১২:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
বিলটি আইনে পরিণত হলে এর হাত ধরে ফেডারেল করের পরিমাণ কমবে, সামরিক খাত ও সীমান্ত নিরাপত্তায় ব্যয় বাড়বে এবং মেডিকেইডের মতো কর্মসূচিতে কম ব্যয় হবে।

মার্কিন সেনেটে প্রথম ধাপ পার করল ট্রাম্পের ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৪:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত মার্কিন ক্যাপিটল ভবন। ফাইল ছবি। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সেনেটের রিপাবলিকানরা দেশটির প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ পাসের পথে এক ধাপ অগ্রসর হল।

বিশাল ব্যয় এবং কর কমানোর বিলটি উচ্চকক্ষে আলোচনার জন্য উঠবে কিনা শনিবার রাতে সেই ভোট হয়েছে। তাতে ট্রাম্পের এই ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ ৫১-৪৯ ব্যবধানে উৎরেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।

এখন সেনেটররা বিলটি নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক করবেন; সুযোগ থাকবে নানান সংশোধনী ঢোকানোরও।

বিলটি আইনে পরিণত হলে এর হাত ধরে ফেডারেল করের পরিমাণ কমবে, সামরিক খাত ও সীমান্ত নিরাপত্তায় ব্যয় বাড়বে এবং মেডিকেইডের মতো কর্মসূচিতে কম ব্যয় হবে।

ট্রাম্প ৪ জুলাইয়ের মধ্যে বিলে স্বাক্ষর করে সেটিকে আইনে পরিণত করতে চান। কিন্তু সে পর্যন্ত যেতে বিলটিকে আরও বেশ কয়েকটি ধাপ পাড়ি দিতে হবে।

তর্ক-বিতর্কের পর সেনেটে সংশোধনীসহ গৃহীত হলে বিলটি ফের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে আলোচনা ও ভোটের জন্য যাবে। দুই কক্ষ বিলের একই সংস্করণে একমত না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট তাতে স্বাক্ষর করতে পারবেন না।

শনিবার রাতের ৫১-৪৯ ব্যবধানে জেতাকে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘অসাধারণ বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন। এজন্য চার রিপাবলিকান রিক স্কট, মাইক লি, রন জনসন ও সিনথিয়া লামিসকে ধন্যবাদও দিয়েছেন তিনি।

এদিন দুই রিপাবলিকান বিপক্ষেও ভোট দিয়েছেন। তারা হলেন- থম তিলিস ও র‌্যান্ড পল। ট্রাম্প পরে এ দুজনের সমালোচনা করেছেন।

দোদুল্যমান রিপাবলিকানদের মন জয় করতে এদিন ক্যাপিটলে যান ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও। তিনি কয়েক সেনেটরের সঙ্গে দেখা করে তাদের ভোট পক্ষে আনার জোর চেষ্টা চালান। সেনেটর লিসা মুরকোওস্কি প্রথমে বিলটি সেনেটে আলোচনার জন্য উত্থাপনের বিপক্ষে অবস্থান নেবেন বলে জানালেও তার রাজ্য আলাস্কার সুবিধা হবে এমন কিছু জিনিস বিলে সংযুক্ত হওয়ার পর তিনি মত বদলান।

এদিকে সেনেটের ডেমোক্র্যাটরা বিলটি পাস যেন দেরিতে হয় তা নিশ্চিতে পার্লামেন্টের সহকারীদেরকে পুরো বিলটি জোরে জোরে পড়ার দায়িত্ব দিয়েছেন, যা শেষ হতে ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যেতে পারে, বলছে সিএনএন।

বিলটি পড়ার পর হবে বিতর্ক এবং তারপর ‘ভোট-আ-রামা’ নামের দীর্ঘ অধিবেশন, যেখানে একের পর এক সংশোধনী উত্থাপিত হতে থাকে, এবং সেগুলো নিয়ে ভোট হয়। এবার এ ‘বিগ, বিউটিফুল বিলের’ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সংশোধনীই ডেমোক্র্যাটদের দেওয়ার কথা। সব দ্রুতগতিতে এগোলে সোমবার বিলটি নিয়ে চূড়ান্ত ভোট হতে পারে।

নিম্নকক্ষের স্পিকার মাইক জনসন রিপাবলিকানদেরকে এখনই সেনেটে ওঠা বিলটির বিপক্ষে কিছু না বলতে অনুরোধ করেছেন, কেননা এটির অনেক জায়গায় সংশোধনী আসতে পারে।

তবে প্রতিনিধি পরিষদের দুই রিপাবলিকান আগেই জানিয়েছেন, মেডিকেইড প্রকল্পে পরিবর্তন থাকায় তারা বিলটি পছন্দ করছেন না, এবং এর বিপক্ষেই ভোট দেবেন।

রিপাবলিকান সেনেটর সুজান কলিন্সও সংশোধনী প্রক্রিয়ায় কোনো পরিবর্তন না এলে চূড়ান্ত ভোটে বিলের বিপক্ষে থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

