০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মায়ের জয়ে যা বললেন জাহাঙ্গীর

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৯:০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
  • / ৬৬ বার পড়া হয়েছে

অবশেষে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে হারিয়ে জয় পেয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত ১টা ৩২ মিনিটে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফল ঘোষণার পরপরই গণমাধ্যম কর্মীদের তাৎক্ষণিক প্রক্রিয়া জানিয়েছেন জায়েদা খাতুনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। সাবেক এই মেয়র বলেন, নির্বাচনে নৌকার বিজয় হয়েছে, ব্যক্তি হেরেছে। কারও নাম উল্লেখ করতে চাই না, তবে নৌকার বিরুদ্ধে নয়, ব্যক্তির বিরুদ্ধে জিতেছি।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লাকে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উনি সিনিয়র মানুষ, আমরা উনার কাছে যাব। পরামর্শ নেব। গাজীপুরের সবাই আমরা ভাই ভাই। আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি। ফলাফলে টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪টি ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত ১টা ৩২ মিনিটের দিকে গাজীপুর জেলা পরিষদ ভবনের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে নির্বাচনের ‘ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র’ থেকে এই ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম। মোট ৪৮০টি কেন্দ্রের ফলাফলে টেবিলঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন পেয়েছেন দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন দুই লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।

এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙল প্রতীকে এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গণফ্রন্টের প্রার্থী মাছ প্রতীকে আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান হাতপাখা প্রতীকে ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট, জাকের পার্টির প্রার্থী গোলাপ ফুল প্রতীকে মো. রাজু আহম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট ও হাতি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনুর ইসলাম পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট।

এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলে। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। এদিন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা, মারামারি-হানাহানি বা কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছেন। ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভোটার এবং প্রার্থীরা।

এবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে অংশ নেন ৩৩৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছে ১৮ জন।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

মায়ের জয়ে যা বললেন জাহাঙ্গীর

আপডেট সময় ০৯:০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

অবশেষে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে হারিয়ে জয় পেয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত ১টা ৩২ মিনিটে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফল ঘোষণার পরপরই গণমাধ্যম কর্মীদের তাৎক্ষণিক প্রক্রিয়া জানিয়েছেন জায়েদা খাতুনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। সাবেক এই মেয়র বলেন, নির্বাচনে নৌকার বিজয় হয়েছে, ব্যক্তি হেরেছে। কারও নাম উল্লেখ করতে চাই না, তবে নৌকার বিরুদ্ধে নয়, ব্যক্তির বিরুদ্ধে জিতেছি।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লাকে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উনি সিনিয়র মানুষ, আমরা উনার কাছে যাব। পরামর্শ নেব। গাজীপুরের সবাই আমরা ভাই ভাই। আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি। ফলাফলে টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪টি ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত ১টা ৩২ মিনিটের দিকে গাজীপুর জেলা পরিষদ ভবনের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে নির্বাচনের ‘ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র’ থেকে এই ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম। মোট ৪৮০টি কেন্দ্রের ফলাফলে টেবিলঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন পেয়েছেন দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন দুই লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।

এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙল প্রতীকে এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গণফ্রন্টের প্রার্থী মাছ প্রতীকে আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান হাতপাখা প্রতীকে ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট, জাকের পার্টির প্রার্থী গোলাপ ফুল প্রতীকে মো. রাজু আহম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট ও হাতি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনুর ইসলাম পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট।

এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলে। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। এদিন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা, মারামারি-হানাহানি বা কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছেন। ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভোটার এবং প্রার্থীরা।

এবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে অংশ নেন ৩৩৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছে ১৮ জন।