সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া যায়নি : পিবিআই
- আপডেট সময় ০৬:০৬:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
- / ১০০ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দোকান বরাদ্দের নামে ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার (১৭ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী পিবিআইয়ের দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে সাঈদ খোকনসহ সাতজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন। অব্যাহতি পাওয়া অপর আসামিরা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান ও ওয়ালিদ। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জনি বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এর সভাপতি দেলোয়ার হোসেন নকশাবহির্ভূত দোকান বরাদ্দ দিয়ে ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করে মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ৮ এপ্রিল চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক এ জেড এম মনিরুজ্জামান।
প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় সাঈদ খোকনসহ সাতজনকে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করেন তিনি।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এ সাঈদ খোকন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদ পরস্পর যোগসাজশে ও অন্যান্য আসামিরা মিলে দোকান বরাদ্দের নামে নকশাবহির্ভূত অবৈধ দোকান বরাদ্দ দেন।
বর্তমান মেয়র নকশাবহির্ভূত অবৈধ দোকান ভেঙে ফেলেন। এতে অসহায় অনেক দোকান মালিক কোটি কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হন। অনেক দোকানের মালিক গ্রাম থেকে জমিজমা বিক্রি করে দোকান বরাদ্দ নেন। বর্তমানে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।জবানবন্দিতে বাদী উল্লেখ করেন যে, তিনি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।