১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

স্কাউট ও বিএনসিসির সহযোগিতায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হবে: মেয়র আতিক

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৫:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
  • / ৯৬ বার পড়া হয়েছে

আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এডিসের বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণে, মশক নিধন কার্যক্রমে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসির) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ও জাতীয় স্কাউট দল। মূলত তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশক নিধন কার্যক্রম- জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করবে। ডিএনসিসি অঞ্চলে ৪০০মিটার×৪০০মিটার গ্রিডে ভাগ করে এই সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

স্কাউট ও বিএনসিসির সহযোগিতায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হবে বুধবার (১৭ মে ২০২৩) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১ এ সনি সিনেমা হলের সামনে থেকে এই সচেতনতা কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। সচেতনতা কার্যক্রম উদ্বোধন করে ডিএনসিসি মেয়র স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্য এবং কাউন্সিলরসহ সবাইকে নিয়ে র্যালিতে অংশ নেন। এতে বিএনসিসি এবং স্কাউট দলের দুইশো সদস্য অংশ নেন। র্যালিটি সনি সিনেমা হলের সামনে থেকে শুরু হয়ে আল-নাহিয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। ডিএনসিসি মেয়র বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।

ট্রাকে উঠে এডিস মশার উৎসস্থল-গাড়ীর পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড এগুলো দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে জনগণকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে আমরা ব্যাপক প্রচারণা চালানোর সিদ্বান্ত নিয়েছি। ডিএনসিসির কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের সাথে এবার মাঠ নেমেছে বিএনসিসি ও স্কাউট। বিভিন্ন অঞ্চলে ৪০০মিটার ৪০০মিটার গ্রিডে ভাগ করে এই সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।

‘ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগে আমরা বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ও জাতীয় স্কাউট দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমরা পরিকল্পনা করেছি বিএনসিসি ও জাতীয় স্কাউট দলের সদস্যরা তারা প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে যাবে এবং সাধারণ মানুষদের সচেতন করবে। এই বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করবে। মানুষকে বলবে আপনাদের বাড়িতে জমা পানি ফেলে দিন। তাৎক্ষণিক ভাবে ফেলে দিতে উদ্ভুদ্ধ করবে তারা।’ ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘এখন বৃষ্টি হচ্ছে আবার রোদ উঠছে। এই রোদ বৃষ্টির জন্য আমাদের ক্যাম্পেইন শুরু করেছি। অন্যান্য সময় আমরা বিভিন্নভাবে ক্যাম্পেইন করি।

আজ আমরা সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে শুরু করেছি। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে না পারলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। আতিকুল ইসলাম বলেন, আজকের এই দিনটি বাঙালি জাতির জন্য একটি বড় দিন, বাংলাদেশের জন্য একটি বড় দিন, ১৭ কোটি মানুষের জন্য বড় দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশের মাটিতে পা রাখেন তিনি। এই প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যেই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ স্কাউট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর এবং আমাদের কাউন্সিলরগণ মিলে আজকে আমাদের সচেতনতা মূলক কর্মকান্ড শুরু করেছি।

আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগে. জেনারেল ওমর সাদি, বাংলাদেশ স্কাউটের জাতীয় কমিশনার কাজী নাজমুল হক, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম ও ডিএনসিসির কাউন্সিলরবৃন্দ।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

স্কাউট ও বিএনসিসির সহযোগিতায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হবে: মেয়র আতিক

আপডেট সময় ০৫:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এডিসের বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণে, মশক নিধন কার্যক্রমে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসির) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ও জাতীয় স্কাউট দল। মূলত তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশক নিধন কার্যক্রম- জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করবে। ডিএনসিসি অঞ্চলে ৪০০মিটার×৪০০মিটার গ্রিডে ভাগ করে এই সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

স্কাউট ও বিএনসিসির সহযোগিতায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হবে বুধবার (১৭ মে ২০২৩) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১ এ সনি সিনেমা হলের সামনে থেকে এই সচেতনতা কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। সচেতনতা কার্যক্রম উদ্বোধন করে ডিএনসিসি মেয়র স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্য এবং কাউন্সিলরসহ সবাইকে নিয়ে র্যালিতে অংশ নেন। এতে বিএনসিসি এবং স্কাউট দলের দুইশো সদস্য অংশ নেন। র্যালিটি সনি সিনেমা হলের সামনে থেকে শুরু হয়ে আল-নাহিয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। ডিএনসিসি মেয়র বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।

ট্রাকে উঠে এডিস মশার উৎসস্থল-গাড়ীর পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড এগুলো দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে জনগণকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে আমরা ব্যাপক প্রচারণা চালানোর সিদ্বান্ত নিয়েছি। ডিএনসিসির কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের সাথে এবার মাঠ নেমেছে বিএনসিসি ও স্কাউট। বিভিন্ন অঞ্চলে ৪০০মিটার ৪০০মিটার গ্রিডে ভাগ করে এই সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।

‘ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগে আমরা বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ও জাতীয় স্কাউট দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমরা পরিকল্পনা করেছি বিএনসিসি ও জাতীয় স্কাউট দলের সদস্যরা তারা প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে যাবে এবং সাধারণ মানুষদের সচেতন করবে। এই বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করবে। মানুষকে বলবে আপনাদের বাড়িতে জমা পানি ফেলে দিন। তাৎক্ষণিক ভাবে ফেলে দিতে উদ্ভুদ্ধ করবে তারা।’ ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘এখন বৃষ্টি হচ্ছে আবার রোদ উঠছে। এই রোদ বৃষ্টির জন্য আমাদের ক্যাম্পেইন শুরু করেছি। অন্যান্য সময় আমরা বিভিন্নভাবে ক্যাম্পেইন করি।

আজ আমরা সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে শুরু করেছি। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে না পারলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। আতিকুল ইসলাম বলেন, আজকের এই দিনটি বাঙালি জাতির জন্য একটি বড় দিন, বাংলাদেশের জন্য একটি বড় দিন, ১৭ কোটি মানুষের জন্য বড় দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশের মাটিতে পা রাখেন তিনি। এই প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যেই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ স্কাউট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর এবং আমাদের কাউন্সিলরগণ মিলে আজকে আমাদের সচেতনতা মূলক কর্মকান্ড শুরু করেছি।

আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগে. জেনারেল ওমর সাদি, বাংলাদেশ স্কাউটের জাতীয় কমিশনার কাজী নাজমুল হক, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম ও ডিএনসিসির কাউন্সিলরবৃন্দ।