১২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের ৩৬ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৯:০৬:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ২৩৮ বার পড়া হয়েছে

দারিদ্র্য হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও পুষ্টির স্তর উন্নয়ন প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের ২০২৩ সালের ফুড সিকিউরিটি মনিটরিং অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের একটি হোটেলে আয়োজিত প্রশিক্ষণ শিবিরে বক্তারা এ মত তুলে ধরেন। নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের অর্থায়নে, ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচি (বিএইচপি)-র ‘অ্যাডোপ্টিং এ মাল্টিসেক্টরাল অ্যাপ্রোচ ফর নিউট্রিশন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। পুষ্টি উন্নয়নে বহুমাত্রিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের ‘মাল্টিসেক্টরাল মিনিমাম নিউট্রিশন প্যাকেজ’ বাস্তবায়নে করণীয় ঠিক করতে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার অঞ্চলে অপুষ্টির হার অত্যন্ত বেশি। যেখানে ২৯ ভাগ শিশু কম ওজনসম্পন্ন এবং ৩৫ ভাগ শিশুই খর্বাকৃতিতে ভুগে থাকে। এই প্রেক্ষাপটে অপুষ্টি দূর করে জনসাধারণকে সচেতন করবার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রশিক্ষণে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা এবং মাঠ পর্যায়ের মোট ৫০ জন কর্মী অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাহাব উদ্দিন। এতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অসীম বরন সেন, সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতিকুর রহমান মিঞা, বিএইচপির পল্লী কর্মসূচির অপারেশন প্রধান ডা. মনোয়ারুল আজিজ প্রমুখ। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের প্রকল্প কর্মকর্তা অমিত কুমার মালাকার। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএইচপি-র এরিয়া ইনচার্জ মেহনাজ বিনতে আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পুষ্টির মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি বার্তাসমূহ সকলের নিকট পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এইক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ বিভাগের সকল মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের আরও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’ অনুষ্ঠানে বিএইচপি-র কর্মসূচি প্রধান ডা. মনোয়ারুল আজিজ বলেন, ‘পুষ্টি উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় দরিদ্র পরিবারের জন্য পুষ্টিকর খাবার অপরিহার্য। সেজন্য বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবারের পাশাপাশি পুষ্টিগুনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রচারণা বাড়াতে হবে। তিনি অপুষ্টি দূরীকরণ ও সমস্যা মোকাবিলায় সরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি সংস্থাকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।’ প্রশিক্ষণ শিবিরে খাদ্যের নানা উপাদান ব্যবহার করে খাবারের পুষ্টিগুন বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়া এবং পুষ্টির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া, পুষ্টি উন্নয়নে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের ব্যবহারিক জ্ঞান বাড়ানোর প্রতিও গুরুত্বারোপ করা হয়। নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল-এর সহায়তায় ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির অধীন ‘অ্যাডোপ্টিং এ মাল্টিসেক্টরাল অ্যাপ্রোচ ফর নিউট্রিশন’ নামে একটি প্রকল্প কক্সবাজারের আটটি উপজেলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অপুষ্টি দূর করতে কাজ করছে। এ প্রকল্পের আওতায় যা রয়েছে, তা হলো- সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, পুষ্টির জন্য বহুমুখী পদক্ষেপ ও কক্সবাজারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচির মাধ্যমে অতিদরিদ্রদের পুষ্টি উন্নয়ন।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের ৩৬ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে

আপডেট সময় ০৯:০৬:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দারিদ্র্য হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও পুষ্টির স্তর উন্নয়ন প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের ২০২৩ সালের ফুড সিকিউরিটি মনিটরিং অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের একটি হোটেলে আয়োজিত প্রশিক্ষণ শিবিরে বক্তারা এ মত তুলে ধরেন। নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের অর্থায়নে, ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচি (বিএইচপি)-র ‘অ্যাডোপ্টিং এ মাল্টিসেক্টরাল অ্যাপ্রোচ ফর নিউট্রিশন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। পুষ্টি উন্নয়নে বহুমাত্রিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের ‘মাল্টিসেক্টরাল মিনিমাম নিউট্রিশন প্যাকেজ’ বাস্তবায়নে করণীয় ঠিক করতে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার অঞ্চলে অপুষ্টির হার অত্যন্ত বেশি। যেখানে ২৯ ভাগ শিশু কম ওজনসম্পন্ন এবং ৩৫ ভাগ শিশুই খর্বাকৃতিতে ভুগে থাকে। এই প্রেক্ষাপটে অপুষ্টি দূর করে জনসাধারণকে সচেতন করবার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রশিক্ষণে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা এবং মাঠ পর্যায়ের মোট ৫০ জন কর্মী অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাহাব উদ্দিন। এতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অসীম বরন সেন, সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতিকুর রহমান মিঞা, বিএইচপির পল্লী কর্মসূচির অপারেশন প্রধান ডা. মনোয়ারুল আজিজ প্রমুখ। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের প্রকল্প কর্মকর্তা অমিত কুমার মালাকার। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএইচপি-র এরিয়া ইনচার্জ মেহনাজ বিনতে আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পুষ্টির মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি বার্তাসমূহ সকলের নিকট পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এইক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ বিভাগের সকল মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের আরও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’ অনুষ্ঠানে বিএইচপি-র কর্মসূচি প্রধান ডা. মনোয়ারুল আজিজ বলেন, ‘পুষ্টি উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় দরিদ্র পরিবারের জন্য পুষ্টিকর খাবার অপরিহার্য। সেজন্য বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবারের পাশাপাশি পুষ্টিগুনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রচারণা বাড়াতে হবে। তিনি অপুষ্টি দূরীকরণ ও সমস্যা মোকাবিলায় সরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি সংস্থাকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।’ প্রশিক্ষণ শিবিরে খাদ্যের নানা উপাদান ব্যবহার করে খাবারের পুষ্টিগুন বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়া এবং পুষ্টির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া, পুষ্টি উন্নয়নে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের ব্যবহারিক জ্ঞান বাড়ানোর প্রতিও গুরুত্বারোপ করা হয়। নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল-এর সহায়তায় ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির অধীন ‘অ্যাডোপ্টিং এ মাল্টিসেক্টরাল অ্যাপ্রোচ ফর নিউট্রিশন’ নামে একটি প্রকল্প কক্সবাজারের আটটি উপজেলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অপুষ্টি দূর করতে কাজ করছে। এ প্রকল্পের আওতায় যা রয়েছে, তা হলো- সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, পুষ্টির জন্য বহুমুখী পদক্ষেপ ও কক্সবাজারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচির মাধ্যমে অতিদরিদ্রদের পুষ্টি উন্নয়ন।