০৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা, অস্থিতিশীলতার শঙ্কা আফ্রিকায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৮১ বার পড়া হয়েছে

আফ্রিকার দেশ নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করছেন পশ্চিম আফ্রিকান নেতারা। এমনকি কখন ও কীভাবে সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে; সে বিষয়েও নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে নাইজার বিষয়টি নিয়ে সংঘাতের হুশিয়ারি দিয়েছে। ফলে গোটা আফ্রিকা উত্তপ্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে বলেছে, গত মাসের শেষের দিকে নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেন প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের প্রধান আবদোরাহমানে তিয়ানি। এ অবস্থায় নাইজার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসে দি ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস বা ইকোওয়াস।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার তিন দিনের বৈঠক শেষে সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে কথা বলেন ইকোওয়াসের রাজনীতি, শান্তি ও নিরাপত্তাবিষয়ক কমিশনার আবদেল–ফাতাউ মুসাহ। অবশ্য সামরিক অভিযান কবে নাগাদ শুরু হবে সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি। তবে তিনি জানিয়েছেন, আফ্রিকান ব্লকটির রাষ্ট্রপ্রধানরা অভিযানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

ইকোওয়াসের কমিশনার আবদেল-ফাতাউ মুসাহ বলেন, কীভাবে সামরিক হস্তক্ষেপ করা হবে এবং এ জন্য কী প্রয়োজন সেটি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে।

এদিকে ইকোওয়াস ইতোমধ্যে নাইজারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আগামী রোববারের মধ্যে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে পুনর্বহাল না করা হলে বল প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার এই ব্লকটি।

গত বৃহস্পতিবার নাইজার পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে সেখানে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল ইকোওয়াস। কিন্তু দেশটির জান্তা প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো ফলপ্রসূ আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধিদলের এক সদস্য।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইকোওয়াসের চেয়ারম্যান ও নাইজারের প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু বলেছেন, প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনের মতো সিদ্ধান্ত নেবে তার সরকার। শুক্রবার সিনেটে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এ কথা বলেন। এ ছাড়া পশ্চিম আফ্রিকার আরেক দেশ সেনেগালও দেশটিতে সেনা পাঠানোর কথা বলেছে।

এর প্রতিবাদ জানিয়েছে নাইজারের জান্তা শাসন। সেই সঙ্গে বহিরাগতদের হস্তক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে দেশটি। সামরিক সরকার বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, প্রতিবেশী দেশ মালি ও বুরকিনা ফাসোতে বর্তমানে সেনা–সমর্থিত সরকার রয়েছে। গত সোমবার দুই দেশের রাষ্ট্রীয় টিভিতে একটি যৌথ বিবৃতি প্রচার করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, নাইজারের বিরুদ্ধে যে কোনো সামরিক হস্তক্ষেপের ঘটনা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ধরনের পদক্ষেপ বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনার পাশাপাশি পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলেও হুশিয়ার করা হয়েছে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা, অস্থিতিশীলতার শঙ্কা আফ্রিকায়

আপডেট সময় ১২:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩

আফ্রিকার দেশ নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করছেন পশ্চিম আফ্রিকান নেতারা। এমনকি কখন ও কীভাবে সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে; সে বিষয়েও নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে নাইজার বিষয়টি নিয়ে সংঘাতের হুশিয়ারি দিয়েছে। ফলে গোটা আফ্রিকা উত্তপ্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে বলেছে, গত মাসের শেষের দিকে নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেন প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের প্রধান আবদোরাহমানে তিয়ানি। এ অবস্থায় নাইজার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসে দি ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস বা ইকোওয়াস।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার তিন দিনের বৈঠক শেষে সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে কথা বলেন ইকোওয়াসের রাজনীতি, শান্তি ও নিরাপত্তাবিষয়ক কমিশনার আবদেল–ফাতাউ মুসাহ। অবশ্য সামরিক অভিযান কবে নাগাদ শুরু হবে সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি। তবে তিনি জানিয়েছেন, আফ্রিকান ব্লকটির রাষ্ট্রপ্রধানরা অভিযানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

ইকোওয়াসের কমিশনার আবদেল-ফাতাউ মুসাহ বলেন, কীভাবে সামরিক হস্তক্ষেপ করা হবে এবং এ জন্য কী প্রয়োজন সেটি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে।

এদিকে ইকোওয়াস ইতোমধ্যে নাইজারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আগামী রোববারের মধ্যে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে পুনর্বহাল না করা হলে বল প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার এই ব্লকটি।

গত বৃহস্পতিবার নাইজার পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে সেখানে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল ইকোওয়াস। কিন্তু দেশটির জান্তা প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো ফলপ্রসূ আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধিদলের এক সদস্য।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইকোওয়াসের চেয়ারম্যান ও নাইজারের প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু বলেছেন, প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনের মতো সিদ্ধান্ত নেবে তার সরকার। শুক্রবার সিনেটে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এ কথা বলেন। এ ছাড়া পশ্চিম আফ্রিকার আরেক দেশ সেনেগালও দেশটিতে সেনা পাঠানোর কথা বলেছে।

এর প্রতিবাদ জানিয়েছে নাইজারের জান্তা শাসন। সেই সঙ্গে বহিরাগতদের হস্তক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে দেশটি। সামরিক সরকার বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, প্রতিবেশী দেশ মালি ও বুরকিনা ফাসোতে বর্তমানে সেনা–সমর্থিত সরকার রয়েছে। গত সোমবার দুই দেশের রাষ্ট্রীয় টিভিতে একটি যৌথ বিবৃতি প্রচার করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, নাইজারের বিরুদ্ধে যে কোনো সামরিক হস্তক্ষেপের ঘটনা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ধরনের পদক্ষেপ বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনার পাশাপাশি পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলেও হুশিয়ার করা হয়েছে।