০৩:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ফাঁসির সাজা পেতে পারেন ইমরান খান!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:২১:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

বড় বিপদের মুখে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। আর দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ফাঁসির সাজা দেওয়া হতে পারে ইমরান খানকে। সূত্রে খবর, গত ৯ মে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান খানকে। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পাক রেঞ্জার্স। এরপরই রণক্ষেত্রে রুপ নেয় গোটা এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে পিটিআই সমর্থকদের। একাধিক সরকারি ভবন, রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনার সদর দপ্তরে হামলা চালানো হয়। এই ঘটনাতেই প্রাক্তন পাক এই অধিনায়কের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও সেই মামলায় জামিন পেয়েছিলেন তিনি। লাহোর পুলিশের এক তদন্তকারি আনুশ মাসুদ জানিয়েছেন, ৯ মে যে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছিল তাতে ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন পিটিআইয়ের নেতা ও সমর্থকেরা। সেদিনের ঘটনা নিয়ে পুলিশ পূর্ণ তদন্ত করেছে। যেখানে প্রমাণ মিলেছে, সামরিক বাহিনীর উপর হামলা ও বিক্ষোভে উসকানি দেওয়ার মদত রয়েছে ইমরান খানের। তদন্তকারী দল তদন্তের কাগজপত্র তৈরি করছে। যা লাহোরের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে জমা দেওয়া হবে। এদিকে, তোষাখানা মামলায় গত ৫ আগস্ট ফের গ্রেপ্তার হন ইমরান। হাজতবাসের পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ১ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। এমনকি পাঁচ বছর কোনো নির্বাচন লড়তে পারবেন না তিনি। প্রসঙ্গত, পিটিআই প্রধান ইমরানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। যার মধ্যে তোষাখানা মামলা অন্যতম। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি পদের অপব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া উপহার সামগ্রী সরকারি ভাণ্ডার বা তোষাখানায় জমা না করে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা যে সমস্ত উপহার দেন, সেগুলো পাক তোষাখানায় জমা হয়। এই মামলার পাশাপাশি সাইফার মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ইমরান। ফলে আরো বিপাকে পড়লেন তিনি।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ফাঁসির সাজা পেতে পারেন ইমরান খান!

আপডেট সময় ০৬:২১:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বড় বিপদের মুখে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। আর দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ফাঁসির সাজা দেওয়া হতে পারে ইমরান খানকে। সূত্রে খবর, গত ৯ মে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান খানকে। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পাক রেঞ্জার্স। এরপরই রণক্ষেত্রে রুপ নেয় গোটা এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে পিটিআই সমর্থকদের। একাধিক সরকারি ভবন, রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনার সদর দপ্তরে হামলা চালানো হয়। এই ঘটনাতেই প্রাক্তন পাক এই অধিনায়কের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও সেই মামলায় জামিন পেয়েছিলেন তিনি। লাহোর পুলিশের এক তদন্তকারি আনুশ মাসুদ জানিয়েছেন, ৯ মে যে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছিল তাতে ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন পিটিআইয়ের নেতা ও সমর্থকেরা। সেদিনের ঘটনা নিয়ে পুলিশ পূর্ণ তদন্ত করেছে। যেখানে প্রমাণ মিলেছে, সামরিক বাহিনীর উপর হামলা ও বিক্ষোভে উসকানি দেওয়ার মদত রয়েছে ইমরান খানের। তদন্তকারী দল তদন্তের কাগজপত্র তৈরি করছে। যা লাহোরের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে জমা দেওয়া হবে। এদিকে, তোষাখানা মামলায় গত ৫ আগস্ট ফের গ্রেপ্তার হন ইমরান। হাজতবাসের পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ১ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। এমনকি পাঁচ বছর কোনো নির্বাচন লড়তে পারবেন না তিনি। প্রসঙ্গত, পিটিআই প্রধান ইমরানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। যার মধ্যে তোষাখানা মামলা অন্যতম। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি পদের অপব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া উপহার সামগ্রী সরকারি ভাণ্ডার বা তোষাখানায় জমা না করে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা যে সমস্ত উপহার দেন, সেগুলো পাক তোষাখানায় জমা হয়। এই মামলার পাশাপাশি সাইফার মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ইমরান। ফলে আরো বিপাকে পড়লেন তিনি।