০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কর ফাঁকির দায় নিয়ে যুক্তরাজ্যের উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনারের পদত্যাগের পর তার স্থালাভিষিক্ত করা হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিকে।

রেইনারের পদত্যাগের পর ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় রদবদল, নতুন উপপ্রধানমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১১:৫৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

ডেভিড ল্যামি। ছবি: রয়টার্স

 

কর ফাঁকির দায় মাথায় নিয়ে যুক্তরাজ্যের উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনারের পদত্যাগের পর মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

রেনাইরের জায়গায় নতুন উপপ্রধানমন্ত্রী হিসাবে স্টারমার দায়িত্ব দিচ্ছেন ডেভিড ল্যামিকে। একইসঙ্গে ল্যামিকে আইনমন্ত্রীর পদেও রাখা হচ্ছে।

ল্যামি আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তার জায়গায় এখন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে ইয়েভেত্তে কুপারকে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে সাবানা মাহমুদকে।

আ্যঞ্জেলা রেইনার ছিলেন একাধারে উপপ্রধানমন্ত্রী, আবাসনমন্ত্রী এবং লেবার পার্টির উপনেতা। কিন্তু ইস্ট সাসেক্সে তিনি তার নতুন একটি বাড়ির জন্য যথেষ্ট কর না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাকে পদত্যাগ করতে হয়।

শুক্রবার তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ভুল স্বীকার করে নিজের পদ ছাড়েন। ৪৫ বছর বয়সী রেইনার নতুন বাড়ি কেনার সময় সঠিক হারে সম্পত্তি কর না দেওয়ায় মন্ত্রীসভার আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন বলে মন্ত্রিদের নৈতিক মানদণ্ড বিষয়ক স্বাধীন উপদেষ্টা জানান।

এরপর আর তাকে রক্ষা করার সুযোগ পাননি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার। রেইনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার সময় প্রধানমন্ত্রী স্টারমার তাকে সমর্থন দিয়েছিলেন।

পরে কের ফাঁকির দায় নিয়ে রেইনারের পদত্যাগ স্টারমারের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে। রেইনার লেবার পার্টির উপনেতার পদ থেকেও সরে দাঁড়ান।

তিনি লিখেন, “আমি বিশেষজ্ঞ পরামর্শ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনুতপ্ত। এ ভুলের সম্পূর্ণ দায় আমি নিচ্ছি।”

তার পদত্যাগে এক আবেগঘন চিঠিতে স্টারমার লেখেছেন, “আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে আপনাকে সরকার থেকে হারাচ্ছি… আপনি আমাদের দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ থেকে যাবেন।”

রেইনারের পদত্যাগের কয়েকঘণ্টা পরই মন্ত্রিসভায় রদবদল শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। তিনি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীপদগুলোতে রদবদলের পাশাপাশি স্কটল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রী এবং হাউজ অব কমন্সের নেতাও বদলেছেন।

আবাসনমন্ত্রীর দায়িত্বেও অ্যাঞ্জেলা রেইনারের স্থলে নতুন মন্ত্রী করা হয়েছে স্টিভ রেইডকে। রেইনারের পদত্যাগে উল্লাস প্রকাশ করেছে নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন রিফর্ম ইউকে পার্টি।

কর্মজীবী শ্রেণি থেকে উঠে আসা রেইনার লেবারের বামপন্থি ও কেন্দ্রপন্থি শাখার মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করতেন।

এক লেবার এমপি বলেছেন, “এ পদত্যাগ দলের জন্য বড় ধাক্কা। তবে রেইনার হয়ত কিছুদিন চুপ থাকবেন, পরে আবার নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন।”

কর ফাঁকির কথা স্বীকারের পর তিনি জানিয়েছেন, বাড়তি কর পরিশোধের পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

কর ফাঁকির দায় নিয়ে যুক্তরাজ্যের উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনারের পদত্যাগের পর তার স্থালাভিষিক্ত করা হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিকে।

রেইনারের পদত্যাগের পর ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় রদবদল, নতুন উপপ্রধানমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি

আপডেট সময় ১১:৫৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

কর ফাঁকির দায় মাথায় নিয়ে যুক্তরাজ্যের উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনারের পদত্যাগের পর মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

রেনাইরের জায়গায় নতুন উপপ্রধানমন্ত্রী হিসাবে স্টারমার দায়িত্ব দিচ্ছেন ডেভিড ল্যামিকে। একইসঙ্গে ল্যামিকে আইনমন্ত্রীর পদেও রাখা হচ্ছে।

ল্যামি আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তার জায়গায় এখন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে ইয়েভেত্তে কুপারকে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে সাবানা মাহমুদকে।

আ্যঞ্জেলা রেইনার ছিলেন একাধারে উপপ্রধানমন্ত্রী, আবাসনমন্ত্রী এবং লেবার পার্টির উপনেতা। কিন্তু ইস্ট সাসেক্সে তিনি তার নতুন একটি বাড়ির জন্য যথেষ্ট কর না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাকে পদত্যাগ করতে হয়।

শুক্রবার তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ভুল স্বীকার করে নিজের পদ ছাড়েন। ৪৫ বছর বয়সী রেইনার নতুন বাড়ি কেনার সময় সঠিক হারে সম্পত্তি কর না দেওয়ায় মন্ত্রীসভার আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন বলে মন্ত্রিদের নৈতিক মানদণ্ড বিষয়ক স্বাধীন উপদেষ্টা জানান।

এরপর আর তাকে রক্ষা করার সুযোগ পাননি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার। রেইনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার সময় প্রধানমন্ত্রী স্টারমার তাকে সমর্থন দিয়েছিলেন।

পরে কের ফাঁকির দায় নিয়ে রেইনারের পদত্যাগ স্টারমারের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে। রেইনার লেবার পার্টির উপনেতার পদ থেকেও সরে দাঁড়ান।

তিনি লিখেন, “আমি বিশেষজ্ঞ পরামর্শ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনুতপ্ত। এ ভুলের সম্পূর্ণ দায় আমি নিচ্ছি।”

তার পদত্যাগে এক আবেগঘন চিঠিতে স্টারমার লেখেছেন, “আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে আপনাকে সরকার থেকে হারাচ্ছি… আপনি আমাদের দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ থেকে যাবেন।”

রেইনারের পদত্যাগের কয়েকঘণ্টা পরই মন্ত্রিসভায় রদবদল শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। তিনি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীপদগুলোতে রদবদলের পাশাপাশি স্কটল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রী এবং হাউজ অব কমন্সের নেতাও বদলেছেন।

আবাসনমন্ত্রীর দায়িত্বেও অ্যাঞ্জেলা রেইনারের স্থলে নতুন মন্ত্রী করা হয়েছে স্টিভ রেইডকে। রেইনারের পদত্যাগে উল্লাস প্রকাশ করেছে নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন রিফর্ম ইউকে পার্টি।

কর্মজীবী শ্রেণি থেকে উঠে আসা রেইনার লেবারের বামপন্থি ও কেন্দ্রপন্থি শাখার মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করতেন।

এক লেবার এমপি বলেছেন, “এ পদত্যাগ দলের জন্য বড় ধাক্কা। তবে রেইনার হয়ত কিছুদিন চুপ থাকবেন, পরে আবার নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন।”

কর ফাঁকির কথা স্বীকারের পর তিনি জানিয়েছেন, বাড়তি কর পরিশোধের পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম