয়নি। এতে খুলনাবাসী হতাশ। বিষয়টি নিয়ে যৌথবাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এত মামলা ও অভিযোগের পাহাড় থাকার পরও কেন আসামিরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না – এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তা।
তবে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো.তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের ধরতে অভিযান চলছে।