১০:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

সৌদি দূতাবাসে আশ্রিত নারীদের ধর্ষণ, চাকরি গেল উপ-সচিবের

প্রবাস ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩
  • / ১৭৫ বার পড়া হয়েছে

সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে গিয়ে নির্যাতনের শিকার নারীদের রাখা হতো দূতাবাসের সেফহোমে। দূতাবাসের কাউন্সেলর হিসেবে সেই নারীদের অপ্রয়োজনে ডেকে পাঠাতেন। একান্ত সাক্ষাৎকারের নামে তাদের অশ্লীল প্রশ্ন করতেন। বিভিন্নভাবে হেনস্তা এবং ধর্ষণও করেছেন।

এসব গুরুতর অভিযোগ সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক কাউন্সেলর মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে। তিনি সরকারের একজন উপ-সচিব। বিসিএস ২১তম ব্যাচের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে সরকার।

গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বলছে, উপ-সচিব মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ২০২০ সালে। তিনি তখন রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর ছিলেন। একই বছর সংশ্লিষ্ট দূতাবাস একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি রিয়াদ থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এত দিন তিনি বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত ছিলেন। আজ তাকে চূড়ান্তভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযোগের বিষয়ে মেহেদী হাসানকে লিখিতভাবে প্রথমে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এই কর্মকর্তা লিখিত ও ব্যক্তিগত শুনানিতে যে জবাব দিয়েছেন, তা সন্তোষজনক হয়নি। এ বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি তাকে দ্বিতীয়বারের মতো কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এবারও তিনি সন্তোষজনক বক্তব্য দিতে পারেননি। অবশেষে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা-আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ৩ (খ)  অনুযায়ী গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে সরকারি কর্ম-কমিশনের (পিএসসি) পরামর্শও চাওয়া হয়। তাকে গুরুদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি ও পিএসসি অনুমোদন দিয়েছে। মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধি অনুযায়ী গুরুদণ্ড হিসেবে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

সৌদি দূতাবাসে আশ্রিত নারীদের ধর্ষণ, চাকরি গেল উপ-সচিবের

আপডেট সময় ০৭:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩

সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে গিয়ে নির্যাতনের শিকার নারীদের রাখা হতো দূতাবাসের সেফহোমে। দূতাবাসের কাউন্সেলর হিসেবে সেই নারীদের অপ্রয়োজনে ডেকে পাঠাতেন। একান্ত সাক্ষাৎকারের নামে তাদের অশ্লীল প্রশ্ন করতেন। বিভিন্নভাবে হেনস্তা এবং ধর্ষণও করেছেন।

এসব গুরুতর অভিযোগ সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক কাউন্সেলর মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে। তিনি সরকারের একজন উপ-সচিব। বিসিএস ২১তম ব্যাচের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে সরকার।

গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বলছে, উপ-সচিব মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ২০২০ সালে। তিনি তখন রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর ছিলেন। একই বছর সংশ্লিষ্ট দূতাবাস একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি রিয়াদ থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এত দিন তিনি বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত ছিলেন। আজ তাকে চূড়ান্তভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযোগের বিষয়ে মেহেদী হাসানকে লিখিতভাবে প্রথমে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এই কর্মকর্তা লিখিত ও ব্যক্তিগত শুনানিতে যে জবাব দিয়েছেন, তা সন্তোষজনক হয়নি। এ বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি তাকে দ্বিতীয়বারের মতো কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এবারও তিনি সন্তোষজনক বক্তব্য দিতে পারেননি। অবশেষে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা-আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ৩ (খ)  অনুযায়ী গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে সরকারি কর্ম-কমিশনের (পিএসসি) পরামর্শও চাওয়া হয়। তাকে গুরুদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি ও পিএসসি অনুমোদন দিয়েছে। মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধি অনুযায়ী গুরুদণ্ড হিসেবে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।