শুনানিতে দুটি ট্রাভেল এজেন্সি হাজির হয়ে কাগজপত্র দাখিল করলেও বাকি ১১টি ট্রাভেল এজেন্সি শুনানিতে আসেনি।
টিকেট ‘কালোবাজারি’: ১৩ ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল
- আপডেট সময় ১২:৩৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৭২ বার পড়া হয়েছে
আকাশপথের টিকেটের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির সাথে জড়িত থাকায় ১৩টি ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
আকাশপথের টিকেটের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির সাথে জড়িত থাকায় ১৩টি ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
টিকেট ‘কালোবাজারির’ সাথে জড়িত এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এসব এজেন্সির নিবন্ধন সনদ বাতিল করা হয় বলে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পৃথক আদেশে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর নিবন্ধন বাতিল করা হয়।
এই ১৩টি এজেন্সি হল-কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড, সিটিকম ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড, আরবিসি ইন্টারন্যাশনাল, মেঘা ইন্টারন্যাশনাল এয়ার সার্ভিস, মাদার লাভ এয়ার সার্ভিস, জে এস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস, হাসেম এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, ফোর ট্রিপ লিমিটেড, কিং এয়ার এভিয়েশন, বিপ্লব ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্ট, সাদিয়া ট্রাভেলস, আত-তাইয়ারা ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল ও এন এম এস এস ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিবেদনে এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে গ্রুপ বুকিংয়ের নামে অনির্দিষ্টকালের জন্য চাহিদাসম্পন্ন রুটের এয়ার টিকিট ব্লক করে রাখা এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপসহ সাব-এজেন্টের মাধ্যমে উচ্চমূল্যে টিকিট বিক্রির তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার কথা বলেছে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর ৯ ধারার বিধান অনুযায়ী ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এবং ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে আত্মপক্ষ সমর্থনে জবাব দাখিলসহ শুনানির সুযোগ প্রদান করে।”
শুনানিতে দুটি ট্রাভেল এজেন্সি হাজির হয়ে কাগজপত্র দাখিল করলেও বাকি ১১টি ট্রাভেল এজেন্সি শুনানিতে আসেনি। তারা কোনোধরনের তথ্যও দেয়নি, যা বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
মন্ত্রণালয় বলেছে, যে দুটি ট্রাভেল এজেন্সি কাগজপত্র দাখিল করেছে তাদের কাগজপত্র ও সাক্ষ্য পর্যালোচনায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
এসব ট্রাভেল এজেন্সি বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অস্বাভাবিক দামে অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দেশ্যে টিকিটের মজুতদারি, কালোবাজারি ও প্রতারণামূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়েছিল।
তাদের এয়ার টিকেট বেচাকেনাসহ ব্যবসায়িক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রণালয় বলছে, “আকাশপথের যাত্রীদের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকার কর্তৃক বার বার সতর্কবার্তা প্রেরণের পরেও যেসব ট্রাভেল এজেন্সি, জিডিএস, জিএসএ বা এয়ারলাইন্স সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টিকেটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে, তাদের বিষয়ে সরকার কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান – বিশেষ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম










