০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
“রবীন্দ্রাথের মত প্রতিভাকে বুঝে ওঠা শক্ত, তিনি চাইলে হয়তো থ্রিলার ঘরানাতেও তার কলম সাবলীল হত।”

রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে ফেইসবুক চালাতেন? যা বললেন ঋত্বিক চক্রবর্তী

বিনোদন ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১২:০১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

 

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে কীভাবে ফেইসবুকসহ সোশাল মিডিয়ার আরও নানা মাধ্যম ব্যবহার করতেন সে বিষয়ে নিজস্ব ধারণা তুলে ধরেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী।

রবীন্দ্রনাথ আত্মনিয়ন্ত্রণে সোশাল মিডিয়া থেকে নিজেকে এবং অল্পবয়সীদের দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা চালাতেন বলে মনে করেন এই অভিনেতা।

‘রবীন্দ্র কাব্য রহস্য’ মুক্তির পর এই সিনেমার অভিনেতা ঋত্বিক সোশাল মিডিয়া এবং রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজারের কাছে এ মন্তব্য করেছেন।

 

 

পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল তার এই সিনেমায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়ের পাশাপাশি রহস্যের জালে বন্দি করেছেন এই সময়কে।

সিনেমা নিয়ে কথায় কথায় ঋত্বিকের কাছে আনন্দবাজারের প্রশ্ন ছিল, রবীন্দ্রনাথ থাকলে সোশাল মিডিয়ায় তার পদচারণা কেমন হত বলে মনে হয়?

ঋত্বিকের কথায়, “কবি কিছুতেই আমাদের মত হতেন না। সোশাল মিডিয়ার অতি ব্যবহারের কুফল সহজেই ধরে ফেলতে পারতেন তিনি। নিজেও তার থেকে দূরে থাকতেন। বাকিদেরও দূরে থাকার পরামর্শ দিতেন। সাবধান করতেন ছোটদের।”

রবীন্দ্রনাথ একুশের সাহিত্যিক হলে তাকেও ‘থ্রিলার’ লিখতে হত কী না প্রসঙ্গে ঋত্বিক বলেন. “তার মত প্রতিভাকে বুঝে ওঠা শক্ত। তিনি চাইলে হয়তো এই ঘরানাতেও তার কলম সাবলীল হত।”

এই সিনেমার সময়কাল ১৯১২ সালের লন্ডন এবং ২০২১ সালের এর লন্ডন ও কলকাতা। মূল গল্প ১০০ বছরের ব্যবধানে ঘটে যাওয়া ছয়টি খুনের ঘটনা ঘিরে। যার তিনটি ঘটে ১৯২১ সালে, আর তিনটি ২০২১ সালে।।

 

রবীন্দ্রনাথের ভূমিকায় প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়।

 

একের পর এক খুন করে খুনি মৃতদেহের পাশে রবীন্দ্রনাথের কবিতার ক্লু রেখে যায়।

কলকাতা পুলিশ খুনি ধরেন সাহায্য নেয় কবি-গোয়েন্দা অভীক সেনের।

এক দিন ঋত্বিকের হাতে আসে এক শতাব্দীর পুরনো একটি চিঠি, যেখানে ১৯২১ সালের লন্ডনে ঘটে যাওয়া তিনটি খুনের কথা বলা আছে, আর আছে এক হারিয়ে যাওয়া পান্ডুলিপির সূত্র। সেই সূত্র ধরেই অভীক পৌঁছান লন্ডনে। এই চরিত্রে ঋত্বিক চক্রবর্তী অভিনয় করেছেন।

অভীকের হাতে রয়েছে এক জটিল ধাঁধা, যার রহস্য ভেদ করা সম্ভব হলে পাওয়া যেতে পারে অপ্রকাশিত রবীন্দ্র কাব্য।

সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথের ভূমিকায় কাজ করেছেন প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়।

 

বিনোদন ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“রবীন্দ্রাথের মত প্রতিভাকে বুঝে ওঠা শক্ত, তিনি চাইলে হয়তো থ্রিলার ঘরানাতেও তার কলম সাবলীল হত।”

রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে ফেইসবুক চালাতেন? যা বললেন ঋত্বিক চক্রবর্তী

আপডেট সময় ১২:০১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

 

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে কীভাবে ফেইসবুকসহ সোশাল মিডিয়ার আরও নানা মাধ্যম ব্যবহার করতেন সে বিষয়ে নিজস্ব ধারণা তুলে ধরেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী।

রবীন্দ্রনাথ আত্মনিয়ন্ত্রণে সোশাল মিডিয়া থেকে নিজেকে এবং অল্পবয়সীদের দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা চালাতেন বলে মনে করেন এই অভিনেতা।

‘রবীন্দ্র কাব্য রহস্য’ মুক্তির পর এই সিনেমার অভিনেতা ঋত্বিক সোশাল মিডিয়া এবং রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজারের কাছে এ মন্তব্য করেছেন।

 

 

পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল তার এই সিনেমায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়ের পাশাপাশি রহস্যের জালে বন্দি করেছেন এই সময়কে।

সিনেমা নিয়ে কথায় কথায় ঋত্বিকের কাছে আনন্দবাজারের প্রশ্ন ছিল, রবীন্দ্রনাথ থাকলে সোশাল মিডিয়ায় তার পদচারণা কেমন হত বলে মনে হয়?

ঋত্বিকের কথায়, “কবি কিছুতেই আমাদের মত হতেন না। সোশাল মিডিয়ার অতি ব্যবহারের কুফল সহজেই ধরে ফেলতে পারতেন তিনি। নিজেও তার থেকে দূরে থাকতেন। বাকিদেরও দূরে থাকার পরামর্শ দিতেন। সাবধান করতেন ছোটদের।”

রবীন্দ্রনাথ একুশের সাহিত্যিক হলে তাকেও ‘থ্রিলার’ লিখতে হত কী না প্রসঙ্গে ঋত্বিক বলেন. “তার মত প্রতিভাকে বুঝে ওঠা শক্ত। তিনি চাইলে হয়তো এই ঘরানাতেও তার কলম সাবলীল হত।”

এই সিনেমার সময়কাল ১৯১২ সালের লন্ডন এবং ২০২১ সালের এর লন্ডন ও কলকাতা। মূল গল্প ১০০ বছরের ব্যবধানে ঘটে যাওয়া ছয়টি খুনের ঘটনা ঘিরে। যার তিনটি ঘটে ১৯২১ সালে, আর তিনটি ২০২১ সালে।।

 

রবীন্দ্রনাথের ভূমিকায় প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়।

 

একের পর এক খুন করে খুনি মৃতদেহের পাশে রবীন্দ্রনাথের কবিতার ক্লু রেখে যায়।

কলকাতা পুলিশ খুনি ধরেন সাহায্য নেয় কবি-গোয়েন্দা অভীক সেনের।

এক দিন ঋত্বিকের হাতে আসে এক শতাব্দীর পুরনো একটি চিঠি, যেখানে ১৯২১ সালের লন্ডনে ঘটে যাওয়া তিনটি খুনের কথা বলা আছে, আর আছে এক হারিয়ে যাওয়া পান্ডুলিপির সূত্র। সেই সূত্র ধরেই অভীক পৌঁছান লন্ডনে। এই চরিত্রে ঋত্বিক চক্রবর্তী অভিনয় করেছেন।

অভীকের হাতে রয়েছে এক জটিল ধাঁধা, যার রহস্য ভেদ করা সম্ভব হলে পাওয়া যেতে পারে অপ্রকাশিত রবীন্দ্র কাব্য।

সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথের ভূমিকায় কাজ করেছেন প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়।

 

বিনোদন ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম