‘টিআইএনধারীদের জন্য দুই হাজার টাকা দেওয়া গর্বের’
- আপডেট সময় ০৯:১৯:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩
- / ১৪৮ বার পড়া হয়েছে
টিআইএন সবার জন্য বাধ্যতামূলক নয় জানিয়ে বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, যাদের জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক তাদের পক্ষে বছরে সরকারি কোষাগারে দুই হাজার টাকা দেওয়া গর্বের।
শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অর্থমন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, গরিব মানুষের জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক নয়। আগে দেখেন, কাদের টিআইএন আছে৷ কাদের জন্য বাধ্যতামূলক।আমদানি-রফতানি ব্যবসায়ী, বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্সধারী, যাদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক এ ধরনের মানুষের জন্যই টিআইএন বাধ্যতামূলক।
প্রস্তাবিত বাজেটে টিআইএনধারীদের জন্য ন্যূনতম কর দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, এনবিআর চেয়ারম্যান রহমাতুল মুনিম, অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার প্রমুখ।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুন) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
আগামী এক বছর দেশ পরিচালনার সার্বিক আয়-ব্যয়ের হিসাব রয়েছে এই বাজেটে। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম ও বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।