০৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
“কারচুপির নির্বাচনের জন্য ১৪০০ মানুষ মরছে! একি ইতিহাস, একি ব্যবস্থা। মাঝে দিয়ে এতগুলা পরিবার নিঃস্ব হলো,” অভিযোগ জুলাই গণঅভ্যুথানে সক্রিয় থাকা এই আন্দোলনকারীর।

ছাত্রশিবিরের ‘বেঈমানি’ ইতিহাসে লেখা থাকবে: উমামা ফাতেমা

মইদুল হাসান - জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১০:২২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা মঙ্গলবার সকালে টিএসসি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

 

গভীর রাতে ভোট বর্জনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা অভিযোগ করে বলেছেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ‘বেঈমানি’ ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।

মঙ্গলবার নির্বাচনের পর ভোর পৌনে ৬টায় ফেইসবুক পোস্টে তিনি বলেন, “অভিনব পন্থায় নির্বাচন কারচুপি হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো রাত হয়ে থাকবে।”

জুলাই গণঅভ্যুথানে সক্রিয় ভূমিকা রাখা উমামা বলেন, “কারচুপির নির্বাচনের জন্য ১৪০০ মানুষ মরছে! একি ইতিহাস, একি ব্যবস্থা। মাঝে দিয়ে এতগুলা পরিবার নিঃস্ব হলো।

“নিজেদের হীনস্বার্থের জন্য ইসলামি ছাত্রশিবির কি পরিমাণ বেঈমানি করেছে জাতির সাথে তা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।”

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের আবু সাদেক কায়েম ভিপি ও এসএম ফরহাদ বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে জিএস হওয়ার পথে। বেশিরভাগ হলগুলোতে তারা প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি ভোট পেয়েছেন।

তবে ছাত্রশিবির এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ভোট শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাদের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন হওয়ার কথা তুলে ধরে বলেন, কেউ কেউ নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চান, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে আরেকটি ফেইসবুক পোস্টে কারচুপির অভিযোগ তুলে ডাকসু নির্বাচনের ফল বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি লেখেন, “বয়কট! বয়কট! ডাকসু বর্জন করলাম। সম্পূর্ণ নির্লজ্জ কারচুপির নির্বাচন।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া উমামা আরও লেখেন, “৫ অগাস্টের পর জাতিকে লজ্জা উপহার দিল ঢাবি প্রশাসন। শিবির পালিত প্রশাসন।”

উমামার আগে ফল প্রত্যাখ্যান করেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।

নির্বাচনে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে প্রার্থী হন উমামা। এ প্যানেলের জিএস প্রার্থী ছিলেন আল সাদী ভূঁইয়া। জাহিদ আহমেদ লড়েন এজিএস পদে।

 

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“কারচুপির নির্বাচনের জন্য ১৪০০ মানুষ মরছে! একি ইতিহাস, একি ব্যবস্থা। মাঝে দিয়ে এতগুলা পরিবার নিঃস্ব হলো,” অভিযোগ জুলাই গণঅভ্যুথানে সক্রিয় থাকা এই আন্দোলনকারীর।

ছাত্রশিবিরের ‘বেঈমানি’ ইতিহাসে লেখা থাকবে: উমামা ফাতেমা

আপডেট সময় ১০:২২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

গভীর রাতে ভোট বর্জনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা অভিযোগ করে বলেছেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ‘বেঈমানি’ ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।

মঙ্গলবার নির্বাচনের পর ভোর পৌনে ৬টায় ফেইসবুক পোস্টে তিনি বলেন, “অভিনব পন্থায় নির্বাচন কারচুপি হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো রাত হয়ে থাকবে।”

জুলাই গণঅভ্যুথানে সক্রিয় ভূমিকা রাখা উমামা বলেন, “কারচুপির নির্বাচনের জন্য ১৪০০ মানুষ মরছে! একি ইতিহাস, একি ব্যবস্থা। মাঝে দিয়ে এতগুলা পরিবার নিঃস্ব হলো।

“নিজেদের হীনস্বার্থের জন্য ইসলামি ছাত্রশিবির কি পরিমাণ বেঈমানি করেছে জাতির সাথে তা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।”

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের আবু সাদেক কায়েম ভিপি ও এসএম ফরহাদ বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে জিএস হওয়ার পথে। বেশিরভাগ হলগুলোতে তারা প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি ভোট পেয়েছেন।

তবে ছাত্রশিবির এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ভোট শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাদের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন হওয়ার কথা তুলে ধরে বলেন, কেউ কেউ নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চান, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে আরেকটি ফেইসবুক পোস্টে কারচুপির অভিযোগ তুলে ডাকসু নির্বাচনের ফল বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি লেখেন, “বয়কট! বয়কট! ডাকসু বর্জন করলাম। সম্পূর্ণ নির্লজ্জ কারচুপির নির্বাচন।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া উমামা আরও লেখেন, “৫ অগাস্টের পর জাতিকে লজ্জা উপহার দিল ঢাবি প্রশাসন। শিবির পালিত প্রশাসন।”

উমামার আগে ফল প্রত্যাখ্যান করেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।

নির্বাচনে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে প্রার্থী হন উমামা। এ প্যানেলের জিএস প্রার্থী ছিলেন আল সাদী ভূঁইয়া। জাহিদ আহমেদ লড়েন এজিএস পদে।

 

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম