০৫:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

স্কুলছাত্রী জেরিন হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসি

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৬:১৪:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৭৩ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থী মদিনাতুল কিবরিয়া জেরিন হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১-এর বিচারক সুদীপ্ত দাস এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১-এর স্টেনোগ্রাফার পার্থ প্রতীম সেন জানান, মামলায় ২১ সাক্ষীর স্বাক্ষরগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল হাসেম মোল্লা মাছুম রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৮ জানুয়ারি সকাল ৮টায় নূর আলমের অটোরিকশায় উঠে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল জেরিন। পথে ওই অটোরিকায় উঠে জাকির। জেরিনের স্কুল পেরিয়ে গেলেও তাকে নামিয়ে না দিয়ে অটোরিকশা জোরে চালানো শুরু করে নূর আলম। সেই সময় জোর করে অটোরিকশা থেকে নামার চেষ্টা করলে জেরিনের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয় তাদের।

একপর্যায়ে অটোরিকশা থেকে লাফ দেয় জেরিন। এতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায় সে। চিকিৎসাধীন পর দিন ১৯ জানুয়ারি সকালে মারা যায় জেরিন। ২০ জানুয়ারি রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন জেরিনের বাবা। ২১ জানুয়ারি জাকিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় জাকির। এর পর গ্রেফতার করা হয় আসামি নূর আলমকে। সে আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ওই মামলায় ২১ জন সাক্ষীর স্বাক্ষরগ্রহণ শেষে বিচারক উল্লিখিত রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

স্কুলছাত্রী জেরিন হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসি

আপডেট সময় ০৬:১৪:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হবিগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থী মদিনাতুল কিবরিয়া জেরিন হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১-এর বিচারক সুদীপ্ত দাস এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১-এর স্টেনোগ্রাফার পার্থ প্রতীম সেন জানান, মামলায় ২১ সাক্ষীর স্বাক্ষরগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল হাসেম মোল্লা মাছুম রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৮ জানুয়ারি সকাল ৮টায় নূর আলমের অটোরিকশায় উঠে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল জেরিন। পথে ওই অটোরিকায় উঠে জাকির। জেরিনের স্কুল পেরিয়ে গেলেও তাকে নামিয়ে না দিয়ে অটোরিকশা জোরে চালানো শুরু করে নূর আলম। সেই সময় জোর করে অটোরিকশা থেকে নামার চেষ্টা করলে জেরিনের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয় তাদের।

একপর্যায়ে অটোরিকশা থেকে লাফ দেয় জেরিন। এতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায় সে। চিকিৎসাধীন পর দিন ১৯ জানুয়ারি সকালে মারা যায় জেরিন। ২০ জানুয়ারি রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন জেরিনের বাবা। ২১ জানুয়ারি জাকিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় জাকির। এর পর গ্রেফতার করা হয় আসামি নূর আলমকে। সে আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ওই মামলায় ২১ জন সাক্ষীর স্বাক্ষরগ্রহণ শেষে বিচারক উল্লিখিত রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।