১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বিপৎসীমার ওপরে দুধকুমার ও ধরলার পানি 

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১১:১৬:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩
  • / ৯২ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রামে দুধকুমার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও। ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের অন্তত ১৫ হাজার পরিবার।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৪৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন ও সদরের যাত্রাপুর, পাঁচগাছী, ভোগডাঙ্গা, ঘোগাদহ ও মোগলবাসা ইউনিয়নের চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।

সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের পাটেশ্বরী এলাকার জয়নাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই দিন থেকে খুব পানির জোর। রাতেই বাড়িতে পানি উঠছে। যেভাবে পানি বাড়ছে অবস্থা খুব খারাপ দেখা যাচ্ছে। পরিবার নিয়ে কই যাব চিন্তায় আছি।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাইঝাড় এলাকার রাসেল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল রাতে রাস্তা শুকনা ছিল, আজ সকালে দেখি ডুবে গেছে। একরামুলের মিল থেকে সিতাইঝাড় যাওয়ার রাস্তাটি তলিয়ে গেছে। নৌকা ছাড়া বাড়ি থেকে আর বের হওয়ার ব্যবস্থা নেই।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে জানান, কুড়িগ্রামে দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার ও তালুকশিমুল বাড়ি পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীর পানি আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বিপৎসীমার ওপরে দুধকুমার ও ধরলার পানি 

আপডেট সময় ১১:১৬:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

কুড়িগ্রামে দুধকুমার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও। ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের অন্তত ১৫ হাজার পরিবার।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৪৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন ও সদরের যাত্রাপুর, পাঁচগাছী, ভোগডাঙ্গা, ঘোগাদহ ও মোগলবাসা ইউনিয়নের চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।

সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের পাটেশ্বরী এলাকার জয়নাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই দিন থেকে খুব পানির জোর। রাতেই বাড়িতে পানি উঠছে। যেভাবে পানি বাড়ছে অবস্থা খুব খারাপ দেখা যাচ্ছে। পরিবার নিয়ে কই যাব চিন্তায় আছি।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাইঝাড় এলাকার রাসেল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল রাতে রাস্তা শুকনা ছিল, আজ সকালে দেখি ডুবে গেছে। একরামুলের মিল থেকে সিতাইঝাড় যাওয়ার রাস্তাটি তলিয়ে গেছে। নৌকা ছাড়া বাড়ি থেকে আর বের হওয়ার ব্যবস্থা নেই।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে জানান, কুড়িগ্রামে দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার ও তালুকশিমুল বাড়ি পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীর পানি আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।