১০:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

সুইডেনে এবার ইহুদি ধর্মগ্রন্থ ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩১:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩
  • / ৫২ বার পড়া হয়েছে

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে অবস্থিত ইসরাইলি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ ও ইহুদিদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ তোরাহ (তাওরাত) পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে দেশটির পুলিশ। একই সময়ে বাইবেলও পোড়ানো হবে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সুইডিশ পুলিশ।  ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর অনুমতি দেওয়ায় ইসরাইলসহ বিভিন্ন ইহুদি সংগঠন নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তীব্র ক্ষোভও প্রকাশ করেছে। সিএনএন, এএফপি।

অনুমতি পাওয়া ওই বিক্ষোভ এবং তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর কর্মসূচি  স্থানীয় সময় শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কয়েক সপ্তাহ আগেই স্টকহোমের একটি মসজিদের সামনে ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন পোড়ানোর জের ধরে এবার তোরাহ পোড়ানোর পালটা কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।

তবে যারা ওই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে, তাদের ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদেই তারা শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তোরাহ ও বাইবেল পুড়িয়ে দেবে। বিষয়টিকে আবেদনকারীরা তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হিসাবে আখ্যায়িত করেছে।

তবে অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে বার্তা সংস্থা এএফপিকে স্টকহোম পুলিশ বলেছে, সুইডিশ আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই জনগণকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সে সময় পরিচালিত কার্যকলাপের জন্য নয়।

স্টকহোম পুলিশের প্রেস অফিসার ক্যারিনা স্কেগারলিন্ড বলেন, ‘পুলিশ ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর অনুমতি দেয় না। পুলিশ জনসমাবেশ করার এবং মতপ্রকাশের অনুমতি দেয়।’

ঈদের দিন মসজিদের সামনে কুরআন শরিফ পোড়ানো অনুমতি দেওয়ার প্রতিবাদে ইসরাইলের যেসব ব্যক্তিত্ব তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগও রয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে সুইডেনে পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানোর অনুমতি দেওয়ার নিন্দা জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মুসলমানদের পবিত্র কুরআন পোড়ানোর নিন্দা জানিয়েছি। কিন্তু হৃদয়বিদারক হলো, একই পরিণতি ইহুদি জনগণের চিরন্তন গ্রন্থের জন্যও অপেক্ষা করছে।’

ওয়ার্ল্ড জায়োনিস্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান ইয়াকভ হ্যাগোয়েল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়, বরং ইহুদিবিদ্বেষ।’

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

সুইডেনে এবার ইহুদি ধর্মগ্রন্থ ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি

আপডেট সময় ১০:৩১:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে অবস্থিত ইসরাইলি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ ও ইহুদিদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ তোরাহ (তাওরাত) পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে দেশটির পুলিশ। একই সময়ে বাইবেলও পোড়ানো হবে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সুইডিশ পুলিশ।  ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর অনুমতি দেওয়ায় ইসরাইলসহ বিভিন্ন ইহুদি সংগঠন নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তীব্র ক্ষোভও প্রকাশ করেছে। সিএনএন, এএফপি।

অনুমতি পাওয়া ওই বিক্ষোভ এবং তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর কর্মসূচি  স্থানীয় সময় শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কয়েক সপ্তাহ আগেই স্টকহোমের একটি মসজিদের সামনে ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন পোড়ানোর জের ধরে এবার তোরাহ পোড়ানোর পালটা কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।

তবে যারা ওই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে, তাদের ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদেই তারা শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তোরাহ ও বাইবেল পুড়িয়ে দেবে। বিষয়টিকে আবেদনকারীরা তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হিসাবে আখ্যায়িত করেছে।

তবে অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে বার্তা সংস্থা এএফপিকে স্টকহোম পুলিশ বলেছে, সুইডিশ আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই জনগণকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সে সময় পরিচালিত কার্যকলাপের জন্য নয়।

স্টকহোম পুলিশের প্রেস অফিসার ক্যারিনা স্কেগারলিন্ড বলেন, ‘পুলিশ ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর অনুমতি দেয় না। পুলিশ জনসমাবেশ করার এবং মতপ্রকাশের অনুমতি দেয়।’

ঈদের দিন মসজিদের সামনে কুরআন শরিফ পোড়ানো অনুমতি দেওয়ার প্রতিবাদে ইসরাইলের যেসব ব্যক্তিত্ব তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগও রয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে সুইডেনে পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানোর অনুমতি দেওয়ার নিন্দা জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মুসলমানদের পবিত্র কুরআন পোড়ানোর নিন্দা জানিয়েছি। কিন্তু হৃদয়বিদারক হলো, একই পরিণতি ইহুদি জনগণের চিরন্তন গ্রন্থের জন্যও অপেক্ষা করছে।’

ওয়ার্ল্ড জায়োনিস্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান ইয়াকভ হ্যাগোয়েল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়, বরং ইহুদিবিদ্বেষ।’