সূত্র : সিএনএন

 

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

বিলটি আইনে পরিণত হলে এর হাত ধরে ফেডারেল করের পরিমাণ কমবে, সামরিক খাত ও সীমান্ত নিরাপত্তায় ব্যয় বাড়বে এবং মেডিকেইডের মতো কর্মসূচিতে কম ব্যয় হবে।

মার্কিন সেনেটে প্রথম ধাপ পার করল ট্রাম্পের ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’

আপডেট সময় ০৪:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সেনেটের রিপাবলিকানরা দেশটির প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ পাসের পথে এক ধাপ অগ্রসর হল।

বিশাল ব্যয় এবং কর কমানোর বিলটি উচ্চকক্ষে আলোচনার জন্য উঠবে কিনা শনিবার রাতে সেই ভোট হয়েছে। তাতে ট্রাম্পের এই ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ ৫১-৪৯ ব্যবধানে উৎরেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।

এখন সেনেটররা বিলটি নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক করবেন; সুযোগ থাকবে নানান সংশোধনী ঢোকানোরও।

বিলটি আইনে পরিণত হলে এর হাত ধরে ফেডারেল করের পরিমাণ কমবে, সামরিক খাত ও সীমান্ত নিরাপত্তায় ব্যয় বাড়বে এবং মেডিকেইডের মতো কর্মসূচিতে কম ব্যয় হবে।

ট্রাম্প ৪ জুলাইয়ের মধ্যে বিলে স্বাক্ষর করে সেটিকে আইনে পরিণত করতে চান। কিন্তু সে পর্যন্ত যেতে বিলটিকে আরও বেশ কয়েকটি ধাপ পাড়ি দিতে হবে।

তর্ক-বিতর্কের পর সেনেটে সংশোধনীসহ গৃহীত হলে বিলটি ফের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে আলোচনা ও ভোটের জন্য যাবে। দুই কক্ষ বিলের একই সংস্করণে একমত না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট তাতে স্বাক্ষর করতে পারবেন না।

শনিবার রাতের ৫১-৪৯ ব্যবধানে জেতাকে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘অসাধারণ বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন। এজন্য চার রিপাবলিকান রিক স্কট, মাইক লি, রন জনসন ও সিনথিয়া লামিসকে ধন্যবাদও দিয়েছেন তিনি।

এদিন দুই রিপাবলিকান বিপক্ষেও ভোট দিয়েছেন। তারা হলেন- থম তিলিস ও র‌্যান্ড পল। ট্রাম্প পরে এ দুজনের সমালোচনা করেছেন।

দোদুল্যমান রিপাবলিকানদের মন জয় করতে এদিন ক্যাপিটলে যান ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও। তিনি কয়েক সেনেটরের সঙ্গে দেখা করে তাদের ভোট পক্ষে আনার জোর চেষ্টা চালান। সেনেটর লিসা মুরকোওস্কি প্রথমে বিলটি সেনেটে আলোচনার জন্য উত্থাপনের বিপক্ষে অবস্থান নেবেন বলে জানালেও তার রাজ্য আলাস্কার সুবিধা হবে এমন কিছু জিনিস বিলে সংযুক্ত হওয়ার পর তিনি মত বদলান।

এদিকে সেনেটের ডেমোক্র্যাটরা বিলটি পাস যেন দেরিতে হয় তা নিশ্চিতে পার্লামেন্টের সহকারীদেরকে পুরো বিলটি জোরে জোরে পড়ার দায়িত্ব দিয়েছেন, যা শেষ হতে ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যেতে পারে, বলছে সিএনএন।

বিলটি পড়ার পর হবে বিতর্ক এবং তারপর ‘ভোট-আ-রামা’ নামের দীর্ঘ অধিবেশন, যেখানে একের পর এক সংশোধনী উত্থাপিত হতে থাকে, এবং সেগুলো নিয়ে ভোট হয়। এবার এ ‘বিগ, বিউটিফুল বিলের’ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সংশোধনীই ডেমোক্র্যাটদের দেওয়ার কথা। সব দ্রুতগতিতে এগোলে সোমবার বিলটি নিয়ে চূড়ান্ত ভোট হতে পারে।

নিম্নকক্ষের স্পিকার মাইক জনসন রিপাবলিকানদেরকে এখনই সেনেটে ওঠা বিলটির বিপক্ষে কিছু না বলতে অনুরোধ করেছেন, কেননা এটির অনেক জায়গায় সংশোধনী আসতে পারে।

তবে প্রতিনিধি পরিষদের দুই রিপাবলিকান আগেই জানিয়েছেন, মেডিকেইড প্রকল্পে পরিবর্তন থাকায় তারা বিলটি পছন্দ করছেন না, এবং এর বিপক্ষেই ভোট দেবেন।

রিপাবলিকান সেনেটর সুজান কলিন্সও সংশোধনী প্রক্রিয়ায় কোনো পরিবর্তন না এলে চূড়ান্ত ভোটে বিলের বিপক্ষে থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

সূত্র : সিএনএন

 

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম