১১:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

আমাকে ভোট শেখাতে হবে না: প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৭:১৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩
  • / ২১৬ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার অর্জন করে দিয়েছি। আজকে আমাকে ভোট শেখাতে হবে না। আমাকে শেখাতে হবে না।

জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শুক্রবার বিকাল ৪টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি। পরে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোটের জন্য তো আমরা সংগ্রাম করলাম। রক্ত দিলাম। আমার নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার অর্জন করে দিয়েছি। আজকে আমাকে ভোট শেখাতে হবে না। আমাকে শেখাতে হবে না। আমরা সেই আইয়ুব খানের আমল থেকে আন্দোলন করি, রাস্তায় থাকি।  আমাদের এমন না যে নতুন এসেছি। স্কুল জীবন থেকেই রাস্তায় আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে করেছি, ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে করেছি। জিয়া, খালেদা জিয়া- সবই তো ভোট চোর।  এক আওয়ামী লীগ আসার পর আওয়ামী লীগের তো ভোট চুরি করতে হয় না। আওয়ামী লীগকে মানুষ ভোট দেয়।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এদেশের মানুষ জানে, নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নতি হয়েছে। মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে। দারিদ্র্যসীমা ৫ শতাংশে কমিয়ে এনেছি। কেউ ঘরবাড়ি ছাড়া থাকবে না।’

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে অগ্নিসংযোগ, মানুষ হত্যাসহ এমন কিছু নেই তারা করেনি। ২০১৮ সালে নির্বাচনে এসে শেষমেশ তারা সরে গেল।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা জানে নির্বাচন করে জনগণের ভোট পাবে না, তারাই সব জায়গায় ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে। কারণ, তাদের তো কোটি কোটি টাকা। ক্ষমতায় থেকে এত বেশি টাকা মানি লন্ডারিং, এত বেশি টাকার মালিক হয়ে গেছে, তারা অবাধে সেই টাকা খরচ করে যাচ্ছে এবং সব জায়গায় একটা প্রচার…। আর এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তারা বাস্তব অবস্থাটা বুঝে কি না- আমি জানি না, কিন্তু তারা এই একই কথা, মানে ভাঙা রেকর্ড বাজিয়েই যাচ্ছে। সেটা আমি (যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যে সফরে) স্পষ্ট বলে আসছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সফরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কারও সঙ্গে কথা হয়নি।  আমার মনে পড়ে না, এ ধরনের কোনো কথা হয়নি। কেউ জিজ্ঞেসও করেনি। ২০০৭ এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যে অভিজ্ঞতা, এরপর এটা কেউ চায়?

বিএনপির আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, তারা তো বারবার তারিখ দিয়েই যাচ্ছে। এই তারিখে ফেলে দেবে, ওই তারিখে ফেলে দেবে। তারা আন্দোলন করুক। জনগণের জানমালের কোনো ক্ষতি যদি করা হয়, সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের আন্দোলনে বাধা দিচ্ছি না। তারা আন্দোলন লোকসমাগম করছে। খুব ভালো কথা। এতকাল চুরি করে যা টাকা বানিয়েছিল আর যে টাকা মানি লন্ডারিং করেছিল, সেগুলো ব্যবহার হচ্ছে। অন্তত মানুষের প্যাকেটে কিছু টাকা তো যাচ্ছে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

আমাকে ভোট শেখাতে হবে না: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:১৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার অর্জন করে দিয়েছি। আজকে আমাকে ভোট শেখাতে হবে না। আমাকে শেখাতে হবে না।

জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শুক্রবার বিকাল ৪টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি। পরে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোটের জন্য তো আমরা সংগ্রাম করলাম। রক্ত দিলাম। আমার নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার অর্জন করে দিয়েছি। আজকে আমাকে ভোট শেখাতে হবে না। আমাকে শেখাতে হবে না। আমরা সেই আইয়ুব খানের আমল থেকে আন্দোলন করি, রাস্তায় থাকি।  আমাদের এমন না যে নতুন এসেছি। স্কুল জীবন থেকেই রাস্তায় আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে করেছি, ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে করেছি। জিয়া, খালেদা জিয়া- সবই তো ভোট চোর।  এক আওয়ামী লীগ আসার পর আওয়ামী লীগের তো ভোট চুরি করতে হয় না। আওয়ামী লীগকে মানুষ ভোট দেয়।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এদেশের মানুষ জানে, নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নতি হয়েছে। মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে। দারিদ্র্যসীমা ৫ শতাংশে কমিয়ে এনেছি। কেউ ঘরবাড়ি ছাড়া থাকবে না।’

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে অগ্নিসংযোগ, মানুষ হত্যাসহ এমন কিছু নেই তারা করেনি। ২০১৮ সালে নির্বাচনে এসে শেষমেশ তারা সরে গেল।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা জানে নির্বাচন করে জনগণের ভোট পাবে না, তারাই সব জায়গায় ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে। কারণ, তাদের তো কোটি কোটি টাকা। ক্ষমতায় থেকে এত বেশি টাকা মানি লন্ডারিং, এত বেশি টাকার মালিক হয়ে গেছে, তারা অবাধে সেই টাকা খরচ করে যাচ্ছে এবং সব জায়গায় একটা প্রচার…। আর এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তারা বাস্তব অবস্থাটা বুঝে কি না- আমি জানি না, কিন্তু তারা এই একই কথা, মানে ভাঙা রেকর্ড বাজিয়েই যাচ্ছে। সেটা আমি (যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যে সফরে) স্পষ্ট বলে আসছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সফরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কারও সঙ্গে কথা হয়নি।  আমার মনে পড়ে না, এ ধরনের কোনো কথা হয়নি। কেউ জিজ্ঞেসও করেনি। ২০০৭ এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যে অভিজ্ঞতা, এরপর এটা কেউ চায়?

বিএনপির আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, তারা তো বারবার তারিখ দিয়েই যাচ্ছে। এই তারিখে ফেলে দেবে, ওই তারিখে ফেলে দেবে। তারা আন্দোলন করুক। জনগণের জানমালের কোনো ক্ষতি যদি করা হয়, সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের আন্দোলনে বাধা দিচ্ছি না। তারা আন্দোলন লোকসমাগম করছে। খুব ভালো কথা। এতকাল চুরি করে যা টাকা বানিয়েছিল আর যে টাকা মানি লন্ডারিং করেছিল, সেগুলো ব্যবহার হচ্ছে। অন্তত মানুষের প্যাকেটে কিছু টাকা তো যাচ্ছে।