১২:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

দাম বেড়েছে চালের, সবজির নাগাল পেতেও কষ্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১০:১০:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
  • / ৪১ বার পড়া হয়েছে

ঈদের পর দুই সপ্তাহ ধরে চালের দাম চড়া। এর জন্য পাইকারি বিক্রেতারা মিল মালিকদের দায় দিচ্ছেন। সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

 

ঈদের পর দুই সপ্তাহ ধরে চালের দাম চড়া। এর জন্য পাইকারি বিক্রেতারা মিল মালিকদের দায় দিচ্ছেন।

আগের সপ্তাহে চড়ে যাওয়া সোনালী মুরগির দাম কমতে শুরু করলেও সবজিতে স্বস্তি পাচ্ছেন না ভোক্তারা।

শুক্রবার মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ সংশ্লিষ্ট কাঁচাবাজার, কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ঘুরে এমন চিত্র মিলেছে।

টাউন হল বাজারে আসা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছিলেন, অন্যদিনের তুলনায় শুক্রবারে দাম বেড়ে যায়। অন্তর্বর্তী সরকার তো অনেক কিছু নিয়েই কাজ করে, সবজির বাজার নিয়েও কাজ করা ‘উচিত’।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আগে প্রতিকেজি চাল যে দরে বিক্রি হয়েছে গত দুই সপ্তাহে তার থেকে ২ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বাড়তি।

মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো খাবারের তালিকায় সাধারণত মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল রাখেন। আর এ দুই ধরনের চালের দামই বাড়তি।

মিনিকেটের প্রকার ও মানভেদে প্রতিকেজি ৭৬ থেকে ৮২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

ভাল মানের মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকা কেজি দরে, যা ঈদের আগে বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৭৬ টাকায়।

যে মিনিকেট চাল ঈদের আগে ৭২ থেকে ৭৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে তা শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৭৬ থেকে ৭৮ টাকা।

ঈদের আগে যে নাজিরশাইল চাল প্রতিকেজি ৭৪ টাকা বিক্রি হয়েছে তার দাম পড়ছে ৮২ টাকা।

প্রতিকেজি ৭৮ টাকা ৫০ পয়সায় দরে যে নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে, ঈদের আগে তা কেনা যেত ৭২ টাকায়।

মোটা জাতের ব্রি-আঠাশ চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫৮ টাকায়, যা ঈদের আগে ছিল ৫৪ টাকা।

বাসমতি চাল ঈদের আগে ৮৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ৯৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাটারিভোগ সুগন্ধি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৩ টাকায়, যা আগে ছিল ১০৮ টাকা।

টাউন হল বাজারের চালের দোকান ‘বিসমিল্লাহ রাইস মিল’ এর বিক্রেতা মোঃ আনিসুর রহমান বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিল মালিকদের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। মিল মালিকরা বলছেন, ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম বাড়ছে।”

মোহাম্মপদপুর হাউজিং সোসাইটির কেয়ারটেকার মোকলেসুর রহমান বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছিলেন, চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি বিপাকে পড়েছেন। ৫০ থেকে ৫২ টাকায় যে মোটা চাল কিনতেন এখন তা ৫৮ তাকা দরে কিনতে হচ্ছে।

“প্রতি কেজি চালের দাম ৬ টাকা বাড়লে তা আমাদের মতো গরীবদের জন্য কষ্টকর। “

চালের বাজার চড়লেও আগের সপ্তাহে বেড়ে যাওয়া সোনালি মুরগির দাম কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

আর ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা। সাদা ও লাল লেয়ার মুরগির দাম আগের মত থাকলেও দেশি মুরগির দাম কিছুইটা কমেছে।

এদিন সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগির কেজি প্রতি ১৫০-১৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৭০ টাকা।

লাল লেয়ার আগের মতই ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশি মুরগির দাম কমে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬২০ টাকা দরে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬৫০ থেকে ৬৬০ টাকা।

এদিন খামারে মুরগির লাল ডিম বিক্রি হয়েছে ডজন প্রতি ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। আর খামারের সাদা ডিম বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা ডজন দরে।

প্রতি ডজন দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে। হাঁসের ডিম ২০০ থেকে ২১০ টাকা ও কোয়েলের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা ডজন প্রতি।

আগের সপ্তাহের মত আলু কেজি প্রতি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় পেঁয়াজ ৭০ টাকা ও মাঝারি ও ছোট পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মোটা আদা ১৬০-১৭০ টাকা ও চিকন আদা ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। বড় রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ও ছোট রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

সবজির দাম কমছে না, বরং প্রতি সপ্তাহে দুই-একটি সবজির দাম বাড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। তাছাড়া সপ্তাহের অন্য দিনে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে পাওয়া গেলেও শুক্রবার যেন সবজির দামে উল্লম্ফন হয়।

সূত্র : মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ সংশ্লিষ্ট কাঁচাবাজার, কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ঘুরে এমন চিত্র মিলেছে ।

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

দাম বেড়েছে চালের, সবজির নাগাল পেতেও কষ্ট

আপডেট সময় ১০:১০:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

 

ঈদের পর দুই সপ্তাহ ধরে চালের দাম চড়া। এর জন্য পাইকারি বিক্রেতারা মিল মালিকদের দায় দিচ্ছেন।

আগের সপ্তাহে চড়ে যাওয়া সোনালী মুরগির দাম কমতে শুরু করলেও সবজিতে স্বস্তি পাচ্ছেন না ভোক্তারা।

শুক্রবার মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ সংশ্লিষ্ট কাঁচাবাজার, কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ঘুরে এমন চিত্র মিলেছে।

টাউন হল বাজারে আসা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছিলেন, অন্যদিনের তুলনায় শুক্রবারে দাম বেড়ে যায়। অন্তর্বর্তী সরকার তো অনেক কিছু নিয়েই কাজ করে, সবজির বাজার নিয়েও কাজ করা ‘উচিত’।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আগে প্রতিকেজি চাল যে দরে বিক্রি হয়েছে গত দুই সপ্তাহে তার থেকে ২ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বাড়তি।

মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো খাবারের তালিকায় সাধারণত মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল রাখেন। আর এ দুই ধরনের চালের দামই বাড়তি।

মিনিকেটের প্রকার ও মানভেদে প্রতিকেজি ৭৬ থেকে ৮২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

ভাল মানের মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকা কেজি দরে, যা ঈদের আগে বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৭৬ টাকায়।

যে মিনিকেট চাল ঈদের আগে ৭২ থেকে ৭৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে তা শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৭৬ থেকে ৭৮ টাকা।

ঈদের আগে যে নাজিরশাইল চাল প্রতিকেজি ৭৪ টাকা বিক্রি হয়েছে তার দাম পড়ছে ৮২ টাকা।

প্রতিকেজি ৭৮ টাকা ৫০ পয়সায় দরে যে নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে, ঈদের আগে তা কেনা যেত ৭২ টাকায়।

মোটা জাতের ব্রি-আঠাশ চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫৮ টাকায়, যা ঈদের আগে ছিল ৫৪ টাকা।

বাসমতি চাল ঈদের আগে ৮৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ৯৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাটারিভোগ সুগন্ধি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৩ টাকায়, যা আগে ছিল ১০৮ টাকা।

টাউন হল বাজারের চালের দোকান ‘বিসমিল্লাহ রাইস মিল’ এর বিক্রেতা মোঃ আনিসুর রহমান বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিল মালিকদের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। মিল মালিকরা বলছেন, ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম বাড়ছে।”

মোহাম্মপদপুর হাউজিং সোসাইটির কেয়ারটেকার মোকলেসুর রহমান বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছিলেন, চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি বিপাকে পড়েছেন। ৫০ থেকে ৫২ টাকায় যে মোটা চাল কিনতেন এখন তা ৫৮ তাকা দরে কিনতে হচ্ছে।

“প্রতি কেজি চালের দাম ৬ টাকা বাড়লে তা আমাদের মতো গরীবদের জন্য কষ্টকর। “

চালের বাজার চড়লেও আগের সপ্তাহে বেড়ে যাওয়া সোনালি মুরগির দাম কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

আর ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা। সাদা ও লাল লেয়ার মুরগির দাম আগের মত থাকলেও দেশি মুরগির দাম কিছুইটা কমেছে।

এদিন সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগির কেজি প্রতি ১৫০-১৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৭০ টাকা।

লাল লেয়ার আগের মতই ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশি মুরগির দাম কমে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬২০ টাকা দরে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬৫০ থেকে ৬৬০ টাকা।

এদিন খামারে মুরগির লাল ডিম বিক্রি হয়েছে ডজন প্রতি ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। আর খামারের সাদা ডিম বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা ডজন দরে।

প্রতি ডজন দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে। হাঁসের ডিম ২০০ থেকে ২১০ টাকা ও কোয়েলের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা ডজন প্রতি।

আগের সপ্তাহের মত আলু কেজি প্রতি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় পেঁয়াজ ৭০ টাকা ও মাঝারি ও ছোট পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মোটা আদা ১৬০-১৭০ টাকা ও চিকন আদা ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। বড় রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ও ছোট রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

সবজির দাম কমছে না, বরং প্রতি সপ্তাহে দুই-একটি সবজির দাম বাড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। তাছাড়া সপ্তাহের অন্য দিনে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে পাওয়া গেলেও শুক্রবার যেন সবজির দামে উল্লম্ফন হয়।

সূত্র : মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ সংশ্লিষ্ট কাঁচাবাজার, কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ঘুরে এমন চিত্র মিলেছে ।

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম