০৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

বেইজিংয়ে ডিএনসিসি ও সিএমইসি’র বৈঠক অনুষ্ঠিত

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৭:৪২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • / ১০০ বার পড়া হয়েছে

ডিএনসিসির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধনের সম্ভাব্য তারিখ ৫ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সিএমইসি কনফার্ম (চূড়ান্ত) করেছে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের তারিখ ৫ জুলাই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সব খরচও ওই কোম্পানি বহন করবে।

আমরা আশা করছি বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। বর্জ্য যে বিরাট বড় সম্পদ, বর্জ্য থেকে যে টাকা আয় করা সম্ভব আজকে তা প্রমাণ হতে চলছে।’ সোমবার (২২ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেইজিংয়ের চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের (সিএমইসি) কার্যালয়ে ডিএনসিসি ও সিএমইসি শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে মেয়র এসব কথা বলেন। এ সময় ডিএনসিসির মেয়র ও কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দেশে চলমান সিএমইসি’র প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে চায়নিজ কোম্পানিটি বেলারুশ, আর্জেন্টিনা, আরব আমিরাত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তুরষ্কসহ বিভিন্ন দেশে সফলতার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা বিরাট বিপ্লব ঘটবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন যুগে প্রবেশ করবে। যে বর্জ্য পরিবেশের ক্ষতি করতো, মিথেন গ্যাস সৃষ্টি করতো সেটা এই প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পদে পরিণত হবে।’ সিএমইসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফনগ ইয়ানসু বলেন, ‘বৈশ্বিকভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়নের প্রভাবে মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।

চায়না ও বাংলাদেশ দুটোই অধিক জনসংখ্যার দেশ। ফলে এসব দেশে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না করলে পরিবেশ দূষণ বাড়ে। আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এমন ব্যবস্থা রেখে যেতে পারিনা। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় বেইজিং এখন সুফল পাচ্ছে। এই প্রকল্প ঢাকাতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বেইজিংয়ে অবস্থানরত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত মোঃ জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বেইজিং যে বর্তমানে পরিচ্ছন্ন শহর তার পেছনে রয়েছে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কর্মসূচি। এতে একদিকে যেমন দূষণ কমেছে, অন্যদিকে মানুষের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব পরেছে। চায়না বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম অংশীদার।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে সিএমসিই বাংলাদেশে কাজ করছে জেনে ভালো লাগছে। ঢাকায় পরিবেশবান্ধব এমন প্রকল্পের জন্য ধন্যবাদ জানাই ডিএনসিসি মেয়রকে।’ বৈঠকে আরও আলোচনায় অংশ নেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস. এম. শফিকুর রহমান। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সিএমইসি’র সঙ্গে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন ডিএনসিসি।

চুক্তি অনুসারে, চীনা কোম্পানি নিজ ঝুঁকিতে প্ল্যান্ট স্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সিটি কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় জমি ও নিয়মিত বর্জ্য সরবরাহ করবে। আর বিদ্যুৎ বিভাগ উৎপাদিত বিদ্যুৎ ক্রয় করবে। রাজধানীর গাবতলী সংলগ্ন আমিনবাজার এলাকায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট তৈরির জন্য ডিএনসিসি ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষ করেছে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বেইজিংয়ে ডিএনসিসি ও সিএমইসি’র বৈঠক অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৭:৪২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

ডিএনসিসির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধনের সম্ভাব্য তারিখ ৫ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সিএমইসি কনফার্ম (চূড়ান্ত) করেছে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের তারিখ ৫ জুলাই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সব খরচও ওই কোম্পানি বহন করবে।

আমরা আশা করছি বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। বর্জ্য যে বিরাট বড় সম্পদ, বর্জ্য থেকে যে টাকা আয় করা সম্ভব আজকে তা প্রমাণ হতে চলছে।’ সোমবার (২২ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেইজিংয়ের চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের (সিএমইসি) কার্যালয়ে ডিএনসিসি ও সিএমইসি শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে মেয়র এসব কথা বলেন। এ সময় ডিএনসিসির মেয়র ও কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দেশে চলমান সিএমইসি’র প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে চায়নিজ কোম্পানিটি বেলারুশ, আর্জেন্টিনা, আরব আমিরাত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তুরষ্কসহ বিভিন্ন দেশে সফলতার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা বিরাট বিপ্লব ঘটবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন যুগে প্রবেশ করবে। যে বর্জ্য পরিবেশের ক্ষতি করতো, মিথেন গ্যাস সৃষ্টি করতো সেটা এই প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পদে পরিণত হবে।’ সিএমইসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফনগ ইয়ানসু বলেন, ‘বৈশ্বিকভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়নের প্রভাবে মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।

চায়না ও বাংলাদেশ দুটোই অধিক জনসংখ্যার দেশ। ফলে এসব দেশে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না করলে পরিবেশ দূষণ বাড়ে। আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এমন ব্যবস্থা রেখে যেতে পারিনা। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় বেইজিং এখন সুফল পাচ্ছে। এই প্রকল্প ঢাকাতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বেইজিংয়ে অবস্থানরত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত মোঃ জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বেইজিং যে বর্তমানে পরিচ্ছন্ন শহর তার পেছনে রয়েছে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কর্মসূচি। এতে একদিকে যেমন দূষণ কমেছে, অন্যদিকে মানুষের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব পরেছে। চায়না বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম অংশীদার।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে সিএমসিই বাংলাদেশে কাজ করছে জেনে ভালো লাগছে। ঢাকায় পরিবেশবান্ধব এমন প্রকল্পের জন্য ধন্যবাদ জানাই ডিএনসিসি মেয়রকে।’ বৈঠকে আরও আলোচনায় অংশ নেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস. এম. শফিকুর রহমান। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সিএমইসি’র সঙ্গে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন ডিএনসিসি।

চুক্তি অনুসারে, চীনা কোম্পানি নিজ ঝুঁকিতে প্ল্যান্ট স্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সিটি কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় জমি ও নিয়মিত বর্জ্য সরবরাহ করবে। আর বিদ্যুৎ বিভাগ উৎপাদিত বিদ্যুৎ ক্রয় করবে। রাজধানীর গাবতলী সংলগ্ন আমিনবাজার এলাকায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট তৈরির জন্য ডিএনসিসি ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষ করেছে।