০৯:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ১০:৩৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩
  • / ৭০ বার পড়া হয়েছে

মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মানুষের মনমানসিকতার পরিবর্তন না হওয়ার কারণে নারী সমাজ আজ বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হচ্ছে। নারীরা যৌতুকের কারণে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

যৌতুক একটি সামাজিক ক্যান্সার। এর বিষক্রিয়ায় আমাদের গোটা সমাজ আক্রান্ত।

অসংখ্য নারীর সুখের সংসার ভেঙে যাচ্ছে যৌতুকের অভিশাপে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যৌতুক দেওয়া এবং যৌতুক নেওয়া দুটোই অপরাধ। যৌতুকের কারণে অনেক নারীকেই হত্যার শিকার হতে হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে প্রতিনিয়তই যৌতুকের বলি হচ্ছেন নারীরা। পায়েল আকতার সুমাইয়াও এই অভিশপ্ত যৌতুকের বলি। তাই গৃহবধূ পায়েলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেলে গত শুক্রবার সিআরবিতে যৌতুকের জন্য শ্বশুর বাড়িতে নির্মম ভাবে নিহত হওয়া গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তার পায়েলের নগরের লালখান বাজার পশ্চিম বাগঘোনাস্থ বাসভবনে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের পক্ষ থেকে পায়েলের পরিবারকে আইনগত সহায়তা দিয়ে যাবেন জানিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, যৌতুকের জন্য হত্যা ও নির্যাতনের বিচার না হওয়ায় একের পর এক এই ঘটনাগুলো ঘটছে। দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন থাকলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটত না। তাই নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবদুল হালিম শাহ আলম, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্যসচিব ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, লালখান বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহম্মেদ, মহানগর মহিলা দলের সহ সভাপতি মারিয়া সেলিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক আবদুল আহাদ রিপন, বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান ভূইয়া ও সৈয়দ ওমর ফারুক।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে

আপডেট সময় ১০:৩৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩

মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মানুষের মনমানসিকতার পরিবর্তন না হওয়ার কারণে নারী সমাজ আজ বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হচ্ছে। নারীরা যৌতুকের কারণে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

যৌতুক একটি সামাজিক ক্যান্সার। এর বিষক্রিয়ায় আমাদের গোটা সমাজ আক্রান্ত।

অসংখ্য নারীর সুখের সংসার ভেঙে যাচ্ছে যৌতুকের অভিশাপে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যৌতুক দেওয়া এবং যৌতুক নেওয়া দুটোই অপরাধ। যৌতুকের কারণে অনেক নারীকেই হত্যার শিকার হতে হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে প্রতিনিয়তই যৌতুকের বলি হচ্ছেন নারীরা। পায়েল আকতার সুমাইয়াও এই অভিশপ্ত যৌতুকের বলি। তাই গৃহবধূ পায়েলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেলে গত শুক্রবার সিআরবিতে যৌতুকের জন্য শ্বশুর বাড়িতে নির্মম ভাবে নিহত হওয়া গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তার পায়েলের নগরের লালখান বাজার পশ্চিম বাগঘোনাস্থ বাসভবনে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের পক্ষ থেকে পায়েলের পরিবারকে আইনগত সহায়তা দিয়ে যাবেন জানিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, যৌতুকের জন্য হত্যা ও নির্যাতনের বিচার না হওয়ায় একের পর এক এই ঘটনাগুলো ঘটছে। দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন থাকলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটত না। তাই নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবদুল হালিম শাহ আলম, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্যসচিব ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, লালখান বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহম্মেদ, মহানগর মহিলা দলের সহ সভাপতি মারিয়া সেলিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক আবদুল আহাদ রিপন, বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান ভূইয়া ও সৈয়দ ওমর ফারুক।