"রাতে ফরিদাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। এখন আগের চেয়ে ভালোই আছে।"
সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ফরিদা পারভীন

- আপডেট সময় ০৭:৫১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
- / ৫৮ বার পড়া হয়েছে
টানা দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ‘সুস্থ হয়ে’ বাসায় ফিরেছেন লালনগীতির শিল্পী ফরিদা পারভীন।
এই গায়িকার স্বামী বাঁশিবাদক গাজী আবদুল হাকিম গ্লিটজকে জানিয়েছেন সোমবার রাত সাড়ে ১১ টায় ফার্ম গেইট এলাকার তেজকুনি পাড়ার নিজের বাসায় তাকে নেওয়া হয়েছে।
আবদুল হাকিম বলেন, “এখন আগের চেয়ে তিনি ভালোই আছে।”
এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদা পারভীনকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
“ফরিদার শারীরিক অবস্থা যদি স্টেবল থাকে, ছেলেমেয়েরা সিদ্ধান্ত নিয়ে যেটা ভালো মনে করেন সেটাই করা হবে। তবে এখন বাসায়, তার শরীর আগের থেকে ভালো।”
৭১ বছর বয়সী ফরিদা পারভীনের অসুস্থতা দীর্ঘদিনের। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন তিনি।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ৫ জুলাই তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করে সেখানার আইসিইউতে নেওয়া হয়। বেশ কিছুদিন পর শরীর কিছুটা ভালো হলে তাকে আইসিইউ থেকে নেওয়া হয় সাধারণ কেবিনে।
এ বছরে দ্বিতীয়বারের মত হাসপাতালে যেতে হয়েছে ফরিদা পারভীনকে। প্রথম দফায় ফেব্রুয়ারি মাসে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এই গায়িকা। সে সময়ও ১৩ দিন হাসপাতালে থেকে বাসায় ফিরেছেন তিনি।
এবার তিনি হাসপাতালে যাওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তারপর হাসপাতালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফরিদা পারভীনকে দেখতে গিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন তিনি।
এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও ফারিদা পারভীনের চিকিৎসার খোঁজখবর করেছেন।
এরপর মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ফরিদা পারভীনের চিকিৎসা চলে ওই হাসপাতালে।
নজরুলসংগীত ও দেশাত্মবোধক গান শুরুর পর লালনসংগীত দিয়ে শ্রোতাদের কাছে পরিচিতি পান ফরিদা পারভীন। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে তিনি লালনসংগীতের তালিম নেন। এরপর জীবনভর লালনগীতি চর্চাতেই ডুবে থেকেছেন এই শিল্পী।
সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে একুশে পদক পান ফরিদা পারভীন। ২০০৮ সালে জাপান সরকারের ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কার পান তিনি।
বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন এই শিল্পী। সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে।
ফরিদা পারভীনের কণ্ঠে লালনের গানের যে চর্চা হয়ে এসেছে গেল পাঁচ দশক ধরে, সেটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে প্রায় ১৬ বছর আগে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘অচিন পাখি সংগীত একাডেমি’।
কিন্তু শারীরিক অসুস্থতা, প্রতিষ্ঠানের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়া, এবং নিজস্ব ভবন না থাকায় এ প্রতিষ্ঠানটিও টিকে থাকার লড়াইয়ে জর্জরিত।
বিনোদন ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম