০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

জাতিসংঘে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা চাইলেন ফাতিহা আয়াত

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৭:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৮৭ বার পড়া হয়েছে

জাতিসংঘে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা চেয়েছেন মাত্র ১১ বছর বয়সী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জলবায়ু ও শিশু অধিকার কর্মী ফাতিহা আয়াত। গত বুধবার (২২ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চলমান বিশ্ব পানি সম্মেলনের প্রথম দিনে একটি ইভেন্টে তিনি বক্তব্য রাখেন।

ফাতিহা আয়াত তার পাঁচ মিনিটের বক্তব্যের পুরোটা সময় ভারতের বিভিন্ন হাইড্রোপ্রজেক্টের মাধ্যমে উজানে বাঁধ দিয়ে ও আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের পরিকল্পনা করে যৌথ নদীগুলো থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্য পানির নায্য হিস্যা না দেওয়ার কথা বলেছেন। তুলে ধরেছেন ভারতের এসব কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বন্যা, খরা, নদী ভাঙন, জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির কথা।

ফাতিহা আয়াত বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনে মাত্র দু’বছর আগেই দেশটিতে সফর করেছেন। কিন্তু বরাবরের মতোই এই হাই-প্রোফাইল সফরটিও অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন বিরোধের সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে। যা দেশ দুটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সমস্যা। এই শিশু অধিকার কর্মী তার বক্তব্যে যৌথ নদী কমিশনের অকার্যকরতা তুলে ধরে বলেন, ২০১১ সালে ভারত রুক্ষ মৌসুমে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ পানি বাংলাদেশকে দিতে মৌখিকভাবে রাজি হলেও আদতে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। বাংলাদেশও পায়নি তার ন্যায্য হিস্যা।

সম্মেলনে ‘জল সহনশীলতার জন্য আমূল সহযোগিতা’ বিষয়ক একটি ইভেন্টে অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে বাংলাদেশ তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়ার কথাগুলো বলছিলেন ফাতিহা। এ সময় সেখানে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লি জুনহা ও ভারতের পানি বিশেষজ্ঞ অজিত পাটনায়েকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ফাতিহা তার বক্তব্য শেষ করেছেন পবিত্র কোরআনের পানি-সংক্রান্ত একটি আয়াত তেলাওয়াতের মাধ্যমে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতিসংঘে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা চাইলেন ফাতিহা আয়াত

আপডেট সময় ০৭:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

জাতিসংঘে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা চেয়েছেন মাত্র ১১ বছর বয়সী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জলবায়ু ও শিশু অধিকার কর্মী ফাতিহা আয়াত। গত বুধবার (২২ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চলমান বিশ্ব পানি সম্মেলনের প্রথম দিনে একটি ইভেন্টে তিনি বক্তব্য রাখেন।

ফাতিহা আয়াত তার পাঁচ মিনিটের বক্তব্যের পুরোটা সময় ভারতের বিভিন্ন হাইড্রোপ্রজেক্টের মাধ্যমে উজানে বাঁধ দিয়ে ও আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের পরিকল্পনা করে যৌথ নদীগুলো থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্য পানির নায্য হিস্যা না দেওয়ার কথা বলেছেন। তুলে ধরেছেন ভারতের এসব কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বন্যা, খরা, নদী ভাঙন, জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির কথা।

ফাতিহা আয়াত বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনে মাত্র দু’বছর আগেই দেশটিতে সফর করেছেন। কিন্তু বরাবরের মতোই এই হাই-প্রোফাইল সফরটিও অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন বিরোধের সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে। যা দেশ দুটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সমস্যা। এই শিশু অধিকার কর্মী তার বক্তব্যে যৌথ নদী কমিশনের অকার্যকরতা তুলে ধরে বলেন, ২০১১ সালে ভারত রুক্ষ মৌসুমে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ পানি বাংলাদেশকে দিতে মৌখিকভাবে রাজি হলেও আদতে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। বাংলাদেশও পায়নি তার ন্যায্য হিস্যা।

সম্মেলনে ‘জল সহনশীলতার জন্য আমূল সহযোগিতা’ বিষয়ক একটি ইভেন্টে অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে বাংলাদেশ তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়ার কথাগুলো বলছিলেন ফাতিহা। এ সময় সেখানে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লি জুনহা ও ভারতের পানি বিশেষজ্ঞ অজিত পাটনায়েকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ফাতিহা তার বক্তব্য শেষ করেছেন পবিত্র কোরআনের পানি-সংক্রান্ত একটি আয়াত তেলাওয়াতের মাধ্যমে।