০৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

অস্তিত্বের উৎস ধরে রাখতে বাঙালির বজ্রকন্ঠ শাণিত করতে হবে : শ ম রেজাউল করিম

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৭:৩৬:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
  • / ৯৪ বার পড়া হয়েছে

অস্তিত্বের উৎস ধরে রাখতে বাঙালির বজ্রকন্ঠ শাণিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। শনিবার (১১ মার্চ) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘অগ্নিঝরা মার্চ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বজ্রকন্ঠ-প্রেরণায় ৭ মার্চ নামক অনলাইনভিত্তক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে সংগঠনটি এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু গ্রাম-গঞ্জ, তৃণমূলে বাঙালিদের একত্রিত করে বাঙালি জাতিসত্তাকে একটা জায়গায় নিয়ে এসেছিলেন। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাইকে বাঙালি হিসাবে একই পরিচয়ে পরিচিত করেছিলেন। বর্তমানে স্বাধীনতাবিরোধী এবং তাদের উত্তরসূরিরা দেশে ও দেশের বাইরে ভযংকর ষড়যন্ত্র করছে। তারা অনলাইনে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নিতে হবে। অস্তিত্বের উৎস ধরে রাখতে হলে বজ্রকন্ঠ শাণিত করতে হবে। শুধু মুখে মুখে নয়,আত্মায়, বিশ্বাসে ও চেতনায় বাঙালিত্ব ধারণ করতে হবে।

তিনি আরো যোগ করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ দিয়ে যেমন বাঙালিত্বের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল, ২৬ মার্চের ঘোষণায় যেমন স্বাধীন বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল তেমনি বজ্রকন্ঠ-প্রেরণায় ৭ মার্চ আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে সে চেতনা ধারণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নিউক্লিয়াস, শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব। বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর তাঁকে ঘিরেই ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ফিনিক্স পাখির মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।

আওয়ামী লীগের ভিত্তি হচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা। যখনই কোন দুঃসময় এসেছে তৃণমূলকে ভর করে আওয়ামী লীগ টিকে রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সম্পদ ছিল সে সময়ের সাত কোটি মানুষ, এখন শেখ হাসিনার সম্পদ দেশের ১৭-১৮ কোটি সাধারণ জনগণ। শ ম রেজাউল করিম বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বিদ্যমান অবস্থা, অতীতের শোষণ, করণীয়, সমাধানের পথ তুলে ধরেছেন। ১৮ মিনিটের ভাষণে বঙ্গবন্ধু একটি জাতির কষ্টের কথা তুলে ধরেছেন, জনগণের ম্যান্ডেটের কথা তুলে ধরেছেন, বাঙালির অত্যাচার-নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরেছেন, বিকল্প প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন, বাঙালির করণীয় তুলে ধরেছেন।

তিনি যোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় যুদ্ধ করলে সেটাই হবে আওয়ামী লীগের কাজ। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চ্যালেঞ্জ করে অনলাইনে কাজ করলে সেটাই হবে আওয়ামী লীগের কাজ। দুর্বৃত্ত ও স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে যদি একটা শব্দ উচ্চারণ করা হয় সেটাই হবে আওয়ামী লীগের কাজ। শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, যতদিন বাঙালি থাকবে লাল সবুজের পতাকা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।

পতাকার ধারক ও বাহক হিসাবে সব বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বজ্রকন্ঠ-প্রেরণায় ৭ মার্চ নামক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ এ সময় বক্তব্য প্রদান করেন।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

অস্তিত্বের উৎস ধরে রাখতে বাঙালির বজ্রকন্ঠ শাণিত করতে হবে : শ ম রেজাউল করিম

আপডেট সময় ০৭:৩৬:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

অস্তিত্বের উৎস ধরে রাখতে বাঙালির বজ্রকন্ঠ শাণিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। শনিবার (১১ মার্চ) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘অগ্নিঝরা মার্চ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বজ্রকন্ঠ-প্রেরণায় ৭ মার্চ নামক অনলাইনভিত্তক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে সংগঠনটি এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু গ্রাম-গঞ্জ, তৃণমূলে বাঙালিদের একত্রিত করে বাঙালি জাতিসত্তাকে একটা জায়গায় নিয়ে এসেছিলেন। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাইকে বাঙালি হিসাবে একই পরিচয়ে পরিচিত করেছিলেন। বর্তমানে স্বাধীনতাবিরোধী এবং তাদের উত্তরসূরিরা দেশে ও দেশের বাইরে ভযংকর ষড়যন্ত্র করছে। তারা অনলাইনে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নিতে হবে। অস্তিত্বের উৎস ধরে রাখতে হলে বজ্রকন্ঠ শাণিত করতে হবে। শুধু মুখে মুখে নয়,আত্মায়, বিশ্বাসে ও চেতনায় বাঙালিত্ব ধারণ করতে হবে।

তিনি আরো যোগ করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ দিয়ে যেমন বাঙালিত্বের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল, ২৬ মার্চের ঘোষণায় যেমন স্বাধীন বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল তেমনি বজ্রকন্ঠ-প্রেরণায় ৭ মার্চ আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে সে চেতনা ধারণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নিউক্লিয়াস, শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব। বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর তাঁকে ঘিরেই ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ফিনিক্স পাখির মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।

আওয়ামী লীগের ভিত্তি হচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা। যখনই কোন দুঃসময় এসেছে তৃণমূলকে ভর করে আওয়ামী লীগ টিকে রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সম্পদ ছিল সে সময়ের সাত কোটি মানুষ, এখন শেখ হাসিনার সম্পদ দেশের ১৭-১৮ কোটি সাধারণ জনগণ। শ ম রেজাউল করিম বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বিদ্যমান অবস্থা, অতীতের শোষণ, করণীয়, সমাধানের পথ তুলে ধরেছেন। ১৮ মিনিটের ভাষণে বঙ্গবন্ধু একটি জাতির কষ্টের কথা তুলে ধরেছেন, জনগণের ম্যান্ডেটের কথা তুলে ধরেছেন, বাঙালির অত্যাচার-নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরেছেন, বিকল্প প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন, বাঙালির করণীয় তুলে ধরেছেন।

তিনি যোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় যুদ্ধ করলে সেটাই হবে আওয়ামী লীগের কাজ। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চ্যালেঞ্জ করে অনলাইনে কাজ করলে সেটাই হবে আওয়ামী লীগের কাজ। দুর্বৃত্ত ও স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে যদি একটা শব্দ উচ্চারণ করা হয় সেটাই হবে আওয়ামী লীগের কাজ। শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, যতদিন বাঙালি থাকবে লাল সবুজের পতাকা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।

পতাকার ধারক ও বাহক হিসাবে সব বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বজ্রকন্ঠ-প্রেরণায় ৭ মার্চ নামক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ এ সময় বক্তব্য প্রদান করেন।