০৮:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফিরতে চান না ফুলপরী

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০১:০৬:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩
  • / ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

কঠোর নিরাপত্তায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফিরেছেন নির্যাতনের শিকার ফুলপরী খাতুন। তবে ‌তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফিরতে চানা না। উঠতে চান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শনিবার (৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন আজাদ জানান, ফুলপরীকে কঠোর নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসে আনা হয়েছে। তার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ফুলপরী বলেন, অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার করলে তারা পরবর্তীতে আবার আমাকে ক্ষতি করতে পারে। এ জন্য তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের দুঃসাহস দেখাতে না পারে।

ফুলপরীর বাবা বলেন, তারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলতে পারতো। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, তারা যেন আমার মেয়েকে নিরাপত্তা ও সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন। ফৌজদারি আদালতে এদের শাস্তি হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, আর কাউকে যাতে নির্যাতনের শিকার হতে না হয়, সেজন্য অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। প্রসঙ্গত, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফুলপরীকে রাতভর র‌্যাগিং, শারীরিক নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ ওঠে।

ঘটনার সঙ্গে শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তাবাসসুম ইসলাম, ইশরাত জাহান মীম, হালিমা আক্তার উর্মি ও মুয়াবিয়া জাহানসহ কয়েকজন জড়িত ছিলেন। পরে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া হাইকোর্ট ওই ৫ ছাত্রী এবং সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। ছাত্রলীগ থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফিরতে চান না ফুলপরী

আপডেট সময় ০১:০৬:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

কঠোর নিরাপত্তায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফিরেছেন নির্যাতনের শিকার ফুলপরী খাতুন। তবে ‌তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফিরতে চানা না। উঠতে চান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শনিবার (৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন আজাদ জানান, ফুলপরীকে কঠোর নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসে আনা হয়েছে। তার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ফুলপরী বলেন, অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার করলে তারা পরবর্তীতে আবার আমাকে ক্ষতি করতে পারে। এ জন্য তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের দুঃসাহস দেখাতে না পারে।

ফুলপরীর বাবা বলেন, তারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলতে পারতো। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, তারা যেন আমার মেয়েকে নিরাপত্তা ও সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন। ফৌজদারি আদালতে এদের শাস্তি হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, আর কাউকে যাতে নির্যাতনের শিকার হতে না হয়, সেজন্য অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। প্রসঙ্গত, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফুলপরীকে রাতভর র‌্যাগিং, শারীরিক নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ ওঠে।

ঘটনার সঙ্গে শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তাবাসসুম ইসলাম, ইশরাত জাহান মীম, হালিমা আক্তার উর্মি ও মুয়াবিয়া জাহানসহ কয়েকজন জড়িত ছিলেন। পরে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া হাইকোর্ট ওই ৫ ছাত্রী এবং সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। ছাত্রলীগ থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।