১২:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরোধী নয় ইসরায়েল। তবে ইরানকে নিজ দেশে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে দেওয়া যায় না- বলেন এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল ইসরায়েল

নিউজ ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৩:৩০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

জেনিভা বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। ছবি: রয়টার্স।

সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইউরোপীয় তিন দেশের বৈঠক চলার মাঝেই এ বিষয়ে ইসরায়েল নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি এক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইরানের পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের বিরোধী নয় ইসরায়েল। তবে ইরান নিজ দেশের ভেতরেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করুক সেটি ইসরায়েল চায় না।

তিনি বলেন, “একাজটি অন্য আরেকটি দেশে কেন করা যাবে না, এর কোনও কারণ নেই। যদি সত্যিই বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো প্রয়োজনে এ কর্মসূচি চলে, তাহলে ইরানের দেশের ভেতরে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের দরকার কী?”

এই কর্মকর্তার মতে, ইরানে ইউরেনিয়াম একবার সমৃদ্ধ করা শুরু হলে, তা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ সীমা ছাড়িয়ে অস্ত্র তৈরির উপযোগী পর্যায়ে চলে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

জাতিসংঘের আনবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলছে, ইরান এরই মধ্যে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম মজুত করেছে; যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের সাধারণ সীমার অনেক ঊর্ধ্বে।

ইসরায়েলি ওই কর্মকর্তার দাবি, এ বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ যুদ্ধ শুরুর আগে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যাতে ইরানের ইউরেনিয়াম বিদেশে সমৃদ্ধ করার ব্যবস্থা রাখা হয়।

‘ইরান বোমা বানাতে ছুটছে’—১৯৯৫ সাল থেকে বারবার উচ্চারিত এই অভিযোগের পেছনে ইসরায়েলের কাছে কী প্রমাণ আছে জানতে চাইলে ইসরায়েলি ওই কর্মকরর্তা বলেন,

“তিন মাস আগেও ইরান এমন মাত্রায় উচ্চ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করেছিল, যা দিয়ে অন্তত ছয়টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করা সম্ভব। আর ইসরায়েল যখন সামরিক অভিযান শুরু করে তখন ইরানের সেই সক্ষমতা বেড়ে দাঁড়ায় নয়টি বোমা তৈরির সমান।”

 

নিউজ ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরোধী নয় ইসরায়েল। তবে ইরানকে নিজ দেশে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে দেওয়া যায় না- বলেন এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল ইসরায়েল

আপডেট সময় ০৩:৩০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইউরোপীয় তিন দেশের বৈঠক চলার মাঝেই এ বিষয়ে ইসরায়েল নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি এক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইরানের পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের বিরোধী নয় ইসরায়েল। তবে ইরান নিজ দেশের ভেতরেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করুক সেটি ইসরায়েল চায় না।

তিনি বলেন, “একাজটি অন্য আরেকটি দেশে কেন করা যাবে না, এর কোনও কারণ নেই। যদি সত্যিই বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো প্রয়োজনে এ কর্মসূচি চলে, তাহলে ইরানের দেশের ভেতরে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের দরকার কী?”

এই কর্মকর্তার মতে, ইরানে ইউরেনিয়াম একবার সমৃদ্ধ করা শুরু হলে, তা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ সীমা ছাড়িয়ে অস্ত্র তৈরির উপযোগী পর্যায়ে চলে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

জাতিসংঘের আনবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলছে, ইরান এরই মধ্যে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম মজুত করেছে; যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের সাধারণ সীমার অনেক ঊর্ধ্বে।

ইসরায়েলি ওই কর্মকর্তার দাবি, এ বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ যুদ্ধ শুরুর আগে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যাতে ইরানের ইউরেনিয়াম বিদেশে সমৃদ্ধ করার ব্যবস্থা রাখা হয়।

‘ইরান বোমা বানাতে ছুটছে’—১৯৯৫ সাল থেকে বারবার উচ্চারিত এই অভিযোগের পেছনে ইসরায়েলের কাছে কী প্রমাণ আছে জানতে চাইলে ইসরায়েলি ওই কর্মকরর্তা বলেন,

“তিন মাস আগেও ইরান এমন মাত্রায় উচ্চ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করেছিল, যা দিয়ে অন্তত ছয়টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করা সম্ভব। আর ইসরায়েল যখন সামরিক অভিযান শুরু করে তখন ইরানের সেই সক্ষমতা বেড়ে দাঁড়ায় নয়টি বোমা তৈরির সমান।”

 

নিউজ ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম