০৫:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৯তম প্রয়াণবার্ষিকী আজ

আজ শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৭:১৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩
  • / ৬৭ বার পড়া হয়েছে

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৯তম প্রয়াণবার্ষিকী আজ সোমবার। ১৯৯৪ সালের  ২৬ জুন না ফেরার দেশে পাড়ি জমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এই অগ্রণী সৈনিক। মুক্তিযোদ্ধার গর্বিত মা, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও  সংগঠক এই মহীয়সী নারীর নেতৃত্বেই গত শতকের নব্বইয়ের দশকে গড়ে ওঠে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ব্যানারে করা সেই আন্দোলনই এগিয়ে চলেছে চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে। চলছে মানবতাবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ।
জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধের পর বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নিজেকে নিবেদিত করেন। যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের বিচারে আনার জন্য তার প্রচেষ্টা ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ডায়রি ‘একাত্তরের দিনগুলি’ তার এক অনন্য সৃষ্টি।  মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস তার কেটেছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও ত্রাসের মধ্য দিয়ে। এ সময় তার মনের মধ্যে ছিল  দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার স্বপ্ন। এ দুঃসময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সাহায্য করেছেন।
স্বাধীনতার পর জাহানারা ইমাম লেখালেখি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে ব্যস্ত সময় কাটান। মুক্তিযুদ্ধে  ছেলে রুমীর আত্মত্যাগ এবং নিজের  অবদানের জন্য সবার কাছে আখ্যায়িত হন শহীদ জননী হিসেবে। ১৯৯২ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক হন। এ সময় একাত্তরের ঘাতক ও দালালদের বিচারের দাবিতে গড়ে তোলা হয় গণআদালত।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৯তম প্রয়াণবার্ষিকী আজ

আজ শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী

আপডেট সময় ০৭:১৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৯তম প্রয়াণবার্ষিকী আজ সোমবার। ১৯৯৪ সালের  ২৬ জুন না ফেরার দেশে পাড়ি জমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এই অগ্রণী সৈনিক। মুক্তিযোদ্ধার গর্বিত মা, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও  সংগঠক এই মহীয়সী নারীর নেতৃত্বেই গত শতকের নব্বইয়ের দশকে গড়ে ওঠে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ব্যানারে করা সেই আন্দোলনই এগিয়ে চলেছে চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে। চলছে মানবতাবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ।
জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধের পর বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নিজেকে নিবেদিত করেন। যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের বিচারে আনার জন্য তার প্রচেষ্টা ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ডায়রি ‘একাত্তরের দিনগুলি’ তার এক অনন্য সৃষ্টি।  মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস তার কেটেছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও ত্রাসের মধ্য দিয়ে। এ সময় তার মনের মধ্যে ছিল  দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার স্বপ্ন। এ দুঃসময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সাহায্য করেছেন।
স্বাধীনতার পর জাহানারা ইমাম লেখালেখি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে ব্যস্ত সময় কাটান। মুক্তিযুদ্ধে  ছেলে রুমীর আত্মত্যাগ এবং নিজের  অবদানের জন্য সবার কাছে আখ্যায়িত হন শহীদ জননী হিসেবে। ১৯৯২ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক হন। এ সময় একাত্তরের ঘাতক ও দালালদের বিচারের দাবিতে গড়ে তোলা হয় গণআদালত।