“তার মূল পরিচয় হচ্ছে সে একজন সত্যিকার অর্থেই মুক্তিযোদ্ধা…জীবন্ত মুক্তিযোদ্ধা,” বলেন তিনি।
‘একজন সুহৃদ, বন্ধুকে হারালাম’: গণফোরাম নেতা মন্টুর মৃত্যুতে ফখরুল

- আপডেট সময় ০২:২১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
- / ১৭ বার পড়া হয়েছে

“তার মূল পরিচয় হচ্ছে সে একজন সত্যিকার অর্থেই মুক্তিযোদ্ধা…জীবন্ত মুক্তিযোদ্ধা,” বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বর্ষীয়ান রাজনীতিক মোস্তফা মোহসীন মন্টুর মৃত্যুর সংবাদ শুনে স্কয়ার হাসপাতালে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সময়কার ছাত্র রাজনীতির দীর্ঘদিনের সঙ্গী মন্টুর নিথর মরদেহের পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
রোববার রোববার বিকাল ৫টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান গণফোরামের সভাপতি মন্টু। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। মাস দুয়েক থেকে তিনি অসুস্থ ছিলেন।
পরে হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষামান সাংবাদিকদের আবেগপ্রবণ কণ্ঠে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘মোস্তফা মোহসীন মন্টু গণফোরামের সভাপতি হিসেবেই তার পরিচয় নয়, তার মূল পরিচয় হচ্ছে সে একজন সত্যিকার অর্থেই মুক্তিযোদ্ধা…জীবন্ত মুক্তিযোদ্ধা।
“গণতন্ত্রে অটল বিশ্বাসী একজন মানুষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী একজন রাজনৈতিক নেতা যাকে সত্যিকার অর্থেই আমরা একজন বিশিষ্ট দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতাকে হারালাম। তার চলে যাওয়াতে জাতি যে ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতি সহজেই পূরণ হওয়ার নয়।”
তিনি বলেন, ‘‘পুরো সত্তরের দশকে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছেন। পরে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন, প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধ করেছেন।
‘‘পররবর্তিকালে নীতির সাথে মিল না হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। তারপরে আর কোনো সমঝোতা করেননি এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নীতির প্রশ্নের তিনি কোনো আপোস করেননি।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমি ব্যক্তিগতভাবে হারিয়েছি আমার একজন সুহৃদকে, আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে।
‘‘তার চলে যাওয়া আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত দুঃখের, কষ্টের। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং পরম করুনাময় আল্লাহ তালার কাছে দোয়া চাইছি তিনি যেন তাকে বেহেস্তে নসীব করেন।”
তিনি বলেন, ‘‘ এখন তো রাজনীতিতে এই ধরনের মানুষের বেশি প্রয়োজন ছিলো।”
হাসপাতালে প্রয়াত মন্টুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফখরুল কথা বলেন এবং তাদেরকে সান্তনা দেন।
হাসপাতালে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ছিলেন।