“সারাদেশে জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে,” বলেন তিনি।
বিলুপ্তপ্রায় ৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে: মৎস্য উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৬:০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩২ বার পড়া হয়েছে
দেশে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ৬৪ প্রজাতির মাছের মধ্যে ৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনার কথা তুলে ধরেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তার মতে, অভয়াশ্রম গড়ে তোলা ও তা রক্ষা করা মৎস্যসম্পদ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বুধবার ঢাকার খামারবাড়িতে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘টেকসই মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনায় অভয়াশ্রমের গুরুত্ব ও ভবিষ্যত করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখছিলেন উপদেষ্টা।
ফরিদা আখতার বলেন, “দেশে ৬৪ প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) গবেষণার ফলে এরকম ৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।”
তিনি বলেন, “সারাদেশে জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে। বর্তমান সরকার এ খাতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।”
জিনগত বিলুপ্তি রোধ করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে মৎস্যসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় বরং আন্তর্জাতিক মৎস্যসম্পদের প্রয়োজনে মাছের প্রজাতিগুলোর রক্ষ করা অপরিহার্য।
“তাৎক্ষণিক লাভের আশায় কিছু মানুষ মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুতের ব্যবহার করে থাকে যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। মৎস্যসম্পদ ধ্বংসের পেছনে পানি ও প্লাস্টিকদূষণ অন্যতম কারণ।”
সম্প্রতি প্লাস্টিক বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি তুলে ধরে তিনি বরেণ, “প্লাস্টিক চুক্তি মানুষ ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় বাংলাদেশ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।”
বিএফআরএই এর মহাপরিচালক অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে সেমিনারে মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুর রউফ বক্তব্য রাখেন।
বিএফআরআই এর ঊধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
নিঝুম আহমেদ – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম