ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স কমে এলো ১৫৬ কোটি ডলার
- আপডেট সময় ০৭:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
- / ১৪৪ বার পড়া হয়েছে
দেশে সদ্য বিদায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় (ডলার প্রতি ১০৭ টাকা ধরে) প্রায় ১৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। হিসেব অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারিতে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার কম রেমিট্যান্স এসেছে। ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমলেও চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে।
বুধবার (১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।রেমিট্যান্স প্রবাহ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম (জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) ৮ মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৪০১ কোটি ৩৩ লাখ মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৩৪৩ কেটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৭ কোটি ৫৭ লাখ ১০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২৪ কোটি ৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬১ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। অপরদিকে বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার জমা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। রেমিট্যান্স বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
এর মধ্যে রয়েছে আড়াই শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা প্রদান, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজী করণ, অনাবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধকরণ এবং রেমিট্যান্স প্রেরণে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা। সর্বশেষ সেবার বিনিময়ে রেমিট্যান্স আয় আনার ক্ষেত্রে ফরম-সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করা হয়েছে।