০১:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
“মেলায় এমন সব জিনিস পাওয়া যায়, যেগুলো অন্য কোথাও পাওয়া যায় না, সেজন্যই আসা," বলেন এক দর্শনার্থী।

নানা ফল নিয়ে মেলা বসেছে ঢাকার ফার্মগেইটে

মিজানুর রহমান খান
  • আপডেট সময় ০৪:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

কাঠলিচু, সফেদা, ড্রাগন, জামসহ বিভিন্ন ধরনের ফল নিয়ে মেলা বসেছে ঢাকার ফার্মগেইটে।

 

কাঠলিচু, সফেদা, ড্রাগন, জামসহ বিভিন্ন ধরনের ফল নিয়ে মেলা বসেছে ঢাকার ফার্মগেইটে।

রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন চত্বরে বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এ মেলা চলবে শনিবার পর্যন্ত।

মেলায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বিক্রয়কেন্দ্রে পাওয়া যাচ্ছে কাঁঠালের বিরিয়ানি, কেক, সাসলিক, বড়া, কাবাব, এঁচোড়, হালুয়া, তালের বড়া, আমের পুডিং, আচারসহ ফ্রেশ কাট বিভিন্ন ধরনের ফল৷

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুলতানান নাসিরা বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফ্রেশ ফুড, প্রসেসিং আইটেম, সিজনাল ফুড পাওয়া যাচ্ছে এখানে। আমাদের দেশে প্রচুর কাঁঠাল হয়; কিন্তু সেগুলো নষ্ট হয়। সেগুলো দিয়ে যে বিরিয়ানি, পিৎজা করা যায়- সেটাই মানুষকে জানাতে চাই।”

ময়মনসিংহের যমযম ফুডসে বিক্রি হচ্ছে লালচিনি, জায়তুন তেল, কালোজিরার তেল, নারিকেল চিড়া, মণ্ডাসহ বিভিন্ন অর্গানিক ও শুকনা খাবার।

মেলার শেষদিন পর্যন্ত দোকানটিতে ৩০ শতাংশ ছাড় চলবে বলে জানিয়েছেন যমযম ফুডসের কর্ণধার খোরশেদ আলম।

তিনি বলেন, “১৫০ টাকার মধ্যেই ম্যাক্সিমাম জিনিস পাওয়া যাচ্ছে। কোম্পানির প্রচারের জন্যই মেলায় আসা। যাতে অনলাইনেও ক্রেতারা কিনতে পারে।”

জামরুল, কাঠলিচু, সফেদা, ড্রাগন, জাম, পেঁয়ারা, লিচু, লটকন বিক্রি করছে মিতু ফল ভান্ডার।

সেখানকার বিক্রেতা দুলাল গাজী বলেন, “এখানে বেচাকিনি ভাল হয়, সবাই আসে। শেষের দিন ১০ পারসেন্ট ডিসকাউন্ট দেব। বাইরে যেমন দামে বিক্রি হচ্ছে, এখানেও সেরকম দামেই বিক্রি হচ্ছে।”

মেলায় আসা দর্শনার্থীরা বলছেন, দুর্লভ ফল আর খাবারের সন্ধানেই তারা এখানে এসেছেন।

আদাবর থেকে আসা মার্সিয়া আক্তার বলেন, “মেলায় এমন সব জিনিস পাওয়া যায়, যেগুলো অন্য কোথাও পাওয়া যায় না, সেজন্যই আসা।”

বৃহস্পতিবার সকালে কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মেলা ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি বিক্রেতাদের কম দামে ফল বিক্রির নির্দেশ দেন।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলা এ মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত। দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি রাসায়নিকমুক্ত ফলও কিনতে পারবেন মেলা থেকে। মেলায় সরকারি ২৬টি ও বেসরকারি ৪৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।

 

 

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

“মেলায় এমন সব জিনিস পাওয়া যায়, যেগুলো অন্য কোথাও পাওয়া যায় না, সেজন্যই আসা," বলেন এক দর্শনার্থী।

নানা ফল নিয়ে মেলা বসেছে ঢাকার ফার্মগেইটে

আপডেট সময় ০৪:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

 

কাঠলিচু, সফেদা, ড্রাগন, জামসহ বিভিন্ন ধরনের ফল নিয়ে মেলা বসেছে ঢাকার ফার্মগেইটে।

রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন চত্বরে বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এ মেলা চলবে শনিবার পর্যন্ত।

মেলায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বিক্রয়কেন্দ্রে পাওয়া যাচ্ছে কাঁঠালের বিরিয়ানি, কেক, সাসলিক, বড়া, কাবাব, এঁচোড়, হালুয়া, তালের বড়া, আমের পুডিং, আচারসহ ফ্রেশ কাট বিভিন্ন ধরনের ফল৷

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুলতানান নাসিরা বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফ্রেশ ফুড, প্রসেসিং আইটেম, সিজনাল ফুড পাওয়া যাচ্ছে এখানে। আমাদের দেশে প্রচুর কাঁঠাল হয়; কিন্তু সেগুলো নষ্ট হয়। সেগুলো দিয়ে যে বিরিয়ানি, পিৎজা করা যায়- সেটাই মানুষকে জানাতে চাই।”

ময়মনসিংহের যমযম ফুডসে বিক্রি হচ্ছে লালচিনি, জায়তুন তেল, কালোজিরার তেল, নারিকেল চিড়া, মণ্ডাসহ বিভিন্ন অর্গানিক ও শুকনা খাবার।

মেলার শেষদিন পর্যন্ত দোকানটিতে ৩০ শতাংশ ছাড় চলবে বলে জানিয়েছেন যমযম ফুডসের কর্ণধার খোরশেদ আলম।

তিনি বলেন, “১৫০ টাকার মধ্যেই ম্যাক্সিমাম জিনিস পাওয়া যাচ্ছে। কোম্পানির প্রচারের জন্যই মেলায় আসা। যাতে অনলাইনেও ক্রেতারা কিনতে পারে।”

জামরুল, কাঠলিচু, সফেদা, ড্রাগন, জাম, পেঁয়ারা, লিচু, লটকন বিক্রি করছে মিতু ফল ভান্ডার।

সেখানকার বিক্রেতা দুলাল গাজী বলেন, “এখানে বেচাকিনি ভাল হয়, সবাই আসে। শেষের দিন ১০ পারসেন্ট ডিসকাউন্ট দেব। বাইরে যেমন দামে বিক্রি হচ্ছে, এখানেও সেরকম দামেই বিক্রি হচ্ছে।”

মেলায় আসা দর্শনার্থীরা বলছেন, দুর্লভ ফল আর খাবারের সন্ধানেই তারা এখানে এসেছেন।

আদাবর থেকে আসা মার্সিয়া আক্তার বলেন, “মেলায় এমন সব জিনিস পাওয়া যায়, যেগুলো অন্য কোথাও পাওয়া যায় না, সেজন্যই আসা।”

বৃহস্পতিবার সকালে কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মেলা ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি বিক্রেতাদের কম দামে ফল বিক্রির নির্দেশ দেন।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলা এ মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত। দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি রাসায়নিকমুক্ত ফলও কিনতে পারবেন মেলা থেকে। মেলায় সরকারি ২৬টি ও বেসরকারি ৪৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।