০৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
সবুজবাগের বরেদেশ্বরী কালী মন্দির ও শ্মশানে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তার শেষকৃত্য হবে।”

সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, বিকালে ঢাকায় শেষকৃত্য

নিঝুম আহমেদ - জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০২:৫৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৬৩ বার পড়া হয়েছে

সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের ময়নাতদন্ত মুন্সীগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।

 

সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের ময়নাতদন্ত মুন্সীগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্তের পর বিভুরঞ্জনের মরদেহ তার ভাই চিররঞ্জন সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুপুর সোয়া ১টায় ফ্রিজিং গাড়িতে করে মরদেহ নিয়ে ঢাকার বাসভবনের উদ্দেশে রওয়ানা হয় পরিবার।

চিররঞ্জন সরকার বলেন, “মরদেহ প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে বিভুরঞ্জন সরকারের রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসভবনে। পরে সবুজবাগের বরেদেশ্বরী কালী মন্দির ও শ্মশানে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তার শেষকৃত্য হবে।”

মুন্সীগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শেখ মো. এহসানুল ইসলাম বলেন, “লাশ হালকা পঁচন ধরেছে। গায়ে আঘাতের তেমন কোনো চিহ্ন ছিল না। তারপরও তার কিছু জিনিস আমরা সংরক্ষণ করেছি।

“তার চুল, দাঁত ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। ফরেনসিক প্রতিবেদন আসার পর আমরা একটা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে পারব।”

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চরবলাকি সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। রাতে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে মরদেহটি শনাক্ত করেছেন তার ছেলে প্রকৌশলী ঋত সরকার।

৭১ বছর বয়সী বিভুরঞ্জন চাকরি করতেন ‘আজকের পত্রিকা’য়। এর বাইরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত কলাম লিখতেন।

যোগাযোগ করা হলে তার ছোট ভাই চিররঞ্জন সরকার বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, নানা কারণে হতাশায় ভুগছিলেন বিভুরঞ্জন। পরে তার নিখোঁজ হওয়ার খবর আসে।

‘খোলা চিঠি’ শিরোনামে বিভুরঞ্জনের শেষ লেখাটি শুক্রবার প্রকাশিত হয়। সেখানে নিজের ও ছেলের অসুস্থতা, মেডিকেল পাস সরকারি কর্মকর্তা মেয়ের উচ্চতর পরীক্ষায় ‘ফেল করা’, বুয়েটে থেকে পাস করা ছেলের ‘চাকরি না হওয়া’ এবং নিজের আর্থিক দৈন্য নিয়ে হতাশার কথা লিখেছেন তিনি।

পরিবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বিভুরঞ্জন তার মোবাইল ফোনটিও বাসায় রেখে গিয়েছিলেন।

তিনি না ফেরায় এবং কারো কাছে তার কোনো তথ্য না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার ছেলে ঋত সরকার।

সেখানে তিনি বলেন, প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য রওনা করেন তার বাবা। কিন্তু এরপর আর বাসায় ফেরেননি।

 

 

 

নিঝুম আহমেদ – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

সবুজবাগের বরেদেশ্বরী কালী মন্দির ও শ্মশানে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তার শেষকৃত্য হবে।”

সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, বিকালে ঢাকায় শেষকৃত্য

আপডেট সময় ০২:৫৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

 

সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের ময়নাতদন্ত মুন্সীগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্তের পর বিভুরঞ্জনের মরদেহ তার ভাই চিররঞ্জন সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুপুর সোয়া ১টায় ফ্রিজিং গাড়িতে করে মরদেহ নিয়ে ঢাকার বাসভবনের উদ্দেশে রওয়ানা হয় পরিবার।

চিররঞ্জন সরকার বলেন, “মরদেহ প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে বিভুরঞ্জন সরকারের রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসভবনে। পরে সবুজবাগের বরেদেশ্বরী কালী মন্দির ও শ্মশানে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তার শেষকৃত্য হবে।”

মুন্সীগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শেখ মো. এহসানুল ইসলাম বলেন, “লাশ হালকা পঁচন ধরেছে। গায়ে আঘাতের তেমন কোনো চিহ্ন ছিল না। তারপরও তার কিছু জিনিস আমরা সংরক্ষণ করেছি।

“তার চুল, দাঁত ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। ফরেনসিক প্রতিবেদন আসার পর আমরা একটা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে পারব।”

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চরবলাকি সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। রাতে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে মরদেহটি শনাক্ত করেছেন তার ছেলে প্রকৌশলী ঋত সরকার।

৭১ বছর বয়সী বিভুরঞ্জন চাকরি করতেন ‘আজকের পত্রিকা’য়। এর বাইরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত কলাম লিখতেন।

যোগাযোগ করা হলে তার ছোট ভাই চিররঞ্জন সরকার বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, নানা কারণে হতাশায় ভুগছিলেন বিভুরঞ্জন। পরে তার নিখোঁজ হওয়ার খবর আসে।

‘খোলা চিঠি’ শিরোনামে বিভুরঞ্জনের শেষ লেখাটি শুক্রবার প্রকাশিত হয়। সেখানে নিজের ও ছেলের অসুস্থতা, মেডিকেল পাস সরকারি কর্মকর্তা মেয়ের উচ্চতর পরীক্ষায় ‘ফেল করা’, বুয়েটে থেকে পাস করা ছেলের ‘চাকরি না হওয়া’ এবং নিজের আর্থিক দৈন্য নিয়ে হতাশার কথা লিখেছেন তিনি।

পরিবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বিভুরঞ্জন তার মোবাইল ফোনটিও বাসায় রেখে গিয়েছিলেন।

তিনি না ফেরায় এবং কারো কাছে তার কোনো তথ্য না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার ছেলে ঋত সরকার।

সেখানে তিনি বলেন, প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য রওনা করেন তার বাবা। কিন্তু এরপর আর বাসায় ফেরেননি।

 

 

 

নিঝুম আহমেদ – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম