০৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

আমাকে অন্তত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৭:৩১:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • / ১০৭ বার পড়া হয়েছে

বিভিন্ন সময় হামলার শিকার হওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাকে অন্তত ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। হামলায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী নিহত এবং আহত হলেও আমি প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। যতদিন বেঁচে আছি দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাব।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের শক্ত ভিত্ত গড়ে তোলে। কিন্তু ২০০১ সালের পরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বাংলাদেশকে হত্যা, সন্ত্রাস, দুর্নীতির অন্ধকার যুগ নিয়ে গিয়েছিল।

এরপর ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর গত সাড়ে ১৪ বছরে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশের’ জন্য দেশকে প্রস্তুত করেছি।তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক খাতের সব বিভাগে বাংলাদেশ অসাধারণ অগ্রগতি লাভ করেছে। এই অগ্রগতি কোনো ‘মিরাকল’ নয়, এটি কষ্টার্জিত সফলতা। এটি আমাদের নারী-পুরুষের সম্মিলিত কাজ। আমি শুধুমাত্র তাদের কাঙ্ক্ষিত পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করেছি।

১৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। বিদেশে থাকায় আমার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং আমি প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলাম। দীর্ঘ ৬ বছর আমরা বিদেশে নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছি। এরপর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসি। দেশে ফিরে মানুষের খাবার ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।

আমাকে অন্তত ১৯ বার আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২০০৪ সালে আগস্টে আমার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। সে হামলায় নিজে প্রাণে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত হন, আহত হন কয়েকশো। তিনি বলেন, এত প্রতিকূলতার মধ্যেও কেবল দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে গেছি। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন সংগ্রাম চালিয়ে যাব।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

আমাকে অন্তত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:৩১:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

বিভিন্ন সময় হামলার শিকার হওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাকে অন্তত ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। হামলায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী নিহত এবং আহত হলেও আমি প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। যতদিন বেঁচে আছি দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাব।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের শক্ত ভিত্ত গড়ে তোলে। কিন্তু ২০০১ সালের পরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বাংলাদেশকে হত্যা, সন্ত্রাস, দুর্নীতির অন্ধকার যুগ নিয়ে গিয়েছিল।

এরপর ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর গত সাড়ে ১৪ বছরে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশের’ জন্য দেশকে প্রস্তুত করেছি।তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক খাতের সব বিভাগে বাংলাদেশ অসাধারণ অগ্রগতি লাভ করেছে। এই অগ্রগতি কোনো ‘মিরাকল’ নয়, এটি কষ্টার্জিত সফলতা। এটি আমাদের নারী-পুরুষের সম্মিলিত কাজ। আমি শুধুমাত্র তাদের কাঙ্ক্ষিত পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করেছি।

১৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। বিদেশে থাকায় আমার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং আমি প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলাম। দীর্ঘ ৬ বছর আমরা বিদেশে নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছি। এরপর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসি। দেশে ফিরে মানুষের খাবার ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।

আমাকে অন্তত ১৯ বার আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২০০৪ সালে আগস্টে আমার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। সে হামলায় নিজে প্রাণে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত হন, আহত হন কয়েকশো। তিনি বলেন, এত প্রতিকূলতার মধ্যেও কেবল দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে গেছি। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন সংগ্রাম চালিয়ে যাব।