০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ফেসবুকজুড়ে ভিসা নিষেধাজ্ঞার ভুয়া তালিকা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৯:৪০:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১২৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিকসহ কয়েকটি শ্রেণি পেশার ব্যক্তিদের ওপর পূর্ব ঘোষিত ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে মার্কিন প্রশাসন যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাদের নাম প্রকাশ্যে না আনলেও—ফেসবুকজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ভিসা নিষেধাজ্ঞার ভুয়া তালিকা।

ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তিদের বিভ্রান্তিকর বিভিন্ন তালিকা ছড়িয়ে পড়েছে।

সাবেক ও বর্তমান আমলা, নির্বাচন কমিশনার, বিচারপতি, সরকার, বিরোধী দল, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের নাম থাকা এসব তালিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ভুয়া তালিকা শত শত শেয়ারও হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, নীতিমালা অনুসারে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের তালিকা তারা প্রকাশ করে না। মার্কিন আইনের অধীনে ভিসার রেকর্ডগুলো গোপনীয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্যের সত্যতা যাচাইকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এসব তালিকাকে ভুয়া বলে চিহ্নিত করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান বুম বিডি মঙ্গলবার তাদের সাইটে প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ‘ভয়েস বাংলা’ নামে একটি পেজ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১০ জন বিরোধীদলীয় নেতার নাম উল্লেখ করে দাবি করা হয়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন।

একই দিন ‘লন্ডন বাংলা চ্যানেল’ নামে একটি পেজ থেকে পুলিশের সাবেক ও বর্তমান প্রায় ৯০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম দিয়ে বলা হয়, তাদের নাম ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে।

এ ছাড়া সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশনার, বিচারপতি, সেনা কর্মকর্তা, পুলিশ, রাজনীতিকসহ ৩৫ জনের নামের একটি তালিকাও ফেসবুকে ঘুরতে দেখা গেছে।

এসব তালিকা নিয়ে ফ্যাক্ট ওয়াচসহ ভুয়া তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশে যাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা শুরু হয়েছে তারা নিজে থেকে যদি নিশ্চিত না করেন, তাহলে বাইরের কারও পক্ষে এ সম্পর্কে জানা অসম্ভব।

কিন্তু ভাইরাল পোস্টগুলোতে যাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাদের সবার পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ফেসবুকজুড়ে ভিসা নিষেধাজ্ঞার ভুয়া তালিকা

আপডেট সময় ০৯:৪০:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশের নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিকসহ কয়েকটি শ্রেণি পেশার ব্যক্তিদের ওপর পূর্ব ঘোষিত ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে মার্কিন প্রশাসন যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাদের নাম প্রকাশ্যে না আনলেও—ফেসবুকজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ভিসা নিষেধাজ্ঞার ভুয়া তালিকা।

ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তিদের বিভ্রান্তিকর বিভিন্ন তালিকা ছড়িয়ে পড়েছে।

সাবেক ও বর্তমান আমলা, নির্বাচন কমিশনার, বিচারপতি, সরকার, বিরোধী দল, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের নাম থাকা এসব তালিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ভুয়া তালিকা শত শত শেয়ারও হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, নীতিমালা অনুসারে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের তালিকা তারা প্রকাশ করে না। মার্কিন আইনের অধীনে ভিসার রেকর্ডগুলো গোপনীয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্যের সত্যতা যাচাইকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এসব তালিকাকে ভুয়া বলে চিহ্নিত করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান বুম বিডি মঙ্গলবার তাদের সাইটে প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ‘ভয়েস বাংলা’ নামে একটি পেজ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১০ জন বিরোধীদলীয় নেতার নাম উল্লেখ করে দাবি করা হয়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন।

একই দিন ‘লন্ডন বাংলা চ্যানেল’ নামে একটি পেজ থেকে পুলিশের সাবেক ও বর্তমান প্রায় ৯০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম দিয়ে বলা হয়, তাদের নাম ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে।

এ ছাড়া সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশনার, বিচারপতি, সেনা কর্মকর্তা, পুলিশ, রাজনীতিকসহ ৩৫ জনের নামের একটি তালিকাও ফেসবুকে ঘুরতে দেখা গেছে।

এসব তালিকা নিয়ে ফ্যাক্ট ওয়াচসহ ভুয়া তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশে যাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা শুরু হয়েছে তারা নিজে থেকে যদি নিশ্চিত না করেন, তাহলে বাইরের কারও পক্ষে এ সম্পর্কে জানা অসম্ভব।

কিন্তু ভাইরাল পোস্টগুলোতে যাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাদের সবার পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।