০৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

বিএনপির ৫৩১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৬

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:২০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৮৫ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নেত্রকোনায় বিক্ষোভ ও পদযাত্রা কর্মসূচি করেছে জেলা বিএনপি। Advertisement শনিবার সকালে শহরের বনোয়াপাড়া এলাকায় এ কর্মসূচির শেষে সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ ও সিএনজি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দলটির অঙ্গসংগঠনের ছয়জন নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার নেতারা হলেন- জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সজল তালুকদার, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সৈয়দ মোকসেদুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার শাহেদ, মদন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক অলী উল্লাহ, সদরের আমতলা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব সাফায়াত হোসেন ও একই ইউনিয়নের শ্রমিক দলের সদস্য আব্দুল মান্নান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল আটটার দিকে শহরের বনোয়াপাড়া মোড় এলাকায় নেত্রকোনা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মো. আনোয়ারুল হক ও সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালীর নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা জড়ো হন। সেখানে বক্তব্য শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে আবু আব্বাছ ডিগ্রি কলেজের সামনে শেষ হয়। পরে নেতাকর্মীরা চলে যেতে থাকেন। একপর্যায়ে কুড়পাড় সিএনজি স্টেশন এলাকায় দুর্বৃত্তরা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর চালায়। এ সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা ছয়জন যুব ও ছাত্রদল নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে দুপুরে নেত্রকোনা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০০ জনকে আসামি করে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলায় আটক ছয়জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মো. লুৎফুল হক বলেন, বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানের নামে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণসহ অটোরিকশা ভাঙচুর চালায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করার পাশাপাশি চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল, কিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। ঘটনায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে ৩১ জনের নামসহ আরও অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামিদের বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’ তবে এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, শনিবার সকালে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন শেষে নেতাকর্মীরা ফিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগ নামধারী একদল যুবক কুড়পাড় সিএনজি স্টেশন এলাকায় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও সেখানে সিএনজি ভাঙচুর চালায়। ওই দুর্বৃত্তদের হামলায় আমাদের শ্রমিকদলের নেতা খায়রুল ইসলাম, শামছু মিয়া, ছাত্রদল নেতা রাকিব মিয়া, রফিকুল ইসলাম, যুবদলকর্মী বজলুর রাশেদসহ আটজন আহত হন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুর করে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে।’ এ ব্যপারে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোবায়েল আহমেদ খান বলেন, ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। বিএনপিই ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুর করে আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপির ৫৩১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৬

আপডেট সময় ০৯:২০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নেত্রকোনায় বিক্ষোভ ও পদযাত্রা কর্মসূচি করেছে জেলা বিএনপি। Advertisement শনিবার সকালে শহরের বনোয়াপাড়া এলাকায় এ কর্মসূচির শেষে সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ ও সিএনজি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দলটির অঙ্গসংগঠনের ছয়জন নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার নেতারা হলেন- জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সজল তালুকদার, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সৈয়দ মোকসেদুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার শাহেদ, মদন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক অলী উল্লাহ, সদরের আমতলা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব সাফায়াত হোসেন ও একই ইউনিয়নের শ্রমিক দলের সদস্য আব্দুল মান্নান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল আটটার দিকে শহরের বনোয়াপাড়া মোড় এলাকায় নেত্রকোনা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মো. আনোয়ারুল হক ও সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালীর নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা জড়ো হন। সেখানে বক্তব্য শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে আবু আব্বাছ ডিগ্রি কলেজের সামনে শেষ হয়। পরে নেতাকর্মীরা চলে যেতে থাকেন। একপর্যায়ে কুড়পাড় সিএনজি স্টেশন এলাকায় দুর্বৃত্তরা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর চালায়। এ সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা ছয়জন যুব ও ছাত্রদল নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে দুপুরে নেত্রকোনা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০০ জনকে আসামি করে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলায় আটক ছয়জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মো. লুৎফুল হক বলেন, বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানের নামে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণসহ অটোরিকশা ভাঙচুর চালায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করার পাশাপাশি চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল, কিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। ঘটনায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে ৩১ জনের নামসহ আরও অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামিদের বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’ তবে এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, শনিবার সকালে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন শেষে নেতাকর্মীরা ফিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগ নামধারী একদল যুবক কুড়পাড় সিএনজি স্টেশন এলাকায় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও সেখানে সিএনজি ভাঙচুর চালায়। ওই দুর্বৃত্তদের হামলায় আমাদের শ্রমিকদলের নেতা খায়রুল ইসলাম, শামছু মিয়া, ছাত্রদল নেতা রাকিব মিয়া, রফিকুল ইসলাম, যুবদলকর্মী বজলুর রাশেদসহ আটজন আহত হন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুর করে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে।’ এ ব্যপারে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোবায়েল আহমেদ খান বলেন, ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। বিএনপিই ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুর করে আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।