০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪
বঙ্গবন্ধু লেখক ও সাংবাদিক ফোরাম ইউকে কর্তৃক স্মারকলিপি পেশ

মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে স্মারকলিপি

বিডিপি২৪, লন্ডন প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৯:১৯:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩
  • / ১৮৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী বর্বরতা ও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবীতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে  বঙ্গবন্ধু লেখক ও সাংবাদিক ফোরাম ইউকে’র নেতৃবৃন্দ।

আজ (বৃহস্পতিবার)  দুপুরে ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবীতে স্বারক লিপি প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্তিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, উপদেষ্টা মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক আনছার আহমেদ উল্লাহ, সিকদার মোহাম্মদ কিটন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছির প্রমুখ।

স্বারকলিপিতে ব্রিটিশ সরকারের কাছে একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ও তাদের দোসর আল বদর, রাজাকার দ্বারা সংগঠিত নিরীহ বাঙালীদের উপর নির্বিচারে গণহত্যা,  হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৯৫ জন পাকিস্তানী সৈনিকের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার ও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জোর দাবী জানানো হয়।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে সাংবাদিক নেতারা জানায়, একাত্তরে ধর্মের নামে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রকৃত পক্ষে ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর দুই লক্ষ মা-বোনের আত্নমর্যাদা ও আত্মদানের স্বীকৃতি। মৌলবাদী ও স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারীদের গণহত্যা অস্বীকারের অপচেষ্টা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে তাদের এই দাবী  সহায়ক হবে বলে মনে করেন তারা। এসময়  বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য ব্রিটিশ সরকার অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়,  ১৯৭২ সালে জানুয়ারী মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডনে আসলে বিট্রিশ সরকারের ভূমিকা বাঙ্গালী জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে। লন্ডনের মাটিতে বাংলাদেশে গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি সব সময়ই আলাদা তাৎপর্য বহন করে। কারণ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গৃহীত এক প্রস্তাবেই প্রথম বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ‘জেনোসাইড’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল।

উল্লেখ্য যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে চলমান ভূ-রাজনৈতিক স্নায়ুযুদ্ধের কারণে ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত এই ন্যাক্কারজনক জেনোসাইড এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বঙ্গবন্ধু লেখক ও সাংবাদিক ফোরাম ইউকে কর্তৃক স্মারকলিপি পেশ

মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে স্মারকলিপি

আপডেট সময় ০৯:১৯:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী বর্বরতা ও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবীতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে  বঙ্গবন্ধু লেখক ও সাংবাদিক ফোরাম ইউকে’র নেতৃবৃন্দ।

আজ (বৃহস্পতিবার)  দুপুরে ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবীতে স্বারক লিপি প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্তিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, উপদেষ্টা মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক আনছার আহমেদ উল্লাহ, সিকদার মোহাম্মদ কিটন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছির প্রমুখ।

স্বারকলিপিতে ব্রিটিশ সরকারের কাছে একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ও তাদের দোসর আল বদর, রাজাকার দ্বারা সংগঠিত নিরীহ বাঙালীদের উপর নির্বিচারে গণহত্যা,  হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৯৫ জন পাকিস্তানী সৈনিকের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার ও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জোর দাবী জানানো হয়।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে সাংবাদিক নেতারা জানায়, একাত্তরে ধর্মের নামে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রকৃত পক্ষে ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর দুই লক্ষ মা-বোনের আত্নমর্যাদা ও আত্মদানের স্বীকৃতি। মৌলবাদী ও স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারীদের গণহত্যা অস্বীকারের অপচেষ্টা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে তাদের এই দাবী  সহায়ক হবে বলে মনে করেন তারা। এসময়  বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য ব্রিটিশ সরকার অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়,  ১৯৭২ সালে জানুয়ারী মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডনে আসলে বিট্রিশ সরকারের ভূমিকা বাঙ্গালী জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে। লন্ডনের মাটিতে বাংলাদেশে গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি সব সময়ই আলাদা তাৎপর্য বহন করে। কারণ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গৃহীত এক প্রস্তাবেই প্রথম বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ‘জেনোসাইড’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল।

উল্লেখ্য যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে চলমান ভূ-রাজনৈতিক স্নায়ুযুদ্ধের কারণে ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত এই ন্যাক্কারজনক জেনোসাইড এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি।