০৯:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

ওমর সানী ফিল্মের হিরো নাকি মৌসুমীর জামাই, প্রশ্ন নূতনের

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৮:৫৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / ১১৬ বার পড়া হয়েছে

নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানী। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরব তিনি। বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের মতামত তুলে ধরেন, ছবি-ভিডিও শেয়ার করেন। মাঝেমধ্যে পরামর্শও দেন। সম্প্রতি একটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘প্রিয়তমা বলতে বাংলায় সুচিত্রা সেন, কবরী, শাবানা, ববিতা, মৌসুমী, শাবনূর, পূর্ণিমা- আমি এভাবেই ভাবছি। আর এখন কি দেখছি এই হচ্ছে প্রিয়তমা? এত মধুর নামের সাথে মধুর ভাবনা দরকার।’

মন্তব্যের ঘরে অভিনেত্রী অঞ্জনার খানিকটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবার বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন চিত্রনায়িকা নূতন। সেখানে ওমর সানীকে ‘সাবেক নায়ক’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘নায়িকা মৌসুমীর জামাই সাবেক নায়ক ওমর সানীকে বুদ্ধিজীবী খেতাব দেওয়ার দাবি জানানো এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।’

চিত্রনায়িকা নূতনের স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-

ওমর সানী আমার খুব আদরের ছোট ভাই। তাকে বাংলাদেশ ফিল্মে জন্মাতে দেখেছি। এটা একটু অহংকার নিয়েই বললাম। তার নাম ছিলো ইমরান। এফডিসিতে আসা, কাজ করা- সব চোখের সামনেই। যাই হোক, সে তার একটা অবস্থান করেছে, অভিনেতা হয়েছে। বাম হাতে সালাম দিত, তাই বেয়াদব ভাবতাম। পরে দেখলাম না ভালো ছেলে তবে ব্যাকাতেরা বাম পাশেই চলে। এমন কিছু অভ্যাস আমারও আছে।

ভাবি বলে সম্মান করে আমায়, আমি ভাই বলে জানি। সম্মানে তার কমতি নেই। তাই দোয়া তার জন্য চিরকাল। তাকে আমি ভালোবাসি। সানী কোনোদিন (জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার) অভিনেতা হিসেবে পেয়েছে কিনা আমি জানি না। শেষ ২০১৪ পর্যন্ত আমি জানি, সে পায়নি। তা নিয়ে আমার অনেক জায়গায় আক্ষেপ ছিলো। কেনো তাকে দেওয়া হয়নি? সে কি যোগ্য না? সেটা যারা দেয় তারা জানেন ভালো করে। তবে সে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাওয়ার যোগ্য। সম্মাননা না পেয়ে থাকলে সে পাবে ইনশাআল্লাহ।

কিন্তু সানীর জীবনে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন ও প্রভাব আসে যখন সে মৌসুমীকে বিয়ে করে। মৌসুমীর দিনের পর দিন উজ্জ্বল চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার আর সানীর ক্ষানিকটা পরে যাওয়া ক্যারিয়ার সামাল দিতে না পেরে মানসিকভাবে দ্বিধায় পড়ে যায়। যার খেসারত সে মানসিকভাবেই প্রতিনিয়ত দিচ্ছে। অনেক চড়াই উতরাই পার তাকে হতে হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সে সেই মানসিক খেসারত বা ভালোবাসা দেখানোর জন্য নিজের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা স্বঘোষিত মেধাবী দাবি করে বারবার খেই হারিয়ে ফেলছে।

মাঝে মাঝে আমার মনে হয় ওমর সানী কি ফিল্মের হিরো না মৌসুমীর জামাই? সে কি অভিনেতা না বুদ্ধিজীবী? সে কি আইনজীবী না বিচারক? নিজের কাছে সে কি বা নিজেকে সে কি ভাবে তা হয়তো সময় বলে দিবে বা প্রকাশ পাবে। মানুষের অনেক গুণ থাকতে পারে। বিচারক বা বুদ্ধিজীবী হওয়ার মতো জ্ঞান হয়তো তার বিকশিত হবে বা হচ্ছে। তবে আমার কাছে সে আমার ভাই, সে একজন ফিল্ম হিরো। এবার আসি মূল পর্বে। সানী নব্য একটা সেক্টর বা বুদ্ধিবৃত্তিক নামকরণ করার ঝুঁকি নিয়েছেন, তার জন্য সাদুবাদ।

কিভাবে এই নামকরণ আসছে তার বিস্তারিত আমার জানা নেই। তবে সানীর থেকে এই চিন্তা এলে তাকে বুদ্ধিজীবী খেতাব দেওয়ার দাবি জানানো যেতে পারে। কারণ আমি সানীর লেখা দেখেই এই নামকরনের সাথে পরিচিত হলাম। প্রিয়তমা কি? এর সংজ্ঞা কি? বা কি কি ভাবে তা হয়? বা আদৌ এই নামের কোনো ব্যাখ্যা আছে কি না? তা আমার জানা নেই। তবে সানীর নামকরনের ফর্দ দেখে মনে হলো ওই একই (যাহা ফাইভ তাহাই পাঁচ)। যাই হোক, এ স্ববিচারিক প্রক্রিয়ার বিপরীত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আমার বন্ধু সুপারস্টার অঞ্জনা। এই নামকরণের ভিত্তি কতটা তা আমার জানা নেই। আর ৫০ বছর চলচ্চিত্র জীবনে আমি এই নামের অস্তিত্ব পাইনি।

সানি হয়তো- ওই যে বললাম মানসিকতার খেসারত দেওয়ার মধ্যে আছে তাই এমন চিন্তার উদ্ভব ঘটিয়েছেন। সেটা যে যার মতো অভিব্যক্তি, মতামত প্রকাশ করতেই পারেন। কে কাকে উচ্চতর আসনে বসাবেন, কাকে বসাবেন না সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমি এই লেখায় ঘোষিতভাবে দ্বিমত প্রকাশ করার একটাই কারণ। অনেক নতুন প্রজন্ম আছেন তারা সঠিক কিছু জানতে চায়, তারা ফিল্মের মানুষদের ভালোবাসে, বিশ্বাস করে তাই তাদের সঠিক কিছু জানান দেয়া জরুরি। কে কাকে ভালোবাসলো, কি ভাবলো তা পরের কথা- তবে সঠিক জানানো জরুরী। অভিনেত্রীর বাহিরে একজন মানুষ বা দর্শক হয়ে আমরাও জানতে চাই, আমাদের অবস্থান আসলে কি?

এবার একটু হেডম মানে ফুটানি নিয়ে বলি। সানী, বাবারে আগে জানো ফিল্মের চেইন কি? শাবানা ববিতার নাম নিয়ে পাবলিক সিম্প্যাথি নেওয়া শুধু ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ। এসব ফেসবুকেই মানায়, বাস্তবে মানসিক দুর্বলতা প্রকাশ পায়। আমি এখন মান্না বা সালমানকে ভালো বলে তোমায় গালি দিলে মানুষ বাহবা দিবে, আমার সাথে তাল মিলাবে। তাতে আমি সাময়িক খুশি হলেও বুদ্ধিমানদের কাছে আমার ব্যক্তিত্ব ও দুর্বল মানসিকতা প্রকাশ পাবে।

শাবানা, শবনম, ববিতা, কবরি, রোজিনা, অঞ্জনা, সুচরিতা, অলিভিয়া, সুচন্দা, চম্পা, রোজি সিদ্দিকি, মায়া হাজারিকা, সুমিতা (আমার কথা বাদ, আমি খুব সামান্য) এদের অনেক অনেক পরের অবস্থান আমার ছোট প্রিয় আদরের বোন মৌসুমী, তারপরে বাকিদের অবস্থান। তার চেয়ে বড় কথা তুমি যখন সুচিত্রা সেনকে নিয়ে আসছো, মানে কলকাতা। তাহলে তো তোমার এই চেইনে আরও মিনিমাম ১০টা নাম যুক্ত হবে, যাদের সাথে ফিল্মের সব বিশেষণ যুক্ত হবে। তাদের চিনো না হয়তো ভালো করে বা জানা নেই। তারপর অনেক অনেক পরে আসবে তোমার বিচারিক নাম। যদিও তোমার বিচার বা লেখা তুমি লেখতেই পারো, আমি যেমন লেখলাম। তবে তোমার এই স্বঘোষিত বিচারিক প্রক্রিয়া আমাকে আবার জানান দিলো যে তুমি মানসিকভাবে বিপর্যয়ের মধ্যে আছো।

মৌসুমী নিঃসন্দেহে গুণী অভিনেত্রী এবং সুন্দরী। আমি তার ভক্ত। শাবনূরকে আমি কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনুসরণ করি। শাবনূর কোটিতে ১ জন। পূর্ণিমা গুণী। কাকে কার সাথে মিলাতে হয়, তা বুঝতে হবে। তার চেয়ে বড় কথা মৌসুমীর গুণ আর ব্যক্তিত্বকে সস্তা বিচারিক প্রক্রিয়ায় বলার জন্য বলে বা লেখার জন্য লেখে বারবার জানান দিয়ে তিতা করার এই তিতা মানসিকতা প্রকাশ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তুমি মৌসুমীর নামটাকে তিতা বানায়ে ফেলছো। আমি এই কথা রাগ অভিমান নিয়ে বলিনি। আমি খুবই সাধারণ, সামান্য আমি কিছুই না। তবে আরও অনেক আছে, যাদের নাম ভেবে চিন্তায় নিতে হয়। সেই ভাবনা চিন্তার জ্ঞানের পরিধি তোমার সীমিত।

যেহেতু তোমার কিছু ফেসবুক অনুসারী আছে তারা না বুঝে সায় দেয়, তাই তাদের সঠিক কিছু জানাও যেনো তারা ভুল না জানে। আর নিজে জেনে নাও। তা না হলে কর্মের ফলে কিছুদিন পর তোমার নাম ভুলে যাবে এবং মৌসুমীর অসম্মান হবে। তোমার নাম ভুলে যাক তা আমি চাই না। মৌসুমীর ওপর কারও বিরুপ ধারণা জন্মাক তাও চাই না। আমি তোমায় অনেক অনেক ভালোবাসি। আই লাভ ইউ আমার ভাই- চলচ্চিত্র অভিনেতা ওমর সানী।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ওমর সানী ফিল্মের হিরো নাকি মৌসুমীর জামাই, প্রশ্ন নূতনের

আপডেট সময় ০৮:৫৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানী। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরব তিনি। বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের মতামত তুলে ধরেন, ছবি-ভিডিও শেয়ার করেন। মাঝেমধ্যে পরামর্শও দেন। সম্প্রতি একটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘প্রিয়তমা বলতে বাংলায় সুচিত্রা সেন, কবরী, শাবানা, ববিতা, মৌসুমী, শাবনূর, পূর্ণিমা- আমি এভাবেই ভাবছি। আর এখন কি দেখছি এই হচ্ছে প্রিয়তমা? এত মধুর নামের সাথে মধুর ভাবনা দরকার।’

মন্তব্যের ঘরে অভিনেত্রী অঞ্জনার খানিকটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবার বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন চিত্রনায়িকা নূতন। সেখানে ওমর সানীকে ‘সাবেক নায়ক’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘নায়িকা মৌসুমীর জামাই সাবেক নায়ক ওমর সানীকে বুদ্ধিজীবী খেতাব দেওয়ার দাবি জানানো এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।’

চিত্রনায়িকা নূতনের স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-

ওমর সানী আমার খুব আদরের ছোট ভাই। তাকে বাংলাদেশ ফিল্মে জন্মাতে দেখেছি। এটা একটু অহংকার নিয়েই বললাম। তার নাম ছিলো ইমরান। এফডিসিতে আসা, কাজ করা- সব চোখের সামনেই। যাই হোক, সে তার একটা অবস্থান করেছে, অভিনেতা হয়েছে। বাম হাতে সালাম দিত, তাই বেয়াদব ভাবতাম। পরে দেখলাম না ভালো ছেলে তবে ব্যাকাতেরা বাম পাশেই চলে। এমন কিছু অভ্যাস আমারও আছে।

ভাবি বলে সম্মান করে আমায়, আমি ভাই বলে জানি। সম্মানে তার কমতি নেই। তাই দোয়া তার জন্য চিরকাল। তাকে আমি ভালোবাসি। সানী কোনোদিন (জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার) অভিনেতা হিসেবে পেয়েছে কিনা আমি জানি না। শেষ ২০১৪ পর্যন্ত আমি জানি, সে পায়নি। তা নিয়ে আমার অনেক জায়গায় আক্ষেপ ছিলো। কেনো তাকে দেওয়া হয়নি? সে কি যোগ্য না? সেটা যারা দেয় তারা জানেন ভালো করে। তবে সে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাওয়ার যোগ্য। সম্মাননা না পেয়ে থাকলে সে পাবে ইনশাআল্লাহ।

কিন্তু সানীর জীবনে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন ও প্রভাব আসে যখন সে মৌসুমীকে বিয়ে করে। মৌসুমীর দিনের পর দিন উজ্জ্বল চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার আর সানীর ক্ষানিকটা পরে যাওয়া ক্যারিয়ার সামাল দিতে না পেরে মানসিকভাবে দ্বিধায় পড়ে যায়। যার খেসারত সে মানসিকভাবেই প্রতিনিয়ত দিচ্ছে। অনেক চড়াই উতরাই পার তাকে হতে হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সে সেই মানসিক খেসারত বা ভালোবাসা দেখানোর জন্য নিজের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা স্বঘোষিত মেধাবী দাবি করে বারবার খেই হারিয়ে ফেলছে।

মাঝে মাঝে আমার মনে হয় ওমর সানী কি ফিল্মের হিরো না মৌসুমীর জামাই? সে কি অভিনেতা না বুদ্ধিজীবী? সে কি আইনজীবী না বিচারক? নিজের কাছে সে কি বা নিজেকে সে কি ভাবে তা হয়তো সময় বলে দিবে বা প্রকাশ পাবে। মানুষের অনেক গুণ থাকতে পারে। বিচারক বা বুদ্ধিজীবী হওয়ার মতো জ্ঞান হয়তো তার বিকশিত হবে বা হচ্ছে। তবে আমার কাছে সে আমার ভাই, সে একজন ফিল্ম হিরো। এবার আসি মূল পর্বে। সানী নব্য একটা সেক্টর বা বুদ্ধিবৃত্তিক নামকরণ করার ঝুঁকি নিয়েছেন, তার জন্য সাদুবাদ।

কিভাবে এই নামকরণ আসছে তার বিস্তারিত আমার জানা নেই। তবে সানীর থেকে এই চিন্তা এলে তাকে বুদ্ধিজীবী খেতাব দেওয়ার দাবি জানানো যেতে পারে। কারণ আমি সানীর লেখা দেখেই এই নামকরনের সাথে পরিচিত হলাম। প্রিয়তমা কি? এর সংজ্ঞা কি? বা কি কি ভাবে তা হয়? বা আদৌ এই নামের কোনো ব্যাখ্যা আছে কি না? তা আমার জানা নেই। তবে সানীর নামকরনের ফর্দ দেখে মনে হলো ওই একই (যাহা ফাইভ তাহাই পাঁচ)। যাই হোক, এ স্ববিচারিক প্রক্রিয়ার বিপরীত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আমার বন্ধু সুপারস্টার অঞ্জনা। এই নামকরণের ভিত্তি কতটা তা আমার জানা নেই। আর ৫০ বছর চলচ্চিত্র জীবনে আমি এই নামের অস্তিত্ব পাইনি।

সানি হয়তো- ওই যে বললাম মানসিকতার খেসারত দেওয়ার মধ্যে আছে তাই এমন চিন্তার উদ্ভব ঘটিয়েছেন। সেটা যে যার মতো অভিব্যক্তি, মতামত প্রকাশ করতেই পারেন। কে কাকে উচ্চতর আসনে বসাবেন, কাকে বসাবেন না সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমি এই লেখায় ঘোষিতভাবে দ্বিমত প্রকাশ করার একটাই কারণ। অনেক নতুন প্রজন্ম আছেন তারা সঠিক কিছু জানতে চায়, তারা ফিল্মের মানুষদের ভালোবাসে, বিশ্বাস করে তাই তাদের সঠিক কিছু জানান দেয়া জরুরি। কে কাকে ভালোবাসলো, কি ভাবলো তা পরের কথা- তবে সঠিক জানানো জরুরী। অভিনেত্রীর বাহিরে একজন মানুষ বা দর্শক হয়ে আমরাও জানতে চাই, আমাদের অবস্থান আসলে কি?

এবার একটু হেডম মানে ফুটানি নিয়ে বলি। সানী, বাবারে আগে জানো ফিল্মের চেইন কি? শাবানা ববিতার নাম নিয়ে পাবলিক সিম্প্যাথি নেওয়া শুধু ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ। এসব ফেসবুকেই মানায়, বাস্তবে মানসিক দুর্বলতা প্রকাশ পায়। আমি এখন মান্না বা সালমানকে ভালো বলে তোমায় গালি দিলে মানুষ বাহবা দিবে, আমার সাথে তাল মিলাবে। তাতে আমি সাময়িক খুশি হলেও বুদ্ধিমানদের কাছে আমার ব্যক্তিত্ব ও দুর্বল মানসিকতা প্রকাশ পাবে।

শাবানা, শবনম, ববিতা, কবরি, রোজিনা, অঞ্জনা, সুচরিতা, অলিভিয়া, সুচন্দা, চম্পা, রোজি সিদ্দিকি, মায়া হাজারিকা, সুমিতা (আমার কথা বাদ, আমি খুব সামান্য) এদের অনেক অনেক পরের অবস্থান আমার ছোট প্রিয় আদরের বোন মৌসুমী, তারপরে বাকিদের অবস্থান। তার চেয়ে বড় কথা তুমি যখন সুচিত্রা সেনকে নিয়ে আসছো, মানে কলকাতা। তাহলে তো তোমার এই চেইনে আরও মিনিমাম ১০টা নাম যুক্ত হবে, যাদের সাথে ফিল্মের সব বিশেষণ যুক্ত হবে। তাদের চিনো না হয়তো ভালো করে বা জানা নেই। তারপর অনেক অনেক পরে আসবে তোমার বিচারিক নাম। যদিও তোমার বিচার বা লেখা তুমি লেখতেই পারো, আমি যেমন লেখলাম। তবে তোমার এই স্বঘোষিত বিচারিক প্রক্রিয়া আমাকে আবার জানান দিলো যে তুমি মানসিকভাবে বিপর্যয়ের মধ্যে আছো।

মৌসুমী নিঃসন্দেহে গুণী অভিনেত্রী এবং সুন্দরী। আমি তার ভক্ত। শাবনূরকে আমি কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনুসরণ করি। শাবনূর কোটিতে ১ জন। পূর্ণিমা গুণী। কাকে কার সাথে মিলাতে হয়, তা বুঝতে হবে। তার চেয়ে বড় কথা মৌসুমীর গুণ আর ব্যক্তিত্বকে সস্তা বিচারিক প্রক্রিয়ায় বলার জন্য বলে বা লেখার জন্য লেখে বারবার জানান দিয়ে তিতা করার এই তিতা মানসিকতা প্রকাশ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তুমি মৌসুমীর নামটাকে তিতা বানায়ে ফেলছো। আমি এই কথা রাগ অভিমান নিয়ে বলিনি। আমি খুবই সাধারণ, সামান্য আমি কিছুই না। তবে আরও অনেক আছে, যাদের নাম ভেবে চিন্তায় নিতে হয়। সেই ভাবনা চিন্তার জ্ঞানের পরিধি তোমার সীমিত।

যেহেতু তোমার কিছু ফেসবুক অনুসারী আছে তারা না বুঝে সায় দেয়, তাই তাদের সঠিক কিছু জানাও যেনো তারা ভুল না জানে। আর নিজে জেনে নাও। তা না হলে কর্মের ফলে কিছুদিন পর তোমার নাম ভুলে যাবে এবং মৌসুমীর অসম্মান হবে। তোমার নাম ভুলে যাক তা আমি চাই না। মৌসুমীর ওপর কারও বিরুপ ধারণা জন্মাক তাও চাই না। আমি তোমায় অনেক অনেক ভালোবাসি। আই লাভ ইউ আমার ভাই- চলচ্চিত্র অভিনেতা ওমর সানী।