১০:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

ঈদে নৌপথে ঢাকা ছাড়বেন ২৭ লাখ মানুষ

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৮:১৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৯৯ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনালে আসন্ন ঈদযাত্রায় এবারও অস্বাভাবিক চাপ পড়বে। ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোর প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে উপকূলীয় এলাকায় যাবে। এর মধ্যে দৈনিক গড়ে ৩ লাখ করে ৯ দিনে অন্তত ২৭ লাখ মানুষ সদরঘাট হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদ-পূর্ব পর্যবেক্ষণ ও জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি বছর ঈদুল ফিতরে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যায় প্রায় দেড় কোটি মানুষ। এর মধ্যে ৩৭ দশমিক ৫০ লাখ (২৫ শতাংশ) নৌপথে যাতায়াত করে।

এই যাত্রীদের প্রায় শতভাগই উপকূলীয় জেলা বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের বিভিন্ন গন্তব্যে যান। নাগরিক সংগঠনটি জানায়, গত জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর চাঁদপুর বাদে, উপকূলীয় জেলাগুলোতে নৌপথে যাত্রী হার প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। এই ঈদে লঞ্চে ৩০ লাখ মানুষ (মোট যাত্রীর ২০ শতাংশ) যাবেন এবং তাদের মধ্যে অন্তত ২৭ লাখ ঢাকা নদীবন্দর দিয়ে যাবেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অনেক লঞ্চ চাপ সামলানোর ক্ষমতার বাইরে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ যাত্রী বহন করে। এর ফলে ছাদে ও ডেকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয়। নৌপথে দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগের ঝুঁকি কমাতে, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানানো হয় প্রতিবেদনে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈদে নৌপথে ঢাকা ছাড়বেন ২৭ লাখ মানুষ

আপডেট সময় ০৮:১৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনালে আসন্ন ঈদযাত্রায় এবারও অস্বাভাবিক চাপ পড়বে। ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোর প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে উপকূলীয় এলাকায় যাবে। এর মধ্যে দৈনিক গড়ে ৩ লাখ করে ৯ দিনে অন্তত ২৭ লাখ মানুষ সদরঘাট হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদ-পূর্ব পর্যবেক্ষণ ও জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি বছর ঈদুল ফিতরে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যায় প্রায় দেড় কোটি মানুষ। এর মধ্যে ৩৭ দশমিক ৫০ লাখ (২৫ শতাংশ) নৌপথে যাতায়াত করে।

এই যাত্রীদের প্রায় শতভাগই উপকূলীয় জেলা বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের বিভিন্ন গন্তব্যে যান। নাগরিক সংগঠনটি জানায়, গত জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর চাঁদপুর বাদে, উপকূলীয় জেলাগুলোতে নৌপথে যাত্রী হার প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। এই ঈদে লঞ্চে ৩০ লাখ মানুষ (মোট যাত্রীর ২০ শতাংশ) যাবেন এবং তাদের মধ্যে অন্তত ২৭ লাখ ঢাকা নদীবন্দর দিয়ে যাবেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অনেক লঞ্চ চাপ সামলানোর ক্ষমতার বাইরে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ যাত্রী বহন করে। এর ফলে ছাদে ও ডেকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয়। নৌপথে দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগের ঝুঁকি কমাতে, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানানো হয় প্রতিবেদনে।