১০:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪
সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ক্রাইসিস, সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী

সিন্ডিকেট ঠেকাতে ব্যর্থ: সংসদে বাণিজ্য মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবী

বিশেষ প্রতিবেদন
  • আপডেট সময় ১০:৪৯:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩
  • / ৫৭ বার পড়া হয়েছে

মিজানুর রহমান খান, স্পেশাল করেস্পন্ডেন্টঃ

বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় নিয়ে সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির পদত্যাগের দাবি তুলেছেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।

 আজ  সোমবার ঢাকায় জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরাও নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্য নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন। টিপু মুনশিকে ‘ব্যবসায়ী’ আখ্যা দিয়ে বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে তার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।

এর প্রতিক্রিয়ায় মোকাব্বিরকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে বলেছেন টিপু মুনশি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বাজার সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কথা বলা হয়। এটা ঠিক বড় বড় গ্রুপগুলো একসঙ্গে অনেক বেশি ব্যবসা করে। চাইলে জেল-জরিমানাসহ বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। তবে আমাদের লক্ষ্য রাখা দরকার, আমরা জেলে ভরলাম, জরিমানা করলাম; সেটা হয়তো করা সম্ভব। কিন্তু তাতে হঠাৎ করে ক্রাইসিসটা তৈরি হবে, সেটাও তো সইতে আমাদের কষ্ট হবে। এজন্য আমরা আলোচনার মাধ্যমে নিয়মের মধ্যে থেকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনার  আগে জাতীয় পার্টি, গণফোরাম ও স্বতন্ত্র ১০ সংসদ সদস্য ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন। তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব করেন। তবে, কণ্ঠভোটে তাদের প্রস্তাব নাকচ হয় এবং মন্ত্রীর প্রস্তাবিত অর্থ মঞ্জুর হয়।

ব্যবসার থেকে অনেক আগেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বার বার একটি কথা উঠে আসছে, আমি ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ীরা আমার দ্বারা সুবিধা পাচ্ছেন। যারা এটা বলছেন, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন,  ৫৬ বছর ধরে রাজনীতি করি। আমি ব্যবসা করি ৪০-৪২ বছর। কিন্তু ঘুরে ফিরে কেউ বলেন না আমি রাজনীতিবিদ। তারা বলেন, আমি ব্যবসায়ী, সুযোগটা আপনি ব্যবসায়ীদের দিচ্ছেন। টিপু মুনশি বলেন, দাম বেড়েছে এটা তো সত্য। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু বার বার বলছেন মানুষ কষ্টে আছেন। মানুষকে বলছেন সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য। বৈশ্বিক পরিস্থিতি এজন্য দায়ী বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ক্রাইসিস, সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী

সিন্ডিকেট ঠেকাতে ব্যর্থ: সংসদে বাণিজ্য মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবী

আপডেট সময় ১০:৪৯:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩

মিজানুর রহমান খান, স্পেশাল করেস্পন্ডেন্টঃ

বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় নিয়ে সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির পদত্যাগের দাবি তুলেছেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।

 আজ  সোমবার ঢাকায় জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরাও নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্য নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন। টিপু মুনশিকে ‘ব্যবসায়ী’ আখ্যা দিয়ে বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে তার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।

এর প্রতিক্রিয়ায় মোকাব্বিরকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে বলেছেন টিপু মুনশি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বাজার সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কথা বলা হয়। এটা ঠিক বড় বড় গ্রুপগুলো একসঙ্গে অনেক বেশি ব্যবসা করে। চাইলে জেল-জরিমানাসহ বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। তবে আমাদের লক্ষ্য রাখা দরকার, আমরা জেলে ভরলাম, জরিমানা করলাম; সেটা হয়তো করা সম্ভব। কিন্তু তাতে হঠাৎ করে ক্রাইসিসটা তৈরি হবে, সেটাও তো সইতে আমাদের কষ্ট হবে। এজন্য আমরা আলোচনার মাধ্যমে নিয়মের মধ্যে থেকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনার  আগে জাতীয় পার্টি, গণফোরাম ও স্বতন্ত্র ১০ সংসদ সদস্য ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন। তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব করেন। তবে, কণ্ঠভোটে তাদের প্রস্তাব নাকচ হয় এবং মন্ত্রীর প্রস্তাবিত অর্থ মঞ্জুর হয়।

ব্যবসার থেকে অনেক আগেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বার বার একটি কথা উঠে আসছে, আমি ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ীরা আমার দ্বারা সুবিধা পাচ্ছেন। যারা এটা বলছেন, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন,  ৫৬ বছর ধরে রাজনীতি করি। আমি ব্যবসা করি ৪০-৪২ বছর। কিন্তু ঘুরে ফিরে কেউ বলেন না আমি রাজনীতিবিদ। তারা বলেন, আমি ব্যবসায়ী, সুযোগটা আপনি ব্যবসায়ীদের দিচ্ছেন। টিপু মুনশি বলেন, দাম বেড়েছে এটা তো সত্য। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু বার বার বলছেন মানুষ কষ্টে আছেন। মানুষকে বলছেন সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য। বৈশ্বিক পরিস্থিতি এজন্য দায়ী বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